নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আউযুবিল্লাহি মিনাশ শাইতোয়ানির রাজীম।

সোনালী কিরণ

কসবা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।

সোনালী কিরণ › বিস্তারিত পোস্টঃ

দুশ্চিন্তা এবং মানসিক অশান্তি দূর করার জন্য সংক্ষেপে ১৫ টি উপায়

১৪ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৮

উপায়গুলো হলঃ



[১ ] তাওহীদ আর-রবূবিয়্যাহ্‌ অর্থাৎ, কর্তৃত্ব, ক্ষমতা ও প্রতিপালেনের ক্ষেত্রে আল্লাহ্‌ রাব্বুল আলামীন এক ও একক সত্ত্বা- বলে বিশ্বাস করা।



[২ ] তাওহীদ আল-উলূহিয়্যাহ অর্থাৎ, যাবতীয় ‘ইবাদাহ্‌ ও আনুগত্য পাওয়ার যোগ্য একমাত্র আল্লাহ্‌ রাব্বুল ‘আলামীন- বলে বিশ্বাস করা।



[৩ ] তাওহীদ আল-আসমা ওয়াস-সিফাত অর্থাৎ, আল্লাহ্‌ রাব্বুল ‘আলামীন তাঁর নামসমূহ এবং তাঁর গুণাবলীতে একক ও অদ্বিতীয়- বলে বিশ্বাস করা।



[৪ ] এই বিশ্বাস করা যে, আল্লাহ্‌ রাব্বুল ‘আলামীণ তাঁর কোন বান্দার প্রতি কখনই জুলুম করেন না। তিনি বিনা কারনে কখনই কাউকে শাস্তি দেন না।



[৫ ] এটা স্বীকার করে নেয়া যে, দোষী আপনিই, আপনিই ভুল করেছেন, অপরাধ আপনারই।



[৬ ] আল্লাহ্‌ রাব্বুল ‘আলামীনের গুণবাচক নামসমূহের মাধ্যমে তাঁর কাছে চাওয়া। তাঁর গুণবাচক নামসমূহের মধ্যে থেকে দুইটি নাম হল “আল-হাই (চিরঞ্জীব)” এবং “আল কাইয়্যূম (চিরস্থায়ী)”। এই নাম দুটি তাঁর অন্যান্য গুণবাচক নামসমূহের গুণগুলোকে ধারন করে আছে।



[৭ ] কেবলমাত্র আল্লাহ্‌ রাব্বুল ‘আলামীনের কাছেই সাহায্য চাওয়া।



[৮ ] তার সাহায্য লাভের ব্যপারে সুনিশ্চিতভাবে আশা করা।



[৯ ] পরিপূর্ণভাবে তাঁর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা এবং একথা মেনে নিয়ে সবকিছুকেই তাঁর প্রতি সমর্পণ করা যে, আমাদের জীবন মৃত্যু তাঁরই হাতে, তিনি যা ইচ্ছা করেন তাই হয়, তাঁর প্রতিটি ইচ্ছাই অনিবার্যভাবে পূরণীয় এবং কোন কিছুই তাঁর ইচ্ছা ছাড়া সংঘটিত হয়না।



[১০ ] কোরাআনের আলোই উদ্ভাসিত হওয়া। বিপদের সময় কোরআন থেকে সান্তনা খোঁজা। অন্তরের রোগব্যাধি দূর করতে কোরআনকেই নিরাময় (শেফা) হিসেবে গ্রহন করা। যাতে করে কোরআন মনের দুঃখ-কষ্ট, আবেগ-উৎকণ্ঠা দূর করে প্রশান্তি বয়ে আনে।



[১১ ] ক্ষমা প্রার্থনা করা।



[১২ ] কৃতকর্মের জন্য লজ্জিত ও অনুতপ্ত হওয়া।



[১৩ ] আল্লাহ্‌র দ্বীনকে প্রতিষ্ঠার জন্য সকল প্রকার সংগ্রাম ও প্রচেষ্টা চালানো। প্রয়োজনে জীবন দিতে প্রস্তুত থাকা।



[১৪ ] সালাত প্রতিষ্ঠা করা।



[১৫ ] এই ঘোষণা দেয়া যে, আল্লাহ্‌ রাব্বুল ‘আলামীন ছাড়া অন্য কারোর কোন শক্তি বা ক্ষমতা নেই। এবং সমস্ত বিষয়কেই তাঁর হাতেই ন্যাস্ত করা।











আমরা আল্লাহ্‌ রাব্বুল ‘আলামীনের কাছে প্রার্থনা করি, তিনি যেন আমাদেরকে সবরকম উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা, দুশ্চিন্তা, বালা-মুসিবত থেকে হেফাজাত করেন। তিনি সর্বশ্রোতা, তিনি চিরঞ্জীব, চিরস্থায়ী। তিনি সর্বদায় আমাদের ডাকে সাড়া দেন। তিনি সর্বজ্ঞানী। দরূদ ও সালাম বর্ষিত হোক প্রিয় নবী মুহাম্মাদ (সা) এর উপর এবং তাঁর সাহাবায়ে কেরাম ও আহ্‌লে বায়েত এর উপর।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:৩০

নূসরাত তানজীন লুবনা বলেছেন: আমীন ।
প্রিয়তে গেল

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.