নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন এর প্রেক্ষাপট একদিনে তৈরী হয়নি । জীবনের মায়া তুচ্ছ করে বছরের পর বছর ধরে ফ্যসিস্ট আওয়ামিলীগের স্বরুপ জনগনের সামনে তুলে ধরার কাজটি করেছে অনলাইন এক্টিভিস্টরা । ১৫ বছর ধরে আমাদের গনমাধ্যম ছিল নিয়ন্ত্রিত এবং অর্থ সম্পদের কাছে কলম বেঁচে ফ্যসিস্টের স্বার্থ রক্ষাকারী মাধ্যম হিসাবে। গনমাধ্যমের চরম নিন্দনীয় নিষ্ক্রিয়তার বীপরিতে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্যরালাল সাংবাদিকতা। মুলত দেশীয় সাংবাদিকদের একটা অংশ বিদেশে পালিয়ে গিয়ে অনলাইনে জারী রেখেছিল তাদের নির্ভীক ও সত্য অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা। হাজার হাজার তরুনদের বিপ্লবী বানিয়েছে এই অনলাইন সাংবাদিকেরা।
দেশের প্রধান দুই রাজনৈ্তিক দল বিএনপি ও জামাত কোনদিনই জনগনকে আওয়ামিলীগের বিরুদ্ধে একত্রিত করতে পারে নাই তাদের ব্যর্থ নেতৃত্বের কারনে। বৃহৎ দুই রাজনৈতিক দলের অতীত ইতিহাসও কর্দমাক্ত। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নামকে পুজি করে ক্ষমতায় আসা বিএনপির কর্মকান্ডে সবসময়েই অনুপস্থিত ছিল জিয়ার আদর্শ ও দেশপ্রেম। আর ১৯৭১ এর স্বাধীনতা বিরোধীরাতো আজতক তাদের অপরাধের জন্য ক্ষমা প্রাত্থনাই করে নাই। ধর্ম যে তাদের লেবাস তা কে না জানে!
বিগত ১৫ বছরে আওয়ামীলীগের চরম নির্যাতন ও নীপিড়নের শিকার হওয়ায় জনগন আশা করেছিল যে, বিএনপি ও জামাতের মাঝে এবার হয়ত কাংখিত পরিবর্তনের দেখা মিলবে । কিন্তু হায় তারা আবারো হতাশ করেছে সবাইকে। তরুনদের আত্মত্যাগের কোন মূল্যই তাদের কাছে নাই। হাজার হাজার তরুনের রক্ত, অন্ধত্ব, পঙ্গুত্ব মনে হয় স্রেফ তামাশা এদের কাছে। তানাহলে কিভাবে এরা গনহত্যাকারীদের সাথে হাত মেলায়?
১৫ বছর ধরে আওয়ামি ফ্যসিস্টের বিরুদ্ধে লড়াই করা দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় অনলাইন এক্টিভিস্ট পিনাকি ভট্টাচার্য তুলে ধরেছেন জুলাই-অগাস্ট বিপ্লবের সাথে বিএনপির নির্ল্লজ্জ বিশ্বাসঘাতকতা।
৩৪ শে জুলাই (৩রা অগাস্ট) দিনটার কথা কি আমরা কেউ ভুলতে পারি ? তরতাজা সব তরুনের তাজা রক্তে ভাসছে দেশ। তারপরেও রাজপথে ছেড়ে যায়নি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যোগদান করা হাজার হাজার তরুন। দেশের তরে শহীদি মৃত্যূর প্রস্তুতি নিয়ে রাজপথে নামা এই তরুনরা ভয়ঙ্কর এক ফ্যসিস্টের বিরুদ্ধে দিয়েছিল ঐতিহাসিক এক দফা। যেই এক দফায় তারা উচ্চারন করেছিল '' এই ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থার বিলোপ করতে হবে৷ আমরা এমন একটি বাংলাদেশ গঠন করতে চাই, এমন একটি রাজনৈতিক বন্দোবস্ত তৈরি করতে চাই, যেখানে আর কখনো কোনো ধরনের স্বৈরতন্ত্র-ফ্যাসিবাদ ফিরে আসতে না পারে৷’—।
তরুনদের এই অবিস্মরণীয় আত্মত্যাগ যদি নষ্ট রাজনীতির কারনে বৃথা যায় তবে এর সম্পুর্ন দায় বিএনপি ও জামাতের।
২১ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:০৭
ঢাবিয়ান বলেছেন: এতবড় একটা রক্তক্ষয়ী বিপ্লবের পর সবার আশা ছিল যে আমাদের রাজনৈ্তিক দলগুলোর মাঝে কিছু পরিবর্তন আসবে। কিন্ত বিএনপি তার কর্মকান্ড দিয়ে প্রমান করছে যে , বিএনপি ও আওয়ামিলীগ এখনও সেই আগের মতই একই মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ।
২| ২১ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:৫২
এম ডি মুসা বলেছেন: বিএনপি নেতার বক্তব্য ইতিমধ্যে বুঝা গেলো। তারা আওয়ামীলীগ এ্যার বিরুদ্ধে কিছু করছেন না। দ্রুত নির্বাচন চায়।যা করছে ছাত্র। মামলা গুলো কি শহীদের পরিবার করছে? না কেউ করছে সেটা খতিয়ে দেখা উচিত।
২১ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:১২
ঢাবিয়ান বলেছেন: যত দ্রুত নির্বাচন, তত দ্রুত লুটপাঠের চাবিকাঠি হাতে পাওয়া। অন্তর্বর্তী সরকারকেতো টিকতেই দিতে চাচ্ছে না। শহীদ পরিবারগুলো ভয়েই মামলা করেনি।রাজনৈ্তিক দলগুলোতো শহীদ পরিবারকে সুবিচার পাওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় নাই।
৩| ২১ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:৫৩
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: জামাতের আওয়ামী প্রেমে সমস্যা নাই কিন্তু আপনার প্রিয় ইনফ্লয়েন্সার বিএনপির আওয়ামী প্রেমে সমস্যা আছে। জামাতের নেতা তাহের আওয়ামী লীগের দালাল এক পুলিশ কর্মকর্তা কে ভালো পদ পাওয়ার জন্য তদবীর করেছে। জুলকার নাইন সেটা খুজে বের করেছে।
জামাতের আমীর লন্ডনে গিয়ে আলোচনা সভায় বলেছেন আওয়ামী লীগ কে ফ্যাসিস্ট বলতে উনার খারাপ লাগে। সেটা আপনার প্রিয় ইনফ্লুয়েন্সারের চোখে পড়ে না।
সবাই মিলে বিএনপি কে চাপে রাখার কৌশল নিয়েছে।বাইরের ও ভিতরের চাপে বিএনপির অবস্থা ছেড়াবেড়া। গণতন্ত্র এদেশে আর আসবে বলে মনে হয় না।
২১ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:২১
ঢাবিয়ান বলেছেন: আমাদের জন্য জরূরী হচ্ছে আওয়ামিলীগের পর বিএনপি ও জামাত এক্সপোজ হওয়া । এই কাজটাই অনলাইন ইনফ্লুয়েন্সাররা করছে।
গনতন্ত্র মানে এক ফ্যসিস্টের বদলে আরেক ফ্যসিস্টের প্রত্যাবর্তন নয়।হাজার হাজার তরুন এক নতুন রাজনৈ্তিক বন্দোবস্তের জন্য রক্ত দিয়েছে। কাংখিত সংস্কারের মাধ্যমে যেদিন যোগ্য ও সৎ প্রার্থীরাই কেবল নির্বাচনে দাড়াবার সুযোগ পাবে, সেইদিনই গনতন্ত্র তার প্রকৃত মর্যাদা লাভ করবে এবং তরুনদের এক দফা দাবী পুরন হবে।
৪| ২১ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:৫৫
এম ডি মুসা বলেছেন: আমি মনে করি যারা হত্যা সাথে যুক্ত ছিল তাদের বিচার হওয়া। প্রতিহিংসার রাজনীতি কেউ স্বীকার হলে এটা ঠিক হবে না এতটুকু বলছি। ১৯৭১ সালের অবদান শহীদ মিনার ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেই দায় শেষ হয়ে যায় না। দেশের স্বচ্ছ স্বাধীন সুন্দর সর্ব অধিকার সমান না হলে শহীদের রক্তের সাথে বেইমানি করা হয়।
২১ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:২৩
ঢাবিয়ান বলেছেন: সুন্দর মন্তব্য । একমত আপনার সাথে।
৫| ২১ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:১৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ভালো হয়ে যাও মাসুদ। ভালো হয়ে যাও বিএনপি।
ভ্রমণে আছি। আরও কিছু মন্তব্য করার ইচ্ছা আছে।
২১ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:২৫
ঢাবিয়ান বলেছেন: এরা আসলে কোনভাবেই ভাল হবার নয় বলেই মনে হয়। অসততা ও সীমাহীন লোভ এদের আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে।
৬| ২১ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:২৪
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: টাইমস ম্যাগাজিনে ড. ইউনূস সাক্ষাৎকার টা পড়েন।
২২ শে নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৫
ঢাবিয়ান বলেছেন: পড়েছি । Click This Link
৭| ২১ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৪৭
জটিল ভাই বলেছেন:
ফল যা এসেছে তা সাধারণ ছাত্রদের রক্তের বিনিময়ে, কোনো দলীয় নেতা-কর্মীর রক্তের বিনিময়ে না। তাই কোনো দল এই রক্তের দাম দেবে তা আশা করাটাই বোকামি নয় কি?
২২ শে নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৮
ঢাবিয়ান বলেছেন: বিএনপির কাছ থেকে আশা করাটা যে বোকামি , তা সবচেয়ে আগে বুঝতে হবে বিএনপি সাপোর্টারদের। বিএনপি বলছে এই আন্দোলনে তাদের কয়েকশ কর্মী জীবন দিয়েছে। আমরাও বিশ্বাস করতে চাই সে কথা। কিন্ত তাদের এত কর্মী বিগত ১৫ বছরে গুম খুনের স্বীকার হল, জুলাই-অগাস্ট বিপ্লবে প্রান দিল , কিন্ত তারপরেও কর্মিদের হত্যাকারিদের সাথে কেন হাত মেলাতে চায় বিএনপি? জনগনের কথা বাদই দিলাম, দলীয় কর্মীদের প্রতিও তাদের এতটুকু দায়বদ্ধতা নাই? তাহলে কোন জবাবদিহিতামুলক গনতন্ত্রের গান শোনায় তারা ?
৮| ২১ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৫৫
এম ডি মুসা বলেছেন: নানা মুনির নানা মত। ধরেন আমি বিসিএস পরীক্ষা দিয়েছি চারবার। আমার বিসিএস এর পাশ নাম্বার সর্বনিম্ন ১২৭ । আমি চারবার পরীক্ষা ১২৬ করে পেলাম । আমার কি এই চারবার ১২৬ এর মূল্য আছে? না পরে এটা কাউন্ট করা হবে।
আমি লক্ষ্যে পৌছালে আমার পিছনে ১২৬ এর কোন মূল্য নেই। আপনি পরীক্ষায় ৩২ পেলে যদি ৩৩ না পান ঐ ৩২ এর অবদান অস্বীকার করা ছাড়া উপায় নেই। আপনি ১৬ বছর আনলিমিটেট পরীক্ষা দিয়েছিন উর্ত্তীণ হতে পারেন নাই। আপনার এই ষোল এর কোন মূল্য আপনি কিভাবে টানছেন? ছাত্রদের৩৬ দিন পাশ করছে। তাই আপনার ত্যাগের হিসেব নিয়ে পোস্ট দাতার উপর ছেড়ে দিলাম...
২২ শে নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:২৭
ঢাবিয়ান বলেছেন: ১২৭ পাশ মার্ক হলে ১২৬ পাওয়াটা বেদনাদায়ক হলেও মেনে না নিয়েতো কোন উপায় নাই। তবে এখানেই আটকে থাকলে চলবে না। সম্মুখপানে এগিয়ে যেতে হবেই।
৯| ২১ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:০১
আমি ব্লগার হইছি! বলেছেন: পরিবারতন্ত্র আর দখলদারী রাজনীতির বলয় থেকে বের হয়ে প্রগতিশীল তরুণদের নিয়ে নতুন রাজনৈতি দল গঠন করতে হবে।
২২ শে নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:৩১
ঢাবিয়ান বলেছেন: আজ বা কাল তরুনেরা নতুন দল গঠন করবেই। তবে তার আগে নিজেদের গোছানো প্রয়োজন। সেই কাজটাই তারা বর্তমানে করছে । রাজনৈ্তিক অঙ্গনে আগে নিজেদের শক্ত অবস্থান জানান দেয়াটা জরুরী।
১০| ২২ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:০৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমার মনে হয় বিএনপি ক্ষমতায় এসে বাড়াবাড়ি করলে তরুণেরা আবার রাস্তায় নামবে। সামনের নির্বাচনে বিএনপি আশানুরূপ ভোট না-ও পেতে পারে। সবচেয়ে ভালো হবে তরুণদের জন্য নতুন দল। এটা জরুরী হয়ে পড়ছে। নিজেদের দল ছাড়া রাজনীতির মাঠ ধরে রাখা কঠিন হবে। তরুণদের একতাবদ্ধ থাকতে হবে।
জিয়াউর রহমান একজন সৎ মানুষ ছিলেন। ওনার শত্রুও সেটা স্বীকার করবে। যদিও ক্ষমতা থাকার জন্য অনেক কিছু করেছেন।
২২ শে নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৫
ঢাবিয়ান বলেছেন: আমার ধারনা ছাত্ররা সময় নিচ্ছে। নুরুল হক নুর এর গন অধিকার পরিষদ মার্কা আরেকটা রাজনৈতিক দল তারা এখনই গঠন করতে চাচ্ছে না। ডঃ ইউনুস এত দ্রুত নির্বাচন দেবেন না সেটা বোঝাই যাচ্ছে। তাই তরুনেরা সময় নিক, অভিজ্ঞদের মতামত গ্রহন করুক , তারপরেই আত্মপ্রকাশ করুক।
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:৫০
এম ডি মুসা বলেছেন: আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধ প্রশ্ন উঠছে। সেখানে বিএনপি সাথে আলোচনা করে। নিষিদ্ধ না হতে রায় দিয়েছে বিএনপি। বর্তমানে সরকার উপদেষ্টা। ছাত্রদের ইচ্ছে অনুযায়ী চলছে না। কোথায় যদি ভুল করে এর দায় কেন ছাত্র নিবে। মামলা কি ছাত্রদের কেউ করছে? বিএনপি একদিন ছাত্রদের উপর চাপিয়ে দেবে। আওয়ামীলীগ এর কাছে সাধু সাজবেন। কিন্তু ছাত্র রাজনীতি দেশের সুযোগ সুবিধা খাচ্ছে না। এখনি রোডঘাট দখল করে ফেলছেন বিএনপি। চাকরির সুপারিশ ও তাদের আওতায়। তাহলে আওয়ামী তাড়িয়ে কি লাভ হলো। আগের মত চললে