![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি আরেকটি বার তোমার প্রেমে পড়তে চাই।
উচ্চৈঃস্বরে কুরআন পাঠ সম্পর্কে শরিয়তের ফায়সালা
১।মিশরের প্রসিদ্ধ গ্রন্থ ‘আত-তাহতাবি’-এর ২৪ পৃষ্ঠায় উল্লেখ রয়েছেঃ
কুরআন তেলায়াতকারীর জন্য কুরআনের সম্মান রক্ষা করা ওয়াজিব। অতএব বাজার সমূহ এবং এমন জায়গায় কুরআন তেলাওয়াত করা নিষিদ্ধ যেখানে লোকজন অন্য কাজে ব্যস্ত থাকে। এ সকল স্তানে কুরআন পাঠ করা হলে পাঠক কুরআনের সম্মান বিনষ্ট করার কারণে গুনাহগার হবে। কর্মব্যস্ত লোকজন গুনাহগার হবেনা। কেননা করমে ব্যস্ত লোকজন তাদের কাজকর্ম ত্যাগ করলে ক্ষতির সম্মুখীন হবে। জীবিকা নির্বাহের জন্য তারা আপন কার্যাবলীর মুখাপেক্ষি। অতএব চিন্তা করুন।
২। মিশরের প্রসিদ্ধ গ্রন্থ ‘বাহরুর রায়িক’ ১ম খণ্ডের ৩৪৩ পৃষ্ঠায় উল্লেখ রয়েছেঃ
যদি ছাদের উপর রাত্রি বেলায় উচ্চৈঃস্বরে কুরআন পাঠ করা হয়, অথচ লোকজন ঘুমন্ত অবস্তায় রয়েছে, তবে পাঠক গুনাহগার হবে।
ইমাম হালবি রা.-এর প্রসিদ্ধ গ্রন্থ ‘শরহুল মুনিয়া’-এর মধ্যেও এ ধরনের উল্লেখ রয়েছে। কারন এতে পাঠক অকাট্য নসের(আয়াতের) বিরোধিতা করছে। অকাট্য নস হচ্ছে এই আয়াত-“আমি তোমাদের জন্য নিদ্রা কে প্রশান্তি হিসাবে সৃষ্টি করেছি। এই আয়াতের বিশ্লেষণে প্রখ্যাত মুফাসসির আল্লামা বায়জাবী (রা) উল্লেখ করেছেন, ‘পঞ্চইন্দ্রিয়ের অনুভূতি এবং এক স্তান হতে অন্য স্তানে গমনাগমনের ক্ষমতা নিদ্রার সাহায্যে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এতে দেহের বিশ্রাম হয় এবং শারীরিক ও মানসিক ক্লান্তি দূরীভূত হয়।
৩।মিশর থেকে প্রকাশিত চার মাজহাবের প্রসিদ্ধ গ্রন্থ ‘আল-ফিকহ আলাল-মাজাহাবিল আরবা’-এ ১ম খণ্ডের ৪৬৫ পৃষ্ঠায় উল্লেখ রয়েছেঃ ‘কেউ যদি ইমানদার মানুষ ব্যতীত অন্যের নিকট হতে সাজদার আয়াত শ্রবন করে, যেমন কোন লোক তোতা পাখি অথবা লাউড স্পিকার থেকে সাজদার আয়াত শ্রবন করে, তখন এই শ্রবন দ্বারা সাজদা ওয়াযিব হবেনা। কারন এর দ্বারা তিলায়াত শুদ্ধ নয়।
উপর্যুক্ত দলিল দ্বারা প্রমানিত যে, লাউড-স্পিকার অর্থাৎ মাইক দ্বারা কুরআন তেলায়াত শুদ্ধ হবে না এবং কুরআনের বেইজ্জতি করার কারনে তাওবা করতে হবে।
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:২৬
ধর্ম-কথক বলেছেন: অতএব, অনুধাবন ও অনুকরণের চেষ্টা করবেন আশা করি!
ধন্যবাদ।
২| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:৪২
মুহাম্মাদ মাহফুজুর রহমান শরীফ বলেছেন: কোন মানুষকে অসুবিধায় না ফেলে, নির্জনে উচ্চৈঃস্বরে কুরআন পাঠ করা হারাম নয়।
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:৩৪
ধর্ম-কথক বলেছেন: কিন্তু লাউডস্পিকারে যখন পড়া হয়??
আশা করি জবাব দিবেন!
৩| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:৪৭
বশর সিদ্দিকী বলেছেন: কোরান যখন পাঠ করা হয় তখন তা মনজোগ দিয়ে শোনা ওয়াজিব বা এধরনের কিছু। তাই মাইকে কোরান পাঠ ঠিক না। তবে কোন বড় ওয়াজ মাহফিলে অর্থ সহ পাঠ করাতে সমস্য হবে না।
আমার ব্লগে দাওয়াত রইল। ধন্যবাদ।
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩১
ধর্ম-কথক বলেছেন: তবে কোন বড় ওয়াজ মাহফিলে অর্থ সহ পাঠ করাতে সমস্য হবে না।-
আপনার এই মন্তব্যের পক্ষে কী করান,হাদীস সম্মত কোনও দলিল আছে??
৪| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:৫৫
মুহাম্মাদ মাহফুজুর রহমান শরীফ বলেছেন: আপনি কি ভাবছেন, আমি আপনার কথার পুরোপুরি বিরোধিতা করছি ?
মোটেও সেটা না।
আমি বলেছি, " কোন মানুষকে অসুবিধায় না ফেলে, নির্জনে উচ্চৈঃস্বরে কুরআন পাঠ করা হারাম নয়। "
তবে, একদিকে কুরআন তেলায়াত চলছে, অন্য দিকে মানুষ মনযোগ দিয়ে সেটা শুনছে না, বরং নিজের খুশি মত যা ইচ্ছা তাই করছে, এটা অন্যায় ।
এই ভাবে কুরআন পাঠ করলে, মানুষে কুরআন-কে উপেক্ষা করতে শিখবে, যা মোটেও কাম্য নয়।
তাই কুরআন এমন ভাবে পাঠ করা উচিত, যাতে সেখানে শুধু মনযোগী শ্রোতারাই থাকে এবং শুনে।
কুরআন পাঠের আওয়াজ যাতে অমনযোগী শ্রোতার কাছে না পৌছে, সেই ব্যাপারে যথেষ্ট সতর্কতা মূলক ব্যাবস্থা নিতে হবে।
বড় হল রুমে বা কোন বড় জায়গায়, যখন লাউডস্পিকারে কুরআন পড়া হয়, তখন এই ব্যাপারে নিশ্চয়তা থাকতে হবে যে, যেখানে বাইরের কোন অমনযোগী শ্রোতা আসবে না বা থাকবে না এবং ভিতরে লাউডস্পিকারে পড়া হলেও বাইরের কোন অমনযোগী শ্রোতা সেটা শুনতে পারবে না, অর্থাৎ আওয়াজটা নিদৃষ্ট এলাকার বাইরে যাবে না।
যদি লাউডস্পিকারে কুরআন পড়া হয় আর আওয়াজটা নিদৃষ্ট এলাকার বাইরে না যায়, তবে সেটা হারাম না।
অনেক সময় লাউডস্পিকারে কুরআন এমন ভাবে পড়া হয়, যে আওয়াজটা নিদৃষ্ট এলাকার বাইরেও অনেক জায়গা জুড়ে শুনা যায়, যেখানে বিপুল পরিমাণ অমনযোগী শ্রোতা থাকে।
অবশ্যই, এই বিপুল পরিমাণ অমনযোগী অর্থাৎ কর্মব্যস্ত, ঘুমন্ত এবং অসুস্থ শ্রোতাদেরকে এভাবে জোর করে লাউডস্পিকারে কুরআন শুনানো অন্যায় কাজ। তাই শুধু এই অবস্থাতে্ই এটা নিষেধ।
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:২১
ধর্ম-কথক বলেছেন: আপনি যেভাবে বলছেন তা কী আদৌ সম্ভব। এই ব্লগে নজর রাখুন। সামনে আরও অনেক দলিল পাবেন।
৫| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:৫৯
আমি সাজিদ বলেছেন: লজিক আছে।
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:২১
ধর্ম-কথক বলেছেন: আল্লাহ আপনাকে হিদায়াত দান করুন!!
৬| ০২ রা মার্চ, ২০১৪ দুপুর ২:৫২
মৃন্ময় বলেছেন: বেপারটিকে ব্লগে তুলে আনার জন্য ধন্যবাদ
৭| ০৬ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:০০
সাাজ্জাাদ বলেছেন: ব্যাপারটি সম্পর্কে আমি জানি । আমি অনেক চেষ্টা করেছি কিন্তু এর বিপক্ষে কোনও যুক্তি পাইনি। আমি এই ব্যাপারটা মেনে চলি।
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:২১
কৃর্তনখোলা বলেছেন: যুক্তি আছে।