![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বেসরকারি চাকরি মানেই যেন –নিশ্চয়তাহীন, কঠোর প্ররিশ্রম,অবমূল্যায়ন আর কষ্ট । আর একটু বয়স হলেই চাকরি শেষ । অবসর ভাতার প্রশ্নই আসে না। খাতা কলমে অবসর ভাতা বা অন্যান্য সুযোগ সুবিধা লেখা থাকলেও কর্মীর বয়স বাড়লে ও বেতন বাড়লেই তাকে ছাটাই করে দেওয়া হয়। কোন রকম একটা টোটো কম্পানির সার্কুলার হলেই হাজার হাজার বেকারদের ভীড় ।এই অবস্থার চেঞ্জ হবে কবে? বেসরকারি চাকরিজীবীদের অত্যন্ত কষ্ট ও টেনশন নিয়ে চাকরি করতে হয়। কারণ তার মত কর্মীর কম্পানির কাছে কোন মূল্য নেই। কম্পানি সার্কুলার দিলেই আবার ক্যান্ডিডেট পাবে।
খুব সস্তায় কম্পানিগুলো উচ্চশিক্ষিত বেকার হাতে পাচ্ছে। তারপর কয়দিন তাদের কাজে লাগিয়ে ফেলে দিচ্ছে। তারপর আবার নতুন কম বয়সী কর্মী নিয়োগ দিচ্ছে।
শাফায়েত চাকরি করে একটি কম্পানিতে। সকাল ৮ থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত অফিস। রাতে ঘুমানোর জন্য বাড়ী আসতে সময় লাগে (জ্যাম মোকাবেলা) করে এক ঘন্টা। বুকে থাকে টানা শ্বাস।বেতন পান ত্রিশ হাজার টাকা। কিন্তু শান্তি নেই। একটু ছুটি নেই। চাকরির নিশ্চয়তা নেই।
এনজিওর চাকরি করেন মোফেদ। এক বছর মেয়াদি চুক্তি । চুক্তি শেষে আবার বেকার হবেন তিনি।এভাবেই তার চাকরি জীবন।দুই বছর চাকরি করে তিন মাস বেকার ।আবার আরেক প্রজেক্টে ঢকেন। তারপর মেয়াদ শেষ হলে আবার বেকার।এই ভাবে আর কতকাল?
বেসরকারি চাকরির কোন নীতি নেই। বেকারদের কর্মসংস্থানের কোন গাইডলাইন নেই।
২| ০৬ ই মে, ২০১৮ রাত ১১:৫৪
পবন সরকার বলেছেন: বেকার নিয়ে বলার কিছু নাই, নিজেও একসময় বেকার ছিলাম কেউ দাম দেয় না।
৩| ০৭ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:৩৬
রাজীব নুর বলেছেন: সহমত।
৪| ০৭ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:৩৮
ঢাবিয়ান বলেছেন: একদিকে বিপুল জনসংখ্যার ভারে জর্জরিত দেশ। তার ওপড় ব্যাঙ্গের ছাতার মত প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিগুলো প্রতি বছর লাখ লাখ উচ্চ শিক্ষিত বেকার তৈরী করছে অথচ চাকুরির বাজার অত্যন্ত সংকুচিত। এই অবস্থার উন্নয়ন চাইলে উন্নত দেশগুলোর দিকে তাকাতে হবে। উন্নত দেশে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রনের মধ্যে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা সীমিত । শুধুমাত্র অত্যন্ত মেধাবিরাই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে যায়। উন্নত দেশে দক্ষ জনশক্তি গড়তে তৈরী করা হয়েছে অসংখ্য পলিটেকনিক ইন্সটিউট। এইসব ইন্সটিউটগুলো থেকে বের হওয়া শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন দক্ষতা অর্জন করে বের হয় বলে চাকুরির অভাব হয় না। দেশে বিদেশে সর্বত্রই তারা ভাল ক্যরিয়ার গড়তে সক্ষম হয়।
৫| ০৭ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:৫৫
সুমন কর বলেছেন: নির্মম সত্য। সহমত।
৬| ০৭ ই মে, ২০১৮ রাত ১০:০৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: দেবু কুমার ,
বেসরকারি চাকরিজীবীদের মতো হতভাগা আর কেউ নেই । মালিক যদি বলে -" আছো " তো চাকুরী আছে ; আর যদি বলে - "যাও" তো আল্লাহ - হাফেজ । সকালে চাকুরী আছে তো বিকেলে নেই । এটাই তাদের জন্যে নির্মম সত্য ।
সোহাগ তানভীর সাকিব এর সাথে সহমত - এ ব্যাপারে সরকারেই একটি নির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন করা অবশ্যই দরকার।
৭| ০৮ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:৪৮
অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: বেসরকারী চাকুরীতে শুধুই পরিশ্রম আর পরিশ্রম সেই সংগে তেলের ডিব্বা তো রাখতে হবেই নইলে নিস্তার নেই। বেসরকারী চাকুরীতে একজন যেপরিমান পরিশ্রম করেন সরকারী চাকুরীতে সেই পরিমান কাজ করতে কমপক্ষে ১০ জন লোক লাগবে। তারপরও তাদের কাজের কোন জবাবদিহিতা নেই্ । সর্বোপরি কথা হলো সবকিছুরই একটা নীতিমালা থাকা দরকার।
৮| ০৮ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১২:২৯
টারজান০০০০৭ বলেছেন: সুবিধা : সরকারিতে ৫০% কাজ করিয়া ২০০% পুরস্কার আর বেসরকারিতে ২০০% কাজ করিয়া ৫০ % পুরস্কার !
কাজের গতি : সরকারি হইল মালগাড়ি আর বেসরকারি হইল এক্সপ্রেস ট্রেন! তবে ব্যাতিক্রম আছে।
চাকুরীর নিশ্চয়তা : সরকারি হইল সুপার গ্লু, বেসরকারি হইল কচুর পাতার পানি !!!!!! সরকারি হইল কোষ্টকাঠিন্য, বেসরকারি উদরাময় !!!!!
মেধার ব্যবহার : সরকারিতে হাতি দিয়া হালচাষ হইবে আর বেসরকারিতে গরু দিয়াই হালচাষ হইবে , এমনকি ছাগল দিয়া হইলেও হালচাষ হইবেই !
৯| ০৯ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:১৭
টারজান০০০০৭ বলেছেন:
অন্তর্জালে পাইলাম ! বেসরকারি চাকুরিজীবীদের অবস্থা এই মুরগির চেয়ে ভালো নহে !!!!!
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই মে, ২০১৮ রাত ১১:৩১
সোহাগ তানভীর সাকিব বলেছেন: খুব-ই করুন অবস্থা তাদের। আমার মনে হয় এ ব্যাপারে সরকারেই একটি নির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন করা দরকার।