![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
খাই দাই ঘুমাই। ইন্টারনেট আছে তাই রাস্তার বদলে অনলাইনে ঘুরি। বুননকৌশল বিভাগে পড়ি আহসানুল্লাহতে। পছন্দের খাবার চকলেট, আইসক্রিম এবং চকলেট আইসক্রিম।
লেখালেখির অভ্যাস আমার নাই মোটেও। তারপরও চিন্তা করলাম একটা টেস্টরান চালাইয়া দেখি। পাবলিকে বড়জোর একবস্তা মাইনাস খিলাবে। মাইনাস পাইলেও ক্ষতি কি? কিছু একটা তো পাইলাম।
আজাইরা কথা বাদ দিয়া কাজের কথায় আসি। কিন্তু কাজের তো কোন কথা নাই। তাই আজাইরা কথাতেই ব্যাক করি।
আচ্ছা একটু চিন্তা কইরা দেখেন সকাল বেলা ঘুম থেইকা উইঠাই...(ধরি আপনি সকালবেলাতেই ঘুম থেকে উঠেন) দেখলেন ট্যাপে পানি নাই। কিন্তু আপনার আবার সেই বেগ ধরছে। কি করবেন। সহজ বুদ্ধি। বাড়িওয়ালার বাসায় নক কইরা বলেন একটু বাথরুম ইউজ করা যাবে? ঠিক এই কাজটাই দুইদিন ধরে সফলভাবে করার পরদিনই সকাল থেকে ট্যাপ যেন অবারিত জলধারা।
আগেই বলছি এখানে কামের কোন কথা নাই। সো যারা আজাইরা প্যাচাল পড়তে ইচ্ছুক তারাই থাকেন। বাকিরা একটু কষ্ট কইরা একটা মাইনাচ দিয়া ফুটেন। ফাও মাইনাচ পাইলে ছাড়ুম ক্যা?
এইবার মনে করেন বাড়িওয়ালার সেই সুন্দরী(!!!) মাইয়া আপনার উপর ক্র্যাশ খাইয়া চুরমার। প্রতিদিন নিজহাতের রান্না দুই/এক পদের অখাদ্য নিয়া আপনার দরজায় কড়া নাড়ে। বাচতে চান? উপায় নাই ব্রো। ঐ বাসায় থাকতে চাইলে সহ্য কইরা যান। এই নিয়া একটা কাহীনি আছে।
আমার এক বড়ভাই রাশেদ এমনি এক মেয়ের কবলে পড়ছিল। বাড়িওয়ালার মেয়েরে চটাইতেও পারে না তাড়াইতেও পারে না। শেষমেষ বাড়িওয়ালার কাছেই গেল সমাধান চাইতে(ভাবছিল মেয়ের নামে কমপিলিন দিলে বাপে হয়ত একটু ট্যাকেল দিব)। কিন্তু বিধিবাম। এই ঘটনার পর নজরুল সাহেব "দি বাড়িওয়ালা" রাশেদ ভাইয়ের সততায় মুগ্ধ হয়ে মেয়েকে ফুল গ্রিন সিগনাল দিয়া দিলেন। ফলাফল রাশেদ ভাইয়ের বাসায় গেলে এখন আর ভাগ্যে মুড়ি-চানাচুর জোটে না।
একটু বেশিই মনে হয় বকবক কইরা ফালাইলাম। কি আর করা।
শেষবেশ মনে করেন অনেক সাধ কইরা একটা দেশি মুরগী কিনলেন। পরে রান্না করবেন মনে কইরা পাশের বাসার আন্টির ফ্রিজে রাইখা আসলেন। পরের দিন মুরগী খুজতে গিয়া দেখলেন আঙ্কেল খুব আরাম কইরা সেই মুরগী দিয়া ভাত খাইতাছে। কি করবেন? আপনে কি করবেন জানি না তবে আমাদের সাব্বির ভাই কিন্তু সরাসরি রান্নাঘরে গিয়া পুরা ডেকচিই নিজের রুমে আইসা পড়ছিল।
বিদ্রঃ ঘটনাগুলি আমার বন্ধুমহলের হাস্যরসের খোরাক। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নজনের বাস্তব অভিজ্ঞতা এগুলি।
চারিদিকে এতএত ঘটনা প্রতিদিন দেখি যা লেখা শুরু করলে কাগজ শেষ হবার কোন সম্ভবনা নেই। তাই আজকে আপাতত এখানেই শেষ করি। এই আজাইরা লেখাটা এতদূর পড়ার জন্য ধন্যবাদ(যদি প্রথমেই শেষ লাইনটা পইড়া থাকেন তাইলে ধন্যবাদ হইব না)
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৫১
এহসান সাবির বলেছেন: ব্লগে স্বাগতম।