নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইলা

ইলা › বিস্তারিত পোস্টঃ

দয় করে এড়িয়ে যাবেন না। সঠিক পরামর্শ ও দিক নির্দেশনা চাচ্ছি।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৩০

আমাদের দেশ এখন আর দেশ নাই, এখন কান্ট্রি হয়েগেছে। এটা আর্থিক, শিক্ষা, প্রযুক্তি সর্বক্ষেত্রে অসম্ভব উন্নতি সাধন করেছে। বিশেষ করে শিক্ষার ক্ষেত্রে। প্রতিবছর পাশের হার বেড়ে চলছে। এবছর জে এস সি, পি এস সি ফলা ফল ও আগের তুলনায় ভালই ছিল। আর এই পাশের হার শুধু মাত্র শহর ভিত্তিক। ঢাকার প্রথম সারির স্কুলগুলো ছাড়াও ২য়, তৃতীয় শ্রেণীর স্কুল গুলোর পাশের হারই নয় এ + ছিল ৯০% থেকে ৯৭% পর্যন্ত। এটা অবশ্যই আমাদের জন্য গর্বের বিষয়। কিন্ত হতাশার ব্যাপার হল- আমার এক আত্মীয় গ্রামের এক স্কুল থেকে পি এস সি পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করেছিল। তার ফলা ফল ইন্টারনেটে দেখতে গিয়ে অবাক হলাম। ঐ মেয়ে এ+ তো পায়নি বরং আমি ইচ্ছা করে পাশা পাশি ৫০ টি নাম্বারে ক্লিক করেও একটাতেও এ+ দেখলাম না। ঢাকা শহর বা অন্যান্য জেলা শহরের পাশের হার বা এ+ দিয়ে কী আমাদের দেশের সার্বিক শিক্ষা উন্নয়নের মূল্যাযন করা হয়? গ্রামের যে সব ছেলে মেয়েরা এ+ পায়নি তারা সবাই কী মেধার দিক থেকে দুর্বল ? মনে হয় না। তবে কেন তাদের ফলা ফল শহরের ছেলে মেয়েদের মত এত ভাল হয় না? উত্তর আসবে শহরের অভিভাবকরাই বেশী সচেতন এবং তুলনা মূলকভাবে গ্রামের ছেলে-মেয়েরা পড়াশুনার অনুকুল পরিবেশ কম পেয়ে থাকে। লেখা পড়ার ধরন, বিশেষ করে সৃজনশীল পদ্ধতি হওয়াতে তাদের সমস্যা হয়। বিশেষ করে ইংরেজী ও অংকে গ্রামের ছাত্র ছাত্রীরা বেশী দুর্বল। ছেলেরা কোনভাবে এ- বা এ গ্রেডে পাস করেও পড়্রাশুনা চালিয়ে যায়। সমস্যা হয় মেয়েদের নিয়ে। গ্রামের কত মেয়ে যে জে এস সি পর্যন্ত গিয়েই ঝরে পড়ছে, তার হিসেব কী আমরা রাখছি।
বেশী প‌্যাঁচালে না গিয়ে সরাসরি বলতে চাচ্ছি গ্রামের পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা বঞ্চিত মেয়েদের খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ আমার হচ্ছে। তাই আমি ছোট পরিসরে বেছে বেছে ১০টি মেয়েকে নিয়ে শুরু করতে চাচ্ছি। যাদের যথাযথ সুযোগ সুবিধা দিয়ে জে এস জি পর্যন্ত নয় এস এস সি ও নয় অন্ততঃ ইন্টার মিডিযেট পাস করতে পারে তার জন্য সাবির্ক ব্যবস্থা করতে চাই।
দয়াকরে আমাকে আর্থিক সাহায্য নয়, শুধু সঠিক পরামর্শ ও নির্দেশনা দিয়ে সাহায্য করুন!

সাথে সাথে কি কি ধরনের প্রতিবস্ধকতার স্বীকার হতে পারি সে গুলো ও তুলে ধরুন।

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৪৯

যোগী বলেছেন: খুব ভালো একটা চিন্তা করেছেন। আমার মনে হয় কোন প্রতিবন্ধিকতার স্বীকার হবেন না। সবাই আপনাকে সাহায্যই করবে বলে মনে করি।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:৩০

ইলা বলেছেন: ধন্যবাদ @ েযাগী, সবাই সাহায্য করবে বলে মনে হয়। এত সহজ না। এবছর জে এস সি পাস করেছে আমার এক আত্মীয়। মেয়েটিকে বিবাহ দেয়ার জন্য পরীক্সার আগ থেকেই তোড় জোড় চলছিল। কী ভাবে যে আমি মেয়েটির মাকে, দাদী, বাবা, মামা প্রত্যেক কে আলাদা আলাদা ফোন করে বিবাহ ওই যাত্রায় বন্ধ করতে সক্ষম হয়েছিলাম। আমি তাকে প্রতিশ্রৃতি দিয়েছিলাম তোমার মেয়ের বিয়ের সমস্ত খরচ আমি দিব । তবুও তুমি এখনই এত ছোট মেয়েকে বিবাহ দিও না। ওর মায়ের আশংকা মেয়ের বয়স েবশী হলে ভাল ছেলে পাবে না।

২| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৫১

ভাঙ্গা হৃদয় বলেছেন: ওরা প্রশ্নপত্র হাতে পায়নি তাই রেজাল্ট ভালো হয়নি। চোখ রাখুন বিভিন্ন ফেবু পেজে তাহলে সবাই শিওর এ+ পাবে।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:৩৪

ইলা বলেছেন: না, গ্রামেও প্রযুক্তির কল্যানে অনেকে ফেস বৃক খোলে এবং প্রশ্ন তারাও পেয়েছে অনেকে। প্রশ্ন পত্র পেয়ে পাস করতে পাবে, কিন্ত্র সবগুলোতে এ+ আনা সম্ভব?? ধন্যবাদ!! আরো পরামর্শ চাচ্ছি।

৩| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:০৮

প্রামানিক বলেছেন: বাস্তবতা নিয়ে চমৎকার ভাবনা। ধন্যবাদ

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:৩৬

ইলা বলেছেন: ভাবনা টাকে কাজে লাগাতে চাই।

৪| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:১৭

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: শুরুতে একটু দ্বিমত পোষণ করছি। দেশ উন্নতি করছে মানছি। দেশের শিক্ষা ক্ষেত্রে উন্নতি ঘটছে সেটাও মানছি। তবে সেই উন্নতির চিত্রটি দয়া করে "পাসের হার" বা ''এ প্লাসের" সংখ্যা দিয়ে নিরুপণ করতে যাবেন না। বর্তমানে প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থায় পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের নাম্বার পাওয়া খুব সহজ হয়ে গিয়েছে পূর্বের তুলনায়। বিগত কয়েক বছরের টিউশনি করানোর অভিজ্ঞতা থেকেই বলছি এ কথা। আর তারই ধারাবাহিকতায় বর্তমান প্রজন্মের অধিকাংশ শিক্ষার্থীগণ এমন কিছু কৌশল অবলম্বন করেন যাতে খুব সহজেই অল্প পরিশ্রমে অধিক সফলতা পাওয়া যায়। তারা সফল হোক তাতে আমার কোন আপত্তি নেই তবে আকাঙ্ক্ষা এটাই যে সফলতা যেন তারা যোগ্য পরিশ্রম করেই অর্জন করে। এই ব্যবস্থার যে বিরুপ প্রভাব সেটা কিন্তু ইতোমধ্যে পড়তে শুরু করেছে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় দেখা যাচ্ছে যে http://bangla.bdnews24.com/campus/article860521.bdnews (এই লিঙ্কের একদম শেষ অংশে এর স্বপক্ষে বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে)। প্রশ্ন ফাসের ব্যাপারটি না হয় উহ্যই থাকল।

আমি সাধুবাদ জানাই আপনার এই প্রচেষ্টা কে যে আপনি গ্রামের সুবিধা বঞ্চিত মেয়েদের শিক্ষিত করার একটা পদক্ষেপ নিচ্ছেন। শুধু এইটুকু অনুরোধ থাকল যে তারা যেন প্রকৃতই শিক্ষিত হয় এই ব্যাপারটার দিকে দৃষ্টি রাখবেন যা তাদের উচ্চ শিক্ষা এবং পেশাগত জীবনে সুফল বয়ে আনবে। প্রচলিত উপায়ে অর্জিত এক বা একাধিক এ প্লাস যেন তাদের জীবনের বোঝা হয়ে না দাঁড়ায়।


শিক্ষার্থীরা সাধারণত কিছু সাধারণ সমস্যায় ভোগেনঃ

* সৃজনশীল পদ্ধতি নিয়ে একটা অহেতুক ভীতি।
* গণিত এবং ইংরেজির মত বিষয়গুলোতে শর্টকাট পদ্ধতিতে সাফল্য অর্জনের অভিলাষ।
* বিজ্ঞানের বিষয়গুলো না বুঝে মুখস্থ করে ফেলার প্রবণতা। এক্ষেত্রে বাস্তব প্রয়োগ বা উদাহরণ বেশ ফলপ্রসু।
* আবার বাংলা, সামাজিক বিজ্ঞান প্রভৃতি বিষয়ের প্রতিই মোটেও গুরুত্ব না দেয়া। এক্ষেত্রে বিষয়গুলোকে আকর্ষণীয় করে তোলার প্রচেষ্টা নেয়া যেতে পারে।


অনেক বলে ফেললাম এজন্য শরমিন্দা।


ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল। সফল হোক আপনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টা।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:৪৯

ইলা বলেছেন: ধন্যবাদ! না, একটুও বেশী হয় নি।আমি এ রকমই চাচ্ছি, ছাত্র ছাত্রীরা কী ধরনে সমস্যা ফিল করে। অবিভাবক রা কী ভাবেন, আমার এই উদ্যোগ কে তারা কীভাবে নিবেন? কারন এস এস সি পাস করার পর অধিকাংশ মেয়েকে বিয়ে দিতে চায়। তখন কিভাবে মোকাবেলা করব? আরো একটু খেটে আমাকে বাস্তব কিছু নির্দেশনা দিন। আপনার মূল্যবান পরামর্শের জন্য অপেক্ষা করছি।

আমার কি মাঝে মাঝে অবিভাকদের (অল্প িশক্ষিত অবিভাবক) ডাকা এবং তাদের সাথে মত বিনিময় করা উচিত কি না, ছাত্র-ছাত্রীদের ভাল ফলাফলের জন্য উংসাহমূলক কিছু করা, যাতে তাদের কাছে এটা এনজয়ফুল হয় ইত্যাদি

৫| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:২৬

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: উপরের লিঙ্কটা কাজ করছে না :(

* এই ব্যবস্থার যে বিরুপ প্রভাব সেটা কিন্তু ইতোমধ্যে পড়তে শুরু করেছে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় দেখা যাচ্ছে যে প্রচুর এ প্লাস পাওয়া শিক্ষার্থীগণ অংশ গ্রহন করেও ভর্তির ন্যূনতম যোগ্যতা অর্জন করতে পারছেন না। (এই লিঙ্কের একদম শেষ অংশে এর স্বপক্ষে বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে)। প্রশ্ন ফাসের ব্যাপারটি না হয় উহ্যই থাকল।

৬| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৫৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
এটিও পড়ুন -

যে কারনে ঢাবি ইংরেজি বিভাগে ফেল

৭| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৫৬

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: অবশ্যই আপনার মাঝে মাঝে অভিভাকদের ডাকা এবং তাদের সাথে মত বিনিময় করা উচিত। তারা যখন দেখবেন শুধু তাদের একার সন্তান নয় আরও অনেক বাবা মায়ের সন্তানরাও এই কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছে, সেটা তাদের জন্য বেশ স্বস্তিদায়ক ব্যাপার হবে। এক্ষেত্রে খুব চমৎকার একটা ব্যাপার হচ্ছে আমাদের দেশের অভিভাবকরা এখন বেশ সচেতন। অন্তত পূর্বের চেয়ে তো বটেই। কোনভাবে যদি আপনার সৎ উদ্দেশ্যটা তারা অনুধাবন করতে পারেন তবে আপনার তেমন কোন সমস্যা আসার কথা না। বরং অভিভাবকদের কাছ থেকে যথেষ্ট সাহায্য সহযোগিতা আশা করতে পারেন।

সমস্যা হতে পারে অন্য দিক থেকে। আমাদের সমাজে একটা ভীষণ বাজে অভ্যাস হচ্ছে "একজনের ভালো কাজে বাগড়া দেয়া"। গ্রাম্য পরিবেশে যদি আপনার পেছনে একজন প্রভাবশালী পৃষ্ঠপোষক না থাকেন তবে সেটা একটু চিন্তার বিষয়। বেশ কিছু সামাজিক সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। এই বিষয়ে একটু সচেতন থাকতে হবে।

ছাত্রছাত্রীদের অনুপ্রাণিত করতে পাঠ বহির্ভূত কার্যক্রম বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। এটা একটা চমৎকার কিশোর উপযোগী গল্পের বই হতে পারে। সব থেকে বেশি প্রয়োজন তাদের স্বপ্ন দেখতে শেখানো। তাদের লক্ষ্যটা তাদের সামনে দেখানো। তাদের যদি একটা ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে বেড়াতে নিয়ে যেতে পারেন বা খুব চমৎকার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাপারগুলো তাদের সামনে তুলে ধরে বলেন এইখানে আসতে হলে তাদের কি রকম পরিশ্রম, অধ্যবসায় বা একাগ্রতা থাকতে হবে। তারা কিন্তু সেটা করবে। একই ভাবে এই ব্যাপারগুলোতে অভিভাবকদের সংশ্লিষ্টতা থাকলে ভালো হয়। তারাও তাদের সন্তানদের ভবিষ্যত নিয়ে আশাবাদী হয়ে হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকবেন।


অনেক অনেক শুভকামনা রইল :)

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:২৬

ইলা বলেছেন: ধন্যবাদ! অসাধারন!

৮| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:২৮

ARIFSUK বলেছেন: nice

৯| ১৮ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৫২

প্রীতম বলেছেন: বিষয়টা খুব গুরুত্বপুর্ণ বলে কিছুটা লেখা প্রয়োজন বলে মনে করছি।
প্রথমত আপনাকে সাধুনবাদ জানাই এমন একটি মহৎ উদ্দেশ্যকে।
আমি আপনার বিষয়টি নিয়ে একটু বিশ্লেষন করতে চাই।
প্রথম আপনি বলছেন গ্রামের এবং শহরের শিক্ষার এবং পাশের মান ও পার্সেনটেজ এক নয়।
এখানে কথাটা সম্পুর্ণ না হলেও কিছুটা সত্যি। সম্পুর্ণ কেনো সত্যি নয় সে বিষয়ে এইমুহুর্তে আলোকপাত করছি না।
শহর এবং গ্রাম এর এমন বৈশম্যের কারন হিসেবে যদি আমি ভাবি প্রথমেই আমরা জানবো পরিবেশ তথা শিক্ষিত অভিভাবক এর অভাবের কথা।
কে যেনো বলেছিল- "আমাকে একটি শিক্ষিত মা দাও, আমি তোমাকে একটি শিক্ষিত জাতি দেব।"
যথার্থই বলেছিলেন।
আজ আপনি যে ছাত্র/কিংবা ছাত্রীটিকে সঠিক শিক্ষায় শিক্ষিত করতে চাচ্ছেন তারা যদি একদিন সত্যি সত্যি আপনার প্রচেষ্টায় সঠিক শিক্ষা পায় এবং জীবনে ভালো কিছু করে এবং সম্পুর্ণ শিক্ষিত একটি পরিবার তৈরী করে তবে ভবিষ্যতে সে পরিবারে সন্তানেরা শিক্ষিত বাবা-মা'র সহযোগিতায় ভালো, সুন্দর এবং যুযোগপযোগি শিক্ষার সুযোগ পাবে। সেক্ষেত্রে আপনার প্রচেষ্টাটি সম্পুর্ণ সফল হয়েছে বলে বলা যেতে পারে।
কিন্তু আপনার প্রচেষ্টা যদি কাজে না লাগে? যদি আপনার অনেক কষ্টে তৈরী করা একটি ছাত্রীকে তার অশিক্ষিত (অর্ধ শিক্ষিত) অভিভাবকে অল্প বয়সে এবং বিদেশে গিয়ে ভালো টাকা রোজগার করছে এমন ছেলের কাছে বিয়ে দিয়ে মহা ভারত শুদ্ধ করেছে বলে ভাবে? তাহলে কি হবে তখন আপনার প্রচেষ্টার ফলাফল?
যদি, আপনার প্রচেষ্টার পরে গ্রামের দরিদ্র একটি ছাত্র/ছাত্রী এসএসসিতে এ+ পেয়েও ভালো কোন কলেজে ভর্তির ক্ষমতা না থাকে, কিংবা ভর্তি হয়েও সরকারী-বিরোধীদলীয় রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে উচ্চ শিক্ষা সম্পুন্ন করতে ব্যার্থ হয়?
যদি...., যদি....., যদি....., যদি....... এমন অনেকগুলো যদি এস সম্মুখে দাড়াবে। যে যদিগুলোর সমাধাণ না হওয়া পর্যন্ত সম্ভোবত আপনার স্বপ্নের বাস্তবায়ন অসম্ভব।
অর্থাৎ
যদি বাবা-মা শিক্ষিত হন এবং শিক্ষার মুল্যায়ন করেন
যদি অভিভাবকগন শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দেন।
যদি রাজনৈতিক হানাহানি না থাকে।
যদি শিক্ষকগণ প্রাইভেটের নামে মারাত্মক ভয়ংকর ব্যবসা বন্ধ করে।
যদি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সঠিক নিয়ম শৃংখলা বাস্তবায়ন হয়।
যদি সহরের মতো সুযোগগুলো গ্রামে/উপজেলায় দেবার ব্যবস্থা সরকার করে।
যদি যদি যদি যদি যদি.... (আমরা সব জানি)
সর্বপরী যদি আমরা নৈতিকতা শিক্ষাকে সর্বাগ্রে প্রাধান্য দেই তবে আপনার এই সুন্দর স্বপ্ন সহসাই বাস্তবায়ন হওয়া সম্ভব।
নিরাশ করছি না। সম্ভাবতা আছে আমাদের। শুধু প্রয়োজন, প্রয়োজনগুলোর সঠিক প্রয়োগ।
---------------
উপর পর্যায় থেকে শিক্ষকদেরকে চাপ দেয়া হয় পাশের হার বাড়ানোর জন্য। কিন্তু শিক্ষা, উন্নতী এবং উন্নয়ন যে নীতি ও নেতিকতার উপর দন্ডায়মান সে নীতি/নৈতিকতা শিক্ষার বালাইকি আদৌ আছে আমাদের শিক্ষায়?

১০| ২৪ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:৪৮

ইলা বলেছেন: ধন্যবাদ!! অনেক লিখেছেন। ভাই এতো যদি যদি করে কোন কাজে সফল হওয়া যাবে কী? আর আমার মাথায় যত টুকু ভাল চিন্তা আসে, আমি তা আত্মবিশ্বাস নিয়ে করে যাই। আল্লাহ ভরসা। আর সব সময় সফল হওয়ার আশা করাও ঠিক নয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.