নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যখন যা ভাল লাগে তাই, নির্ভাবনার জীবন চাই না। চ্যালেঞ্জ ভাললাগে।

জেবাল

কি করমু কিছুতেই বুঝতে পারি না

জেবাল › বিস্তারিত পোস্টঃ

হার্নিয়া: কারণ, লক্ষণ, প্রতিকার

২৭ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ১১:৩৬

আমাদের দেশে হার্নিয়া একটি সচরাচর দেখতে পাওয়া সমস্যাগুলোর মধ্যে একটি। হঠাৎ করে কারো নাভী, উদর ও উরুর সংযোগস্থল, পুরুষের ক্ষেত্রে অন্ডকোষ, মহিলাদের ক্ষেত্রে উরুর ভেতরের দিকে ফুলে গেলে হার্নিয়া হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে সনাক্ত করা যায়।



কী এই হার্নিয়া?



মানুষের পেটের(Abdomen) ভেতরের অনেক অংশ পার্শ্ববর্তী অংশ থেকে দুর্বল, এসব দুর্বল অংশগুলো খুবই নাজুক অবস্থায় থাকে। যদি কোন কারনে পেটের অভ্যন্তরে চাপের পরিমান বেড়ে যায়, তাহলে আমাদের অন্ত্রের বিভিন্ন অংশ ঐ চাপে স্থানচূত হয়ে সেই দুর্বল যায়গা দিয়ে প্রবেশ(penetrete) করে ফেলে তখন নাভী, উদর ও উরুর সংযোগস্থল, অন্ডকোষ ইত্যাদি এলাকা ফুলে ওঠে। এটিই হল হার্নিয়া।



কেন উদর অভ্যন্তরের চাপ বৃদ্ধি পায়?



 পুরনো কাশি

 হাঁচি

 কোষ্ঠকাঠিন্য

 প্রোস্টেটগ্রন্থি বড় হয়ে যাওয়া

 প্রেগনেন্সি ইত্যাদি



প্রকারভেদঃ



ইঙ্গুইনাল হার্নিয়া (Inguinal Hernia): এই ধরনের হার্নিয়ায় অন্ত্রের অংশবিশেষ উদর ও উরুর সংযোগস্থলে ইঙ্গুইনাল রিজিওন দিয়ে প্রবেশ করে। তখন উদর ও উরুর সংযোগস্থল ফোলা মনে হয়।









ইঙ্গুইনো স্ক্রোটাল হার্নিয়া(Inguino-scrotal Hernia): এধরনের হার্নিয়া ইঙ্গুইনাল হার্নিয়াতে কোন ব্যবস্থা না নিলে হয়ে থাকে। তখন অন্ত্রের অংশবিশেষ নামতে নামতে একেবারে অন্ডকোষে এসে প্রবেশ করে, ফলে অন্ডথলি ফুলে যায়।



ফিমোরাল হার্নিয়া(Femoral Hernia): ফিমোরাল হার্নিয়া সাধারনত মহিলাদের হয়। এক্ষেত্রে উরুর ভেতরের দিকে স্ফিতি দেখা দেয়।



আম্বিলিকাল হার্নিয়া(Umbilical Hernia): এক্ষেত্রে নাভির চারপাশ বা একপাশ ফুলে ওঠে।









ইনসিসনাল হার্নিয়া(Incisional Hernia): উদরের পূর্বে অপারেশন করা হয়েছে এমন অঞ্চলে ইনসিসনাল হার্নিয়া হয়। কেননা অপারেশনের ফলে সেই অঞ্চল খানিকটা দুর্বল হয়ে পড়ে।



হার্নিয়ার লক্ষণ:



 কুঁচকি বা অন্ডথলি ফুলে যাওয়া।

 নাভির আশপাশ ফুলে যাওয়া।

 উরুর গোড়ার ভেতর দিক ফুলে যাওয়া।

 পেটে পূর্বে অপারেশন করা হয়েছে এমন স্থান ফুলে যাওয়া।



জটিলতাঃ



 প্রচন্ড ব্যাথা

 বমি ভাব

 বমি

 মল ত্যাগে অসুবিধা

 হার্নিয়ার চিকিৎসায় বিলম্ব হলে আটকে যাওয়া খাদ্য খাদ্য নালীর রক্ত সরবরাহ ব্যাহত করে গ্যাংগ্রিন ঘটাতে পারে।

 পেরিটোনাইটিস

 সেফটিসেমিয়া

 শক

 মৃত্যুও হতে পারে।



চিকিৎসাঃ



এ রোগের একমাত্র চিকিৎসা হল সার্জারি। তাই দেরি না করে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হয়।



:-/ডিসক্লেইমারঃ লেখার উদ্দ্যেশ্য চিকিৎসা নয়, শুধুমাত্র জ্ঞানার্জন। রেজিস্টার্ড ডাক্তারের প্রেস্ক্রিপশন ছাড়া যেকোন চিকিৎসা আইনত দন্ডনীয়।:-/



সর্বপ্রথমে টেকস্পেট.কম-এ প্রকাশিত।View this link

ধন্যবাদ।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ১২:১০

আহমাদ জাদীদ বলেছেন: গুড পোস্ট......

২৮ শে এপ্রিল, ২০১২ দুপুর ১:০২

জেবাল বলেছেন: থাঙ্কস

২| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ২:৪০

ব্লগার ইমরান বলেছেন: ধন্যবাদ :D :D । ++++

২৮ শে এপ্রিল, ২০১২ দুপুর ১:০২

জেবাল বলেছেন: ভাল লাগলো

৩| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১২ বিকাল ৩:০০

যুবাইরআজাদ বলেছেন: অনেক দিন থেকে এই বিষয়ে জানার ইচ্ছা ছিল, কিছুটা হলেও জানতে পারলাম।
ধন্যবাদ ভাল থাকবেন।

০৯ ই মে, ২০১২ বিকাল ৩:৪৭

জেবাল বলেছেন: থ্যাঙ্কস

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.