নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবে প্রেম করে যেজন, সেজন সেবিছে ঈশ্বর

দীপান্বিতা

দীপান্বিতা › বিস্তারিত পোস্টঃ

কথাচ্ছলে মহাভারত - ৪২

০৩ রা অক্টোবর, ২০১২ রাত ১২:১৪



ধৃতরাষ্ট্র, বিদুর ও পান্ডুর বিবাহঃ



কুরুবংশে তিন পুত্র ধৃতরাষ্ট্র, পান্ডু ও বিদুরের জন্ম হল। ভীষ্ম তাদের নানা বিদ্যাশিক্ষা দান করলেন।



ধৃতরাষ্ট্র অসাধারণ বলবান, পান্ডু পরাক্রান্ত ধনুর্ধর এবং বিদুর অদ্বিতীয় ধর্মপরায়ণ হলেন। ধৃতরাষ্ট্র জন্মান্ধ, বিদুর শূদ্রগর্ভজাত- একারণে পান্ডুই রাজপদ পেলেন।



অনেকদিন পর যখন তারা যৌবনপ্রাপ্ত, তখন ভীষ্ম তাদের বিবাহের কারণে চিন্তিত হলেন।





ধৃতরাষ্ট্র



যদুবংশে সুবলরাজের কন্যা গান্ধারী। তিনি ঈশ্বরের আরাধনায় বর পান একশত পুত্রের জননী হবেন। এ সংবাদ শুনে ভীষ্ম দূত পাঠালেন। কুরুবংশের সন্তান ধৃতরাষ্ট্রের জন্য তার কন্যা প্রার্থনা করলেন।শুনে গান্ধাররাজ ভাবলেন কুরুকূল মহাবংশ, কেবল পাত্র অন্ধ। কিন্তু কন্যা না দিলে ভীষ্ম ক্রোধীত হবেন- এই ভেবে তিনি এ প্রস্তাবে সম্মত হলেন।

বিবাহের আয়োজন চললো। হাতি ঘোড়া, রথ, রত্ন সকল সাজান হল। দাসদাসী, গরু, মহিষ- সে বিশাল আয়োজন চললো। গান্ধারীর ভাই শকুনির সঙ্গে অনেক ব্রাহ্মণও গেল। গান্ধারী শুনলেন স্বামী অন্ধ। নিজ কর্মফল ভেবে তিনি শুক্ল পট্টবস্ত্রে নিজের চোখ দুটি বেঁধে ফেললেন। এভাবে পতিকে অতিক্রম না করে, তার পথ অনুসরণ করে গান্ধারী পতিব্রতা রূপে জগৎ বিখ্যাত হলেন।



নন্দলাল বসুর আঁকা- গান্ধারী



শকুনি হস্তিনানগরে এসে বোনকে ধৃতরাষ্ট্রের হাতে অর্পন করলেন। নানা অলঙ্কার দান করলেন। হস্তী, অশ্ব, রথ, রত্নও প্রদান করলেন এবং নিজের দেশে ফিরলেন।





পান্ডু



জ্যৈষ্ঠ ধৃতরাষ্ট্রের বিবাহ দিয়ে ভীষ্ম পান্ডুর জন্য চিন্তিত হলেন। শূর নামে এক যাদবরাজ ছিলেন –যিনি বসুদেবের পিতা ও কৃষ্ণের পিতামহ। তার কন্যা পৃথা। কুন্তিভোজ রাজা শূরের বন্ধু/মিত্র ছিলেন এবং পৃথাকে খুব স্নেহ করতেন। কুন্তীভোজকে নিঃসন্তান ও দুখী দেখে শূর নিজ কন্যাকে দান করলেন। কন্যার নাম হল কুন্তী।



কুন্তী পূর্ণবয়স্কা হলে কুন্তীভোজ তাকে অতিথি শুশ্রূষায় নিয়োগ করলেন। পিতৃ আজ্ঞা পেয়ে কুন্তী অতিথিদের পূজা করেন, তাদের সেবাযত্ন করেন।



এসময়ে দুর্বাসা মুনি তার অতিথি হয়ে এলেন। কুন্তী নিজ হাতে তার পায়ে ফুল দিলেন, ধুয়ে দিলেন। রত্নময় সজ্জায় শয়ন করালেন। মিষ্টান্ন, পক্কান্ন দিয়ে ভোজন করালেন। কন্যা সর্বদা মুনির সামনে করযোড়ে থাকেন। তার সেবায় দুর্বাসা তুষ্ট হলেন এবং কুন্তীকে একটি মন্ত্র শিখিয়ে বললেন, এই মন্ত্র দ্বারা তুমি যে যে দেবতার স্মরণ করবেন তাঁদের প্রসাদে তোমার পুত্রলাভ হবে। মন্ত্রদান করে মুনি প্রস্থান করলেন।





এইরূপ আশ্চর্য বর পেয়ে কুন্তী আনন্দিত হলেন। তিনি মন্ত্র জপ করে দিনমনি তথা সূর্যকে স্মরণ করলেন। সঙ্গে সঙ্গে সূর্য তার সামনে উপস্থিত হলেন। সূর্যকে দেখে কুন্তী ভয় পেলেন। করযোড়ে তাঁকে বললেন দুর্বাসার মন্ত্রের পরীক্ষা করতে গিয়ে তিনি দেব দিনকরকে স্মরণ করে ফেলেছিলেন। বামা জাতির দোষ ভেবে তিনি যেন কুন্তীকে ক্ষমা করে দেন।



সূর্য বললেন মুনির বচন যেমন সত্য, তেমনি তার আগমনও সত্য এবং তা বৃথা হতে পারে না। প্রথমমন্ত্র পেয়ে কুন্তী সূর্যকে ডেকেছেন, তাকে ভজনা না করলে মন্ত্র ব্যর্থ হবে।



পৃথা বললেন তিনি শৈশব বয়স্ক, কোন ভুল কাজ করলে অপযশ রটবে।



দিনকর বলেন ভয় মনে এনো না, আমার কারণে তোমার কোন দোষ হবে না এ ভুবনে। আমাদের মিলনে তুমি পুত্র লাভ করবে এবং কুমারীই থাকবে।



অনেক প্রবোধ দিয়ে সূর্য বর দিয়ে গেলেন এবং পৃথাকে ভজনা করে তার সাথে শৃঙ্গার করলেন। তার বীর্য্যে পৃথার গর্ভে এক সন্তান এলো, যিনি জন্ম থেকেই অক্ষয় কবচ পেলেন, কানে তার সোনার কুন্ডল। পুত্রকে দেখে পৃথা বিস্মিত হলেন। এই অপরূপ পুত্র লোকখ্যাত হবে ভেবে চিন্তিত হলেন। তার দোষে কুলে কলঙ্ক পড়বে। এসব কথা ভেবে পৃথা পুত্রকে কোলে নিয়ে তাম্রকুন্ডে করে জলে ভাসিয়ে দিলেন।





সূতবংশীয় অধিরথ প্রতিদিন যমুনায় স্নান করতেন। তাম্রকুন্ড ভেসে যাচ্ছে দেখে তিনি তা তুলে এনে ভিতরে অপূর্ব সুন্দর কুমার দেখে আনন্দের সঙ্গে তাকে গৃহে নিয়ে গেলেন। তাঁর পরমাসুন্দরী স্ত্রী রাধা অপুত্রক ছিলেন-তারা বহুযত্নে পুত্রকে পালন করতে লাগলেন।





কর্ণ



পুত্রের নাম হল বসুসেন। দিনে দিনে পুত্র চন্দ্রের মত বাড়তে লাগলেন। সর্বশাস্ত্রে বিশারদ হয়ে তিনি মহাবীর হলেন। বসুসেন সূর্যের আরাধনা করতেন। জিতেন্দ্রিয় এই মহাবীর ব্রতে অনুরত, ব্রাহ্মণকে দান করেন, যিনি যা চান তাই দান করেন। কেউ প্রাণ চায় না তাই যেন তিনি প্রাণে বেঁচে আছেন। তাকে দেখে পুত্রের কারণে ইন্দ্র ব্রাহ্মণের বেশে এসে কুন্ডল কবচ প্রার্থনা করেন। বীর নিজ অঙ্গ কেটে তা ছদ্মবেশী ইন্দ্রকে দান করেন। ইন্দ্রও তাঁকে শক্তিঅস্ত্র দান করে বললেন-যার উপর তুমি এই অস্ত্র ক্ষেপণ করবে সে মরবে, কিন্তু একজন নিহত হলেই অস্ত্রটি আমার কাছে ফিরে আসবে। কবচ কেটে দেওয়ার জন্য বসুসেন কর্ণ ও বৈকর্তন নামে জগৎ বিখ্যাত হন।





কুন্তী ও পান্ডু



ভোজের কন্যা পৃথা পিত্রালয়ে থাকেন। যৌবনপ্রাপ্ত হলে তার স্বয়ম্বর করা হয়। সকল রাজাদের নিমন্ত্রণ করা হল। সকলের মাঝে পান্ডু ইন্দ্রের মত অবস্থান করলেন। তার শোভা যেন গ্রহের মধ্যে সূর্যের- তার কাছে সকল নৃপবর তুচ্ছ হয়ে গেল। পৃথা পান্ডুকে দেখে আনন্দিত হলেন এবং তাকেই বরণ করলেন। ভোজরাজ তাকে সন্মানিত করলেন। নানা রত্নে সাজিয়ে কন্যাকে দান করলেন। সকল রাজা যে যার দেশে গমন করলেন। কুন্তীকে নিয়ে পান্ডু নিজ দেশে এলেন। ইন্দ্রের কোলে যেমন পুলোমা নন্দিনী পৌলমী/শচী, রজনীপতি সূর্যের কোলে যেমন শোভিত রোহিনী- তেমনি পান্ডু ও কুন্তীকে দেখে হস্তিনানগর হরষিত হল। আনন্দের নগরজুরে নাচ গান অনুষ্ঠান হল।





মাদ্রী



কিছু সময় পর ভীষ্ম বিচার করে দেখলেন বংশবৃদ্ধির জন্য পান্ডুর আবার বিবাহ দেওয়া প্রয়োজন। তিনি শুনলেন মদ্রদেশে শল্য নামে এক রাজা আছেন যার পরমাসুন্দরী এক ভগিনী আছে। বার্তা পেয়ে ভীষ্ম সেখানে উপস্থিত হলেন।

শল্যরাজ ভীষ্মের যথাযথ সেবা করলেন এবং তার আগমনের কারণ জানতে চাইলেন। ভীষ্ম তাকে বললেন শল্য বিখ্যাত রাজা তাই তিনি তার সাথে বন্ধুত্ব করতে চান এবং সে কারণে তার ভগিণীর সাথে পান্ডুর বিবাহ দিতে চান।

শুনে শল্যরাজ হেসে জানালেন তাদের কুলের ধর্ম আছে কন্যাকে দিয়ে পণ নিতে হয়। তিনি এসব চান না। কিন্তু কুলধর্ম রক্ষা না করলে পাপ।

ভীষ্ম বললেন কুলাচার পালন করা কর্তব্য।

তিনি সাতকুম্ভ পূর্ণ করে অমূল্য রতন, কাঞ্চন, অশ্ব, রথ, গজ, বিচিত্র বসন প্রমুখ দান করলেন।



ধন পেয়ে শল্যরাজ প্রীত হয়ে নানা রত্নে ভগিণী মাদ্রীকে সাজিয়ে ভীষ্মের সম্মুখে আনলেন। মাদ্রীকে নিয়ে ভীষ্ম নিজদেশে উপস্থিত হলেন এবং পান্ডুর সাথে মাদ্রীর বিবাহ দিলেন। মাদ্রীর রূপ দেখে পান্ডু আনন্দিত হলেন। তিনি দুই স্ত্রী নিয়ে সুখি ছিলেন, দুজনকেই সমান সন্মান করতেন।



এসময় তিনি দিগবিজয়ের প্রতিজ্ঞা করেন। পদাতিক, রথাশ্ব, গজ, চতুরঙ্গ নিয়ে তিনি পশ্চিমদিকে যাত্রা করলেন। দশার্ণ দেশের রাজা, মগধের মদ্ররথ রাজা, মিথিলারাজ কশীচন্ড- প্রমুখকে যুদ্ধে পরাজিত করলেন। রাজারা মিলিত হয়ে তার বিরুদ্ধে যু্দ্ধ ঘোষণা করলেন, তথাপি পরাজিত হয়ে রণে ভঙ্গ দিলেন।

পান্ডু প্রচুর রাজকর নিয়ে দেশে ফিরলেন। তার যশে নগর পূর্ণ হল। ভীষ্ম পান্ডুর প্রতি প্রীত হলেন, তার মস্তক চুম্বন করলেন এবং অনেক আশির্বাদ দিলেন।

পান্ডু সকলকে প্রণাম জানিয়ে সকল সম্পদ ধৃতরাষ্ট্রকে অর্পণ করলেন। ধৃতরাষ্ট্রও তাকে সন্মানিত করলেন। পান্ডুকে অনেক দান করলেন। অশ্বমেধ যজ্ঞ করালেন, হস্তী, হয় তথা ঘোড়া, গরু এবং প্রচুর অর্থ ও ভূমি দান করলেন। ধৃতরাষ্ট্রের হাতে রাজ্যের অধিকার অর্পণ করে পান্ডু বনে মৃগয়া করতে গেলেন। কুন্তী ও মাদ্রীকে নিয়ে পান্ডু বনে বনে আনন্দে বাস করেন যেন হস্তিনানগরেই অবস্থান করছেন।





বিদুর



এবার ভীষ্ম বিদুরের বিবাহের কথা চিন্তা করলেন। তিনি দেবকরাজার কন্যাকে বিদুরের সাথে বিবাহ দিলেন। দেবকরাজের কন্যার নাম পরাশরী, রূপে তিনি স্বর্গের বিদ্যাধরীদের হার মানান। মহাধর্মশীল বিদুরের থেকে পরাশরীর গর্ভে যে পুত্ররা জন্মালেন তারা পিতার মতন অতি নম্র, ধীর, অসামান্য গুণশালী, ধর্মে সুস্থির।



কুরুবংশের বৃদ্ধির কথা যে জন শুনে তার বংশবৃদ্ধি হয় ব্যাসের বচনে।

.......................................

উৎসর্গ: সকল ব্লগার বন্ধুকে

..........................................

আগের পর্ব:



কথাচ্ছলে মহাভারত - ৪১

Click This Link

মন্তব্য ৫৯ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৫৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১২ রাত ১২:২২

বিস্কুট বলেছেন: এসব চটকদার কাহিনীর মাধ্যমে মানুষকে চতুর্বর্ণপ্রথার বিষয়গুলো হজম করানো হয়েছে।

২| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১২ রাত ১২:৩৯

অনিক আহসান বলেছেন: রাজনীতি, যুদ্ধ, ষড়যন্ত্র,কুটনীতি, প্রেম,যৌনতা,সামাজিক ট্যাবু মিলায়ে গল্প কাহিনী হিসাবে মহাভারত চমৎকার। ভারতের চলচিত্র ইন্ডাস্ট্রি মহাভারত নিয়ে লর্ড অব দ্য রিং এর মত মুভি তৈরি করা উচিৎ। পুরানের এই কাহিনীগুলি পড়তে খারাপ না শুধু ধর্ম বিশ্বাসে আনলেই মহাভারত = মহাবিপদ।

৩| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১২ রাত ১:০২

নীলতিমি বলেছেন: মহাভারতের কাহিনীগুলো ভালো পাই .. :)

০৩ রা অক্টোবর, ২০১২ রাত ১:২৪

দীপান্বিতা বলেছেন: ধন্যবাদ, নীলতিমি! :)

৪| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১২ রাত ২:০০

মোঃমোজাম হক বলেছেন: কেমন আছেন দিদি?

একসময় টিভি সিরিয়ালে দেখতাম।ভালই লাগতো।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১২ রাত ১১:৫৪

দীপান্বিতা বলেছেন: ধন্যবাদ, মোঃমোজাম হক! :)....ভাল আছি...আপনাদের সব ভাল তো!......সেই সিরিয়াল! কি একটা সময় গেছে! রাস্তাঘাট বলে ফাঁকা হয়ে যেত!

৫| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১২ সকাল ৮:০৪

অলিন্দ বলেছেন: আবারো দুর্দান্ত হয়েছে... কিঞ্চিত রাগান্বিত... দেরিতে পোস্টের কারণে ...

০৩ রা অক্টোবর, ২০১২ রাত ১১:৫০

দীপান্বিতা বলেছেন: ধন্যবাদ,অলিন্দ! :)....পরের লেখা তাড়াতাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করবো...আসলে টাইপ করতে ইচ্ছে করে না!

৬| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১২ সকাল ১০:২৬

রেজোওয়ানা বলেছেন: আবার দারুন লেখা দীপা আপু!

শারদ শুভেচ্ছা....

০৩ রা অক্টোবর, ২০১২ রাত ১১:৪৯

দীপান্বিতা বলেছেন: ধন্যবাদ, রেজোওয়ানা! :)......সোহামনির জন্মদিনে তাকে অনেক অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও ভালবাসা:)

৭| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১২ সকাল ১০:৩২

গেদু চাচা বলেছেন: চমৎকার কল্পকাহিনী।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১২ রাত ১১:৪৭

দীপান্বিতা বলেছেন: ধন্যবাদ :)

৮| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১২ সকাল ১০:৫৬

জুন বলেছেন: রবীন্দ্রনাথের প্রিয় কবিতে দীপান্বিতা ...।

সিংহাসন! যে ফিরালো মাতৃস্নেহপাশ
তাহারে দিতেছ মাতঃ, রাজ্যের আশ্বাস!
একদিন যে সম্পদে করেছো বন্চিত
আজ সে ফিরায়ে দেয়া তব সাধ্যাতীত।
এই শান্তস্তব্দ ক্ষনে
অনন্ত আকাশ হতে পশিতেছে মনে
জয়হীন চেষ্টার সংগীত,আশাহীন
কর্মের উদ্যোম--হেরিতেছি শান্তিময়
শুন্য পরিনাম। যে পক্ষের পরাজয়
সে পক্ষ ত্যজিতে মোরে কোরোনা আহ্‌বান।
জয়ী হোক রাজা হোক পান্ডব সন্তান-
আমি রব নিস্ফলের হতাশের দলে।
জন্মরাত্রে ফেলে গেছ মোরে ধরাতলে
নামহীন গোত্রহীন। আজিও তেমনি
আমারে নির্মম চিত্তে তয়াগো জননী,
দীপ্তিহীন কীর্তিহীন পরাভব-' পরে
শুধু এই আশীর্বাদ দিয়ে যাও মোরে,
জয়লোভে যশলোভে রাজ্যলোভে,অয়ি
বীরের সদগতি হতে ভ্রষ্ট নাহি হই ।।

খুব ভালোলাগে কথাচ্ছলে মহাভারত। কিন্ত অনেক দেরী করে লিখ এক এক পর্ব :)
+

০৩ রা অক্টোবর, ২০১২ রাত ১১:৪৬

দীপান্বিতা বলেছেন: ধন্যবাদ...ধন্যবাদ, জুন! :)...কতদিন পর দেখা!...ভাল আছেন তো আপনারা!...কোথাও ঘুরতে গেলেন!!

এই কর্ণ অনেকের মত আমারও খুব প্রিয় চরিত্র......কর্ণ আর দ্রৌপদীকে নিয়ে এখন অনেক আলোচনা হয়, তাই না!

দেরি হল কিছুটা কুঁড়েমির জন্যেও বটে...আসলে শুরুতে যতটা উৎসাহ ছিল, এখন তাতে যেন কিছুটা ভাটা পরেছে......তবে খুব তা’তাড়ি লেখা, থুড়ি টাইপের চেষ্টা চালাবো :D

৯| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ১২:৫০

রুদ্রনীল আর নীলকষ্ট বলেছেন: ভাল লিখেছেন। আমি কাশীরাম দাসের পয়ার ছন্দে রচিত মহাভারত প্রায় প্রতিদিনই পড়ি এবং সেটা ধর্মগ্রন্থ হিসেবেই পড়ি। আপনি কার লেখা পুস্তক থেকে গল্পচ্ছলে মহাভারত লিখছেন সেটা জানতে পারি কি???

মহাভারত হিন্দু ধর্মালম্বীদের কাছে ধর্মগ্রন্থ..........আবার অনেকের কাছে শুধুই প্রাচীন সাহিত্যকর্ম। তাই লেখার সময় খেয়াল রাখবেন গল্পচ্ছলে লিখতে গিয়ে কারো র্ধমানুভূতিতে আঘাত না করে ফেলেন।

শুভকামনা রইলো আপনার জন্য। +++++ :) :) :)

০৩ রা অক্টোবর, ২০১২ রাত ১১:৩৭

দীপান্বিতা বলেছেন: ধন্যবাদ, রুদ্রনীল!:)

অসাধারণ! প্রতিদিন পড়ছেন কাশীদাসী মহাভারত! আমিও ওখান থেকেই লিখছি, সঙ্গে রাজশেখর বসুর সারানুবাদেরও সাহায্য নিচ্ছি......

আমি নিছক প্রাচীন সাহিত্যকর্মটি গদ্যের আকারে পর পর লেখার চেষ্টা করছি, কেউ কোন ভাবে আঘাত পেলে আমি খুবই দুঃখিত......

১০| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ২:৫৯

পদ্ম।পদ্ম বলেছেন: ++

০৩ রা অক্টোবর, ২০১২ রাত ১১:২৫

দীপান্বিতা বলেছেন: ধন্যবাদ, পদ্ম।পদ্ম! :)

১১| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৫:৩০

রাতুল_শাহ বলেছেন: আপু সিরিজের পর্বগুলো দেরী করে দিলে আগের পর্বও পড়তে বাধ্য হতে হয়।

পরের পর্ব জলদি দিবেন। তাহলে পড়ার মাঝে একটা আকর্ষণ থাকবে।

যাহোক ছবিগুলোর সাথে পোষ্ট পড়তে দারুণ লেগেছে।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১২ রাত ১১:২৪

দীপান্বিতা বলেছেন: ধন্যবাদ, রাতুল!....সত্যি, লেখাটা দিতে দেরি হল......আসলে লেখাই হচ্ছে না বিভিন্ন কারণে, ইচ্ছে আছে সামনের ছুটিতে লেখাটা এগিয়ে রাখার :)

১২| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১২ রাত ১১:৫৬

সজল শর্মা বলেছেন: পাণ্ডুর জন্য বড় দুঃখ হয়। মাদ্রীর সতী হওয়া দুঃখকে বাড়িয়ে দেয়।
আফগান কন্যা গান্ধারীর অন্ধত্ব বরণ আত্মত্যাগের উদাহরণ। তবে আমার মনে হয়- উনি অন্ধত্ব গ্রহণ না করলেই ভাল হত। অন্তত ছেলেদের সুপথে নিতে পারতেন।

এসব কাহিনী বারবার পড়লে প্রতিবারই ভাল লাগে।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১২ রাত ১:৫২

দীপান্বিতা বলেছেন: ধন্যবাদ, সজল!.....আমিও সেই ভাল লাগা থেকেই এখানে গল্পগুলো দিচ্ছি :)

১৩| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১২ রাত ১:১৬

নান্দাইলের ইউনুস বলেছেন: মহাভারত মজার সব গল্প ।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১২ রাত ১:৫৪

দীপান্বিতা বলেছেন: ধন্যবাদ, ইউনুস! :)

১৪| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১২ রাত ১:৪৪

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
এই গল্পগুলো সিরিজ চলাকালীন দেখা হয়নি।
এখন আপনার পোস্ট পড়ে আগ্রহ বাড়ছেই।
যদি আবার কোনো চ্যানেল শুরু করতো।

পোস্টে ভালোলাগা।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১২ রাত ১:৫৮

দীপান্বিতা বলেছেন: ধন্যবাদ, আশরাফুল! :) ....এখনও দুপুরের দিকে কোন একটা চ্যানেলে দেয়, কিন্তু সেই ছেলেবেলার মজাটা পাই না...তবে তখন সিরিয়ালগুলো অনেক যত্ন নিয়ে করা হত, ফলে অনেক তথ্য পাওয়া যায় ....

১৫| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১২ রাত ৯:০৭

রেজওয়ান তানিম বলেছেন: আপনার পর্বগুলো আগেও পড়েছি। কিন্তু দীপাদি সামনে তো আগাচ্ছে না

এখন বিদুর, ধৃতরাষ্ট্র আর পাণ্ডুর বিয়ে নিয়েই পড়ে আছেন। কবে পরের অংশ দেবেন ?

১৪ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ১১:০৫

দীপান্বিতা বলেছেন: সত্যি!...টাইপ করা হচ্ছে না...খুব দ্রুত এগোনোর চেষ্টা করছি...ধন্যবাদ, তানিম!

১৬| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১২ রাত ১১:৪৯

অনিক আহসান বলেছেন: দীপান্বিতা দি মন্তব্য পছন্দ না হলে বুঝি রিপ্লাই দিতে হয়না? :)

১৪ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ১১:০৬

দীপান্বিতা বলেছেন: পোস্ট পছন্দ হচ্ছে না, মন্তব্য করে যদি আবার দুঃখিত করি, তাই আর...... :)

১৭| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৩:০১

আবু সালেহ বলেছেন:
দারুন লিখেছো আপু.....পুরো চটকদার কহানি....

১৪ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ১১:০৩

দীপান্বিতা বলেছেন: ধন্যবাদ....

১৮| ১০ ই অক্টোবর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:১৮

যাযাবরমন বলেছেন: ভাল আছেন তো?

১৪ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ১০:৫৭

দীপান্বিতা বলেছেন: আরে, যাযাবরমন!......ভাল আছি, আপনিও আশাকরি খুব ভাল আছেন...শারদীয় শুভেচ্ছা :)

১৯| ১২ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৫:০৬

মাহমুদা সোনিয়া বলেছেন: ইন্ট্রেসটিং তো :) শারদীয় শুভেচ্ছা, আপু।

১৪ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ১০:৫৫

দীপান্বিতা বলেছেন:


ধন্যবাদ, মাহমুদা সোনিয়া!....পুজো শুরু হচ্ছে...কাল মহালয়া...আর মহালয়া বলতেই যে মানুষটির কথা মনে আসে তিনি হলে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র, তাঁকে জানাই প্রণাম......শারদ শুভেচ্ছা, সোনিয়া...সঙ্গে ঈদেরও অনেক ভালবাসা নেবেন :)

২০| ১২ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৫:১৯

সুপ্তো আমি বলেছেন: ভালো লাগলো পোষ্ট

১৪ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ১০:৫০

দীপান্বিতা বলেছেন: ধন্যবাদ, সুপ্তো আমি!:) .....কাল মহালয়া...অনেক অনেক শুভেচ্ছা :)

২১| ১২ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ৯:০০

অ্যানোনিমাস বলেছেন: আপু কেমন আছেন? দেখা যায় না যে? চয়ন বলছিলাম :)

১৪ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ১০:৪৮

দীপান্বিতা বলেছেন:

ভাল আছি, চয়ন!...বিভিন্ন কারণে আসা হয়ে ওঠে না, তবে সামুকে তো ভোলা যায় না!...কত বন্ধু আছেন! পুজোর অনেক শুভেচ্ছা :)

২২| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ১১:১৪

জুন বলেছেন: মহালয়ার শুভেচ্ছা দীপান্বিতা :)

আজি শরত তপনে প্রভাত স্বপনে কী জানি পরান কি যে চায় ।
কোন স্বপনের দেশে আছে এলোকেশে কোন্‌ ছায়াময়ী অমরায়।
আজি কোন উপবনে বিরহবেদনে আমারি কারণে কেঁদে যায় গো।
আজি শরত তপনে...

১৫ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ১২:১৫

দীপান্বিতা বলেছেন: ধন্যবাদ ...ধন্যবাদ, জুন! :)....কি যে ভাল লাগছে এ শরত-উপহারে!



গানটা খুব শুনতে ইচ্ছে করল......
Click This Link

আজি শরততপনে প্রভাতস্বপনে কী জানি পরান কী যে চায়।
ওই শেফালির শাখে কী বলিয়া ডাকে বিহগ বিহগী কী যে গায় গো।
কী জানি পরান কী যে চায়।।
আজি মধুর বাতাসে হৃদয় উদাসে, রহে না আবাসে মন হায়-
কোন্‌ কুসুমের আশে কোন্‌ ফুলবাসে সুনীলে আকাশে মন ধায় গো-
কী জানি পরান কী যে চায়।।
আজি কে যেন গো নাই, এ প্রভাতে তাই জীবন বিফল হয় গো-
তাই চারি দিকে চায়, মন কেঁদে গায় 'এ নহে, এ নহে, নয় গো'।
তাই জীবন বিফল হয় গো-
কোন্‌ স্বপনের দেশে আছে এলোকেশে কোন্‌ ছায়াময়ী অমরায়।
আজি কোন্‌ উপবনে, বিরহবেদনে আমারি কারণে কেঁদে যায় গো।
কী জানি পরান কী যে চায়।।
আমি যদি গাঁথি গান অথিরপরান, সে গান শুনাব কারে আর।
আমি যদি গাঁথি মালা লয়ে ফুলডালা, কাহারে পরাব ফুলহার।
আমি সে গান শুনাব কারে আর।
আমি আমার এ প্রাণ যদি করি দান, দিব প্রাণ তবে কার পায়।
সদা ভয় হ্য় মনে পাছে অযতনে মনে মনে কেহ ব্যথা পায় গো।
কী জানি পরান কী যে চায়।।


আপনাকেও মহালয়ার প্রাণ ভরা প্রীতি ও ভালবাসা :)

২৩| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ১১:৪৭

সাকিন উল আলম ইভান বলেছেন: আহা, আপু অনেকদিন পর সময় পেলাম একটু ধৈর্য্য ধরে পড়ার, দেখি আজকে রাতে আগের যেগুলো পড়া হয় নি সেগুলোও পড়বো । কেমন আছেন আপনি ? :)

১৫ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ১:৪৪

দীপান্বিতা বলেছেন: ধন্যবাদ....ভাল আছি, সাকিন! ....সময় করে ধিরে ধিরে পড়ুন...শারদীয়া শুভেচ্ছা :)

২৪| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ১২:১৯

আরজু পনি বলেছেন:

দারুন লাগলো পড়তে। ধৃতরাষ্ট্রের জন্মান্ধ হওয়ার বিষয়টা দুঃখজনক।
কুন্তির বর পাওয়াটা পড়ে মজা পেলাম।

অনেক ধন্যবাদ দীপা।।

১৫ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ১:৩৮

দীপান্বিতা বলেছেন: ধন্যবাদ, আরজুপনি! :) ..........আপনার মন্তব্য পড়ে পরের পর্বগুলো পোস্টের ভরসা পাচ্ছি...গল্পগুলো পড়তে পড়তে টাইপ করছি আর মনে মনে ভাবছি কেমন সব কমেন্ড আসবে......তবে কিনা এসব আমার নিজের লেখা নয় ...প্রাচীন এক সাহিত্য যা কাব্যের আকারে রচিত তাকে গদ্যে বলার সামান্য চেষ্টা মাত্র......আর সে প্রাচীন মত যে সব ক্ষেত্রে এখনও গ্রহণযোগ্য তা তো অবশ্যই নয়!... তবে কি না, পুরানোকে ঠিক ভাবে না চিনলে সামনেও ঠিক ভাবে এগোন যায় না...... যাক্‌! সামুতে মহাভারত দেওয়ার ইচ্ছে দমন করা যায় না, তাই দেওয়ার ইচ্ছে রয়েছে :)


উত্তরটা একটু বড় হয়ে গেল মনে হয়! ;)...পুজোর অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল, বন্ধু! :D

২৫| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ১:৪৪

অঞ্জলি বলেছেন:
খুব ভালো লাগল দিদি।তাই প্লাস দিলুম।আমি আপনার নতুন বন্ধু।আমাকে বরণ করুন।আমার ব্লগে আপনার নিমন্ত্রন থাকল।সময়ে পেলে আসবেন।আশা করি:আবার দেখা হবে।


আশীর্বাদ করি আমি অঞ্জলি রায়
আপনি ভালো থাকুন সবসময়!!! .

শুভ রজনী!!!!

১৫ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ২:৩১

দীপান্বিতা বলেছেন: ধন্যবাদ ....শারদীয়া শুভেচ্ছা, অঞ্জলি!:)

২৬| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১২ সকাল ৮:৫০

আরুশা বলেছেন: আমি আপনার মহাভারত পর্বের এক নীরব পাঠক ।
ঈদ আর শারদীয় শুভেচ্ছা রইলো দীপান্বিতা :)

২৫ শে অক্টোবর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:২৩

দীপান্বিতা বলেছেন: ধন্যবাদ, আরুশা! :)...... শুভ বিজয়ার প্রীতি ও শুভেচ্ছা নেবেন......ঈদের অনেক শুভ কামনা রইল :)

২৭| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৩:৫৬

সুপ্তো আমি বলেছেন: অনেক সুন্দর লেখা দিদিমনি। শারদিয় শুভেচ্ছা থাকলো :)

২৫ শে অক্টোবর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:২১

দীপান্বিতা বলেছেন: শারদিয় শুভেচ্ছা.... শুভ বিজয়া......ইদেরও শুভেচ্ছা, সুপ্তো!:)

২৮| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ১:২০

যাযাবরমন বলেছেন: ফ্লিকার: জাতীয় সংসদ ভবন http://www.flickr.com/search/?q=Jatiya Sangsad Bhaban

২৫ শে অক্টোবর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:১৯

দীপান্বিতা বলেছেন: ধন্যবাদ, যাযাবরমন! :)

২৯| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ৯:৩৯

যাযাবরমন বলেছেন: জাতীয় সংসদ ভবনের ছবি

২৫ শে অক্টোবর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:১৯

দীপান্বিতা বলেছেন: খুব সুন্দর :)

৩০| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১২ সকাল ১১:০৩

বাঘ মামা বলেছেন: শারদীয় শুভেচ্ছা দীপা

২৫ শে অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৪:৩৭

দীপান্বিতা বলেছেন: শুভ বিজয়া, বাঘ মামা! :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.