নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

dilshan

dilshan › বিস্তারিত পোস্টঃ

জিহাদকে মরিয়া প্রমান করিতে হইলো যে সে সত্যকারেই পাইপলাইনে পরিয়াছিলো !!!!!!!

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:২০

গত 48 ঘন্টা হলো বুকে একটা চাপা ব্যাথা নিয়ে ঘুরতে হচ্ছে । জিহাদ বাবুটাা প্রায় আমাার বাবুর সমান। গত কাল বাবুটার লাশ দেখে আর নিজেকে সংজত করতে পারিনি, হাপুস নয়নে কেঁদেছি । যুক্তি বুদ্ধি ছাড়াই শুধু মনে হচ্ছিলো আহারে কেউ একটা গড়ম কাপর দিয়ে জরাচ্ছে না কেন বাচ্চাটাকে ! বেশি না আর মাত্র কয়েকটা ঘন্টা আগে যদি উদ্ধার করা যেত তবু বাবুটাকে হয়ত বাঁচানো যেত !!!!!!!! কিন্তু যদি বেচেও যেত সারা জীবনে কি স্বাভাবিক হতে পারত বাচ্চাটা ? যে পরিমান ট্রমার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে এই দুধের শিশুটাকে, বেচে থাকলে আদৌ স্বাভাবিক ভাবে বেচে থাকত কিনা কে জানে । মানুষতো মরনশীল ! মরবে না কেন ? অসুখে মারা যায় দূর্ঘটনায় মারা যায়, প্রাকৃতিক দূযোর্গে মারা যায় ! কিন্তু তাই বলে এমন নিষ্ঠুর মৃত্যু ? দুধের একটা শিশু সম্পূর্ণ একা দীর্ঘ দুইটা দিন ! এত লম্বা নিকষ অন্ধকার একটা রাত ! খালিগায় অসহনীয় ঠান্ডা !!!!! একটা জনমানুষ নাই ! একটা সান্তনা দেয়ার কন্ঠস্বর নাই !!!!!! সভ্যতার নিষ্ঠুরতা ! এটা সভ্যতার পেমেন্টে হিসেবে ধরে নিলে ভূল হবে । কিন্তু জাতি হিসেবে কি অদ্ভুত দাম্ভিক জাতি আমরা !!!!! জাতিটার রন্ধ্রে রন্ধ্রে দূনির্তি ভাইরাসের চেয়ে ভয়াবহ আকারে ছরিয়েছে তারপরও কি গর্ব আমরা বংলাদেশী !!!!! সুন্দরবোন ধংস করে কয়লা বানাচ্ছি তারপরও কি গর্ব মধ্য আয়ের দেশ হচ্ছি !!!!!! রানা প্লাজায় 1200 মানুষ কে জ্যান্ত কবর দিয়েও আমাদের শিক্ষা হয়না । কি আজব মন্ত্রি আমাদের এর মধ্যেও সরকারের ইমজে প্রশ্ন প্রকট হয়ে গেল ! দুম করে ঘোষনা দিয়ে বসল পাইপে কোন মানব দেহ নাই ! কি আজব নিরাপত্তা বাহিনী আমাদের শোকে মূহ্যমান এক পিতা কে পুলিশ কাস্টেডিতে ঢুকে প্রমান দিতে হয় তার নিখোঁজ সন্তান কে নিয়ে তিনি কোন গুজব চরাচ্ছেন না । যে শিশুটি জিহাদের কান্না শুনেছিলো তাকেও থানায় গিয়ে স্বাক্ষ্য দিতে হলো আমি মিথ্যা বলিনি ! কি গবির্ত জাতি আমরা !!!!!! আমি যদি না পারি, আমার যদি ক্ষমতা না থেকে সেটা স্বীকার করার মধ্যেতো দোষের কিছু নাই । এটা আমার স্বীমাবদ্ধতা দোষ নয় । আমাদের ফায়ার সার্ভিসৈর যে অনেক ধরনের সীমাবদ্ধতা আছে সেটাতো এর আগেও অনেকভাবে প্রমানিত । এইটা অষ্মিকার করার কি আছে ? রাস্ট্রিয় তরফ থেকে আধুনিক কোন যন্ত্র পাতি দেয়া হয়না, আধুনিক কোন প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা নাই তাহলে এইটাতো আসলেই একা ফায়ার সাভির্স্ ইউনিটের দোষ না । সবাই বলে যাচ্ছে, টিভিতে লাইভও দেখাচ্ছে আসলেই যারা কাজ করছিলেন তাদের চেষ্টার কোন ত্রুটি ছিলো না ! পদার্থ্ বিদ্যার ভাষায় যে কাজের কোন আউটপুট নাই তাকে কাজ বলে না তাতে আপনি যতই সময় এবং শ্রম দেন না কেন ! আরে কি অদ্ভুত একটা সংস্থার আবার ইগো কি ? ইমেজ কি? ফায়ার সার্ভি্সের্ পরিস্থিতি মোকাবেলায় যে এক্সপারটিস প্রয়োজন, তা নেই । এইটা স্বিীকার করে নিয়ে ওইখানে বিভিন্ন যায়গা থেকে উপস্থিত অভিজ্ঞ যারা ছিলেন, যারা দাবী করছিলেণ তারা সহযোগিতা করতে পারেন তাদের উপর বেশী না অল্প একটু আস্থা রাখলেই আজকে এই অবুঝ শিশুটাকে বাচানো যেত । এত শক্তিশালী একটা সংস্থা যদি আম জনতার সহযোগিতা নেয় তাদের গর্ব করার কি থকলো বলেন ? চার বছরের একটা শিশুর জীবনের চেয়ে সবারই ইগোটা অনেক বেশী গুরুত্বপূর্ন । লাইভ টিভিতে অবাক হয়ে দেখছি শত শত লোক দারিয়ে আছে, অভাগা একটি শিশু 260 ফিট মাটির নীচে ভয়ে, শীতে থরথর করে কাপছে আর আমাদের মাননীয় অর্ধ মন্ত্রি না পুরা মন্ত্রি, ডিএমপির প্রধান, ফায়ার সাভিসের্র্ প্রধান আরো কতক প্রধান মাঝরাতে উপস্থিত হয়ে চেয়ারে পায়ের উপর পা তুলে বসে আছেন এবং এইটা যে আসলে কত বড় একটা নাটক তা প্রমান করার চেষ্টা করছেন । সরকার যদি সব গর্তেই সাপ খুজতে লেগে যান তাইলেতো মহা মুশকিল । সকলের ইগোর কাছে জিহাদকে মরিয়া প্রমান করিতে হইলো যে সে সত্যকারেই পাইপলাইনে পরিয়াছিলো !!!!!!! এই একটা বার সত্যি সত্যি প্রার্থনা করছিলাম যেন আসলেই এ্টা গুজব হয় !!!!!

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.