নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি শ্রীযুক্ত বিপুল চন্দ্র দাস আমি বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছি এবং আমি সবসময় নতুন আবিষ্কার অনুসন্ধান করি।

বিপুল সটার

আমি বিপুল দাস। আমি কম্পিটার সায়েন্স এ বিএসসি পড়ছি বাংলাদেশ ইউনির্ভাসিটি।বর্তমানে আমি এসইও এক্সর্পাট হিসাবে কাজ কাজ করছি স্টার আইটি লিমিটেড।

বিপুল সটার › বিস্তারিত পোস্টঃ

Top corporate law chamber in Bangladesh

০৭ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:০৯

মানুষের দৈনন্দিন জীবনে অর্থ এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গুরুত্ব অনেক বেশি। আমরা ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে অর্থ জমা রাখি, উত্তোলন করি এবং প্রয়োজনবোধে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান হতে ঋণ গ্রহন করে আমাদের প্রয়োজন মেটায়। বলা যায় আর্থিক বিষয়ে ব্যংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান ব্যতিত আমরা প্রায় অচল হয়ে পড়ি।

ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান হতে অর্থ উত্তেলনের অন্যতম মাধ্যম হল চেক। ব্যবসা বা ব্যক্তিগত প্রয়োজনে অনেক সময় আমরা পাওনাদের চেকের মাধ্যমে অর্থ প্রদান করে থাকি। পাওনাদারকে ঠকানোর উদ্দেশ্যে চেকের বিপরীতে ব্যংক এ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত অর্থ নেই জেনেও চেক ইস্যু করা হলে, উক্ত ব্যংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান উক্ত চেকের বিপরীতে কোন অর্থ পরিশোষ করবে না এবং উক্ত চেক ডিসঅনার করবে।

চেক ডিসঅনার হলে ভূক্তভোগীর যা করণীয়:

১৮৮১ সালের নেগোশিয়েবল ইন্সট্রুমেন্ট অ্যাক্টের ১৩৮ ধারায় চেক ডিসঅনারের বিরুদ্ধে প্রতিকার সম্পর্কে বলা হয়েছে। কোন চেক ডিসঅনার এর বিরুদ্ধে প্রতিকার পেতে হলে, ইস্যুকৃত চেকটি অবশ্যই চেক ইস্যু করার ৬ (ছয়) মাস বা চেকে উল্লেখিত তারিখের মধ্যে চেকটি নগদতায়নের উপস্থাপন করতে হবে। ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক উক্ত চেক ডিসঅনার হবার ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে চেক ইস্যুকারীকে নোটিশ প্রদানের মাধ্যমে চেক ডিসঅনার হবার বিষয়টি জানাতে হবে। উক্ত নোটিশ প্রাপ্তির ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে চেক ইস্যুকারী চেকের অর্থ পরিশোধ না করলে, চেক গ্রহীতা উক্ত চেকের অর্থের জন্য নেগোশিয়েবল ইন্সট্রুমেন্ট অ্যাক্টের ১৪১ ধারার বিধান অনুযায়ী জেলা দায়রা জজ আদালতে মামলা দায়ের করতে পারেন।

কোন ব্যক্তি চেক ডিসঅনারের মামলায় দোষী প্রমাণিত হলে নেগোশিয়েবল ইন্সট্রুমেন্ট অ্যাক্টের ১৩৮ ধারার বিধান অনুযায়ী, আদালত সর্বোচ্চ ০১ (এক) বছর কারাদণ্ড বা চেকে উল্লেখিত অর্থের ৩ (তিন) গুণ পরিমাণ অর্থ জরিমানা অথবা উভয় দণ্ড প্রদান করতে পারেন। আদায়কৃত অর্থের মধ্য হতে চেকে উল্লেখিত পরিমাণ অর্থ চেক গ্রহীতাকে প্রদান করা হবে এবং বাকী অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা রাখা বিধান আছে।

সহজেই বোঝা যাচ্ছে চেক ডিসঅনারের মামলায় দোষী হলে শাস্তির পরিমাণ যতেষ্ট কঠোর, সুতরাং চেক ইস্যুকারীর উচিত হবে চেক ইস্যু করার আগেই এ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত পরিমাণ অর্থ আছে কিনা সেটা যাচাই করে নিয়েই চেক ইস্যু করা।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.