![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
[পূর্বকথা - পঞ্চ পান্ডবের সঙ্গে দ্রৌপদীর বিবাহ হল ... ইন্দ্রপ্রস্থে কৃষ্ণের সহায়তায় পঞ্চপাণ্ডবরা অবস্থান করতে লাগলেন... নারদমুনি এসে সুন্দ-উপসুন্দের কাহিনী বলে পঞ্চপান্ডবদের মধ্যে দ্রৌপদীকে নিয়ে একটি নিয়ম স্থাপন করলেন...এভাবে দ্রৌপদীকে নিয়ে পঞ্চপান্ডব সুখে বাস করতে লাগলো...]
অর্জ্জুনের নিয়মভঙ্গ ও বনে গমনঃ
কিছুদিন পর রাজ্যে এক ব্রাহ্মণের গরু চোরেরা চুরি করে পালাল। ব্রাহ্মণ অর্জুনের কাছে এসে কেঁদে পরল।
বিলাপ করে ব্রাহ্মণ বলে –তোমার রাজ্যে থেকে আমার সর্বনাশ হল। মনে তার যত গালি এলো দিতে লাগল।
সঙ্কোচে অর্জুন ব্রাহ্মণকে বলেন –আপনি কেন কাঁদছেন। আমাকে কি করতে আজ্ঞা করেন।
দ্বিজ ব্রাহ্মণ বলে –এখনি তুমি অস্ত্র নিয়ে আমার সাথে এস। চোররা বেশি দুর এখনও যায়নি।
ব্রাহ্মণের কথায় অর্জুন ব্যস্ত হয়ে আয়ুধ মন্দিরে(অস্ত্রশস্ত্রের কক্ষ) চললেন।
দৈবযোগে অস্ত্রগৃহে সে সময় যুধিষ্ঠির ও কৃষ্ণা অবস্থান করছিলেন। পার্থ তা জানতে পেরে গৃহের বাইরে স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে পরলেন।
দ্বিজ বলে –শীঘ্র অস্ত্র নিয়ে চল। সে উচ্চস্বরে কাঁদতে থাকে।
ব্রাহ্মণের অশ্রুজল দেখে অর্জুন ভয় পেলেন। কি করবেন ভেবে পেলেন না। অস্ত্রগৃহে এসময় প্রবেশ করলে বার বছরের জন্য অরণ্যে যেতে হবে, সে বড় দুঃখের। এদিকে ব্রাহ্মণের চক্ষুজল যত ভূমিতে পরছে তত তার উপর মহাপাপ বর্ষিত হচ্ছে। এখন ব্রাহ্মণের দুঃখ দুর করাই তার বড় ধর্ম। বিনা ক্লেশে কখনও ধর্ম উপার্জন হয় না-এত সব ভেবে অর্জুন অস্ত্রগৃহে প্রবেশ করে ধনুক নিয়ে দ্রুত বেরিয়ে এলেন। ব্রাহ্মণের সাথে গিয়ে চোরদের মেরে তার অপহৃত গরু এনে দিলেন।
ফাল্গুনি(অর্জুন) ফিরে এসে যুধিষ্ঠিরকে বলেন –আমি নিয়ম লঙ্ঘন করেছি, বনবাসে যাওয়ার আজ্ঞা দিন, রাজন!
যুধিষ্ঠির বলেন –কেন এমন বলছ, ধনঞ্জয়! নারদঋষি বলেছিলেন ছোট ভায়ের সাথে কৃষ্ণা থাকলে বড়ভাই সে স্থানে গেলে তবে তাকে বনে যেতে হবে। তুমি আমার চেয়ে ছোট, তোমার কোন দোষ হয়নি।
পার্থ বলেন –স্নেহের বশে আপনি একথা বলছেন। ধর্মাচরণে ছল করা চলে না। সত্যকে অস্বিকার করতে মন চায় না। আজ্ঞা করুন মহারাজ আমি বনে যাই।
এই বলে অর্জুন মা, ভাই, বন্ধুদের সবার কাছে বিদায় নিয়ে বনবাসে যাত্রা করলেন। সকলে অত্যন্ত দুঃখিত হল।
অর্জুনের সাথে ব্রাহ্মণ, পৌরাণিক কথক, গায়ক, চারণ কবিরা চললো। মহাবনে প্রবেশ করে অর্জুন আরো অনেক পুণ্যতীর্থে ভ্রমণ করলেন ও স্নানদান করতে লাগলেন।
এভাবে বহুদিন পর তিনি হরিদ্বারে উপস্থিত হয়ে আনন্দিত হলেন। গঙ্গায় স্নান করে তিনি অগ্নিহোত্র(অগ্নির পূজা) করে তর্পণের উদ্দেশ্যে গঙ্গায় প্রবেশ করেন।
অগ্নিহোত্র স্থানে অর্জুনকে তর্পণ করতে দেখে নাগকন্যা জলের মধ্যে অর্জুনকে ধরলেন। টেনে নিয়ে নাগকন্যা অর্জুনকে নিজের গৃহে নিয়ে চললেন।
অর্জুন দেখেন সে এক সুন্দর প্রাসাদ। সেখানেও অগ্নিহোত্র জ্বলছে দেখে কুন্তীপুত্র সেই অগ্নিরও পূজা করলেন।
নিশঙ্ক হয়ে অর্জুন কন্যাকে জিজ্ঞেস করেন –এটি কার গৃহ, তুমি কার কন্যা! কেন এই পুরীতে আমায় টেনে আনলে।
কন্যা বলেন –আমি ঐরাবত নাগরাজ কুলজাত কৌরব্য নাগের কন্যা। আমার নাম উলুপী। তোমাকে দেখে আমার কাম জাগ্রত হয়েছে, সে কারণে তোমাকে নিয়ে এলাম। তুমি আমায় ভজনা করে আমার মন তৃপ্ত কর।
অর্জুন বলেন –আমার সব কথা তুমি যান না, কন্যা। আমি ব্রহ্মচারী হয়ে বার বছর বনবাসে এসেছি। আমি তা লঙ্ঘন করতে চাই না।
উলুপী বলেন –আমি সব জানি। তোমার এই নিয়ম কেবল দ্রৌপদীর জন্য। আমার সঙ্গে মিলিত হলে তোমার দোষ হবে না। আমি তোমার কাছে আর্তি জানাচ্ছি, আমার ধর্ম রক্ষা কর। আর্তজনের মনের ইচ্ছে পূর্ণ করাই ধর্ম, এতে কোন পাপ নেই। আমি চিরদিন তোমার অনুগত থাকব। আমায় একবারমাত্র গর্ভদান করে, আমার প্রাণ রক্ষা করুন, স্বামী!
পার্থ উলুপীর করুণ আর্তি শুনে তার প্রার্থনা পূরণে সম্মত হলেন। একরাত্রি তিনি উলুপীর সাথে কাটিয়ে পরেরদিন পুনরায় গঙ্গা থেকে উঠে এলেন। ব্রাহ্মণরা বিস্মিত হয়ে কি হয়েছে জানতে চাইলে পার্থ সকল ঘটনা তাদের জানালেন। এরপর অর্জুন দ্বিজদের সাথে হিমালয় পর্বতে আরোহণ করলেন। বহু তীর্থে ঘুরে পুণ্যস্নান করতে লাগলেন। বশিষ্টের আশ্রমে অগস্ত্য নামে এক বট দেখলেন। পৃথিবীর দক্ষিণাবর্ত ঘুরে ঘুরে তা তিনি করের মত চিনলেন। পূর্ব দিকে সিন্ধুতীরে বীর ঘুরতে গেলেন। গয়া, গঙ্গা, প্রয়াগ, নৈমিষারণ্য(প্রাচীন তপোবন) প্রমুখ সব তীর্থ ঘোরা হল।
অঙ্গ-বঙ্গের মধ্যে সব তীর্থ স্নান করে কলিঙ্গ প্রদেশের দিকে যাত্রা করলেন। কিন্তু ব্রাহ্মণরা কলিঙ্গে প্রবেশ করলেন না, কারণ সেখানে প্রবেশ করলে ব্রাহ্মণরা ভ্রষ্ট হয়। অর্জুন একাই কলিঙ্গে প্রবেশ করেন। সেখানে একাই সব তীর্থ ঘোরেন।
সমুদ্রতীরে মহেন্দ্র পর্বতে মণিপুর নামে এক নগর ছিল। চিত্রভানু নামে এক রাজার সেটি রাজত্ব। চিত্রাঙ্গদা নামে তার এক কুমারী কন্যা ছিল। দেবতার বাঞ্ছিত সে কন্যা রূপে গুণে অনন্যা। নগরে ঘুরতে ঘুরতে পার্থ তাকে দেখলেন। কন্যাকে দেখে অর্জুন আকৃষ্ট হয়ে রাজার কাছে গেলেন। রাজার কাছে তিনি কন্যার পাণি প্রার্থনা করলেন।
চিত্রভানু রাজা বলেন –কে তুমি, কোথায় তোমার ঘর, কোন বংশেই বা তোমার জন্ম, কার পুত্র! তীর্থবাসী হয়ে রাজকন্যাকে কামনা করছ! কোন সাহসে তুমি এ কথা বল!
অর্জুন বলেন –আমি পান্ডুর পুত্র, কুন্তীর গর্ভজাত। আমার নাম ধনঞ্জয়।
এত শুনে রাজা দ্রুত উঠে এসে পার্থকে আলিঙ্গন করে বসতে আসন দেন।
রাজা বলেন –এতদুর কি কারণে এলেন।
পৃথার নন্দন পার্থ সবিস্তারে সব জানান।
রাজা বলেন –আমার সৌভাগ্য তুমি আমার রাজ্যে এলে। এবার আমি আমার কথা বলতে চাই। প্রভঞ্জন নামে এক দ্বিজ আমার পূর্বপুরুষ ছিলেন। সেই রাজা পুত্র কামনা করে শিবের তপস্যা করেন। প্রসন্ন হয়ে মহাদেব বর দিলেন, আমাদের বংশে প্রতি পুরুষের একটি করে কুমার হবে। কুলক্রমে এক ভিন্ন দুটি সন্তান হল না। যে পুত্র হত, সেই রাজা হতেন। ধূর্জটির(শিব) পূর্বের বর এভাবেই চলছিল। কিন্তু আমার পুত্র হয়নি, একটি কন্যা হল। তাই আমি তাকে পুত্রের মত লালন-পালন করেছি। আমার পর আর রাজা হওয়ার কেউ নেই দেখে আমি ঠিক করেছি এই কন্যা যাকে দান করব, সেই এ রাজ্যের ভার গ্রহণ করবে। কুরুবংশের শ্রেষ্ঠ তুমি, তোমাকে বলা উচিত নয় তবু এক সত্য করলে কন্যা তোমায় দিতে পারি। আমার কন্যার গর্ভে যে জ্যেষ্ঠপুত্র হবে সেই এ রাজ্যের রাজা হবে।
পার্থ রাজার কথায় সম্মত হলেন। চিত্রাঙ্গদার সাথে পার্থের শুভবিবাহ হল। এক বছর পার্থ সেখানে থেকে গেলেন।
...................................
উৎসর্গ: সকল ব্লগার বন্ধুকে
......................................
আগের পর্ব:
কথাচ্ছলে মহাভারত - ৯৪ Click This Link
১৩ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:৩০
দীপান্বিতা বলেছেন: ধন্যবাদ, জুন! .....সেই, অর্জুন ভালই বনবাস কাটিয়েছেন! ....এই পর্বটি বেশ বড় পরের বার শেষ হবে....
২| ১৩ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:৩১
দর্পণ বলেছেন: সমুদ্রতীরে মহেন্দ্র পর্বতে মণিপুর নামে এক নগর ছিল। চিত্রভানু নামে এক রাজার সেটি রাজত্ব। চিত্রাঙ্গদা নামে তার এক কুমারী কন্যা ছিল। দেবতার বাঞ্ছিত সে কন্যা রূপে গুণে অনন্যা। নগরে ঘুরতে ঘুরতে পার্থ তাকে দেখলেন। কন্যাকে দেখে অর্জুন আকৃষ্ট হয়ে রাজার কাছে গেলেন। রাজার কাছে তিনি কন্যার পাণি প্রার্থনা করলেন।
এই তাহলে চিত্রাঙ্গদা কাহিনী।
অনেক রমনীর প্রিয় চরিত্র।
শুভকামনা
২০ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:০৮
দীপান্বিতা বলেছেন: ধন্যবাদ, দর্পণ!
৩| ১৩ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৬
রিকি বলেছেন: আরেকটা পছন্দের চরিত্র চিত্রাঙ্গদাও এসে পড়ল তাহলে !!! চিত্রাঙ্গদার নিমিত্তে কয়েকটা লাইন--
"
আমি চিত্রাঙ্গদা, আমি রাজেন্দ্রনন্দিনী।
নহি দেবী, নহি সামান্যা নারী।
পূজা করি মোরে রাখিবে ঊর্ধ্বে
সে নহি নহি,
হেলা করি মোরে রাখিবে পিছে
সে নহি নহি।
যদি পার্শ্বে রাখ মোরে
সংকটে সম্পদে,
সম্মতি দাও যদি কঠিন ব্রতে
সহায় হতে,
পাবে তবে তুমি চিনিতে মোরে।
আজ শুধু করি নিবেদন--
আমি চিত্রাঙ্গদা রাজেন্দ্রনন্দিনী॥
"
মণিপুর রাজদুহিতা চিত্রাঙ্গদাকে মহারাজা চিত্রবাহন পুত্র না থাকায় পুত্ররূপে মানুষ করেছিলেন তার উত্তরসূরি হিসেবে। চিত্রাঙ্গদা অস্ত্র বিদ্যা এবং শাস্ত্র বিদ্যায় সেই মাপের পারদর্শী ছিলেন-- তখন কার আমলে রাজপুত্ররা যে যে সুযোগ পেতেন শুধু, চিত্রাঙ্গদা তা পেয়েছিলেন। এবং একটা সময় পর্যন্ত সে নিজেও ভাবতেন 'তিনি মহারাজার পুত্র, কন্যা নয়'---তার নারীসত্ত্বার উন্মোচন হয় অর্জুন তথা ধনঞ্জয় তথা পার্থর তার জীবনে আগমনের পর। চিত্রবাহন অর্জুনকে শর্ত করে দিয়েছিল, তার মেয়ের উত্তরসূরি তার সাম্রাজ্যের ভবিষ্যৎ কর্ণধার হবে বিধায় সে চিত্রাঙ্গদা এবং তার গর্ভজাত সন্তানকে মণিপুর থেকে নিয়ে যেতে পারবে না কখনও। মহাভারতের আরেকটা ফ্যাক্ট--- পাণ্ডবদের পক্ষের মূল ব্যাক্তি গুলো ছাড়া সবাই মারা গিয়েছিল। পাণ্ডবের পক্ষে উত্তরসূরি বেঁচে থাকতে বলতে খালি পরীক্ষিতকে বোঝান হয়ে থাকে। কিন্তু চিত্রাঙ্গদা আর অর্জুনের সন্তান পুত্র বাব্রুবহন বেঁচে ছিলেন। মনিপুর সৈন্য পাঠিয়েছিল সে, কিন্তু নিজে যুদ্ধে অংশ নেননি। বাব্রুবহন অর্জুনকে অশ্বমেধ যজ্ঞের পূর্বে দেখেনি কখনও-- এবং তার হাতেই ভীষ্মকে কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে মারার অভিশাপে অর্জুন নিহত হয়েছিলেন কিন্তু নাগকন্যা উলুপী অর্জুনকে আবার পুনর্জীবন দান করেছিলেন !!!
আরেকটা পছন্দের চরিত্র চিত্রাঙ্গদাও এসে পড়ল তাহলে !!! চিত্রাঙ্গদার নিমিত্তে কয়েকটা লাইন--
"
আমি চিত্রাঙ্গদা, আমি রাজেন্দ্রনন্দিনী।
নহি দেবী, নহি সামান্যা নারী।
পূজা করি মোরে রাখিবে ঊর্ধ্বে
সে নহি নহি,
হেলা করি মোরে রাখিবে পিছে
সে নহি নহি।
যদি পার্শ্বে রাখ মোরে
সংকটে সম্পদে,
সম্মতি দাও যদি কঠিন ব্রতে
সহায় হতে,
পাবে তবে তুমি চিনিতে মোরে।
আজ শুধু করি নিবেদন--
আমি চিত্রাঙ্গদা রাজেন্দ্রনন্দিনী॥
"
মণিপুর রাজদুহিতা চিত্রাঙ্গদাকে মহারাজা চিত্রবাহন পুত্র না থাকায় পুত্ররূপে মানুষ করেছিলেন তার উত্তরসূরি হিসেবে। চিত্রাঙ্গদা অস্ত্র বিদ্যা এবং শাস্ত্র বিদ্যায় সেই মাপের পারদর্শী ছিলেন-- তখন কার আমলে রাজপুত্ররা যে যে সুযোগ পেতেন শুধু, চিত্রাঙ্গদা তা পেয়েছিলেন। এবং একটা সময় পর্যন্ত সে নিজেও ভাবতেন 'তিনি মহারাজার পুত্র, কন্যা নন'---তার নারীসত্ত্বার উন্মোচন হয় অর্জুন তথা ধনঞ্জয় তথা পার্থর তার জীবনে আগমনের পর। চিত্রবাহন অর্জুনকে শর্ত করে দিয়েছিলেন, তার মেয়ের উত্তরসূরি তার সাম্রাজ্যের ভবিষ্যৎ কর্ণধার হবে বিধায় অর্জুন চিত্রাঙ্গদা এবং তার গর্ভজাত সন্তানকে মণিপুর থেকে নিয়ে যেতে পারবে না কখনও (যদিও পাঞ্চালীর শর্ত মতে এমনিও তা করতে পারতেন না তিনি)। মহাভারতের এই সংশ্লিষ্ট আরেকটা ব্যাপার--- পাণ্ডবদের পক্ষের মূল ব্যাক্তি গুলো ছাড়া মোটামুটি সবাই মারা গিয়েছিল। পাণ্ডবদের পক্ষে উত্তরসূরি বেঁচে থাকতে বলতে খালি পরীক্ষিতকে বোঝান হয়ে থাকে। কিন্তু চিত্রাঙ্গদা আর অর্জুনের সন্তান পুত্র বাব্রুবাহন বেঁচে ছিলেন। মনিপুরী সৈন্য পাঠিয়েছিল সে, কিন্তু নিজে যুদ্ধে অংশ নেননি। বাব্রুবাহনের সাথে অর্জুনের দেখা হয়েছিল অশ্বমেধ যজ্ঞের পূর্বে-- এবং তার হাতেই ভীষ্মকে কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে মারার অভিশাপে অর্জুন নিহত হয়েছিলেন (বাব্রুবাহন মারার পর জেনেছিলেন অর্জুন তার পিতা) কিন্তু নাগকন্যা উলুপী অর্জুনকে আবার পুনর্জীবন দান করেছিলেন--- এভাবে অর্জুন আবার জীবন লাভ করে, আর বাব্রুবাহন পিতৃহত্যা থেকে দায়মুক্তি !!!
২০ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:০৬
দীপান্বিতা বলেছেন: ধন্যবাদ, রিকি!
৪| ১৩ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৪:৪০
নুর ইসলাম রফিক বলেছেন: কিচ্ছু তো বুজলাম না।
২০ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:০৪
দীপান্বিতা বলেছেন: ধন্যবাদ, নুর ইসলাম রফিক! ...পোষ্ট দেখার জন্য... কিছু আগে থেকে পড়লে বুঝতে সুবিধে হবে...
৫| ১৩ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:৫২
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর +
২০ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:০১
দীপান্বিতা বলেছেন: ধন্যবাদ, সেলিম আনোয়ার!
৬| ১৬ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১:৫৬
শহুরে আগন্তুক বলেছেন: সবগুলো লেখা একসাথে বই হিসেবে প্রকাশ করা হোক ।
২০ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:৫৯
দীপান্বিতা বলেছেন: ধন্যবাদ, শহুরে আগন্তুক! .... এখনই দেওয়া সম্ভব নয়, প্রচুর লেখা বাকি .... পুর মহাভারতের অর্ধেকের অর্ধেকও লেখা হয় নি.... সঙ্গে থাকবেন....
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:১৮
জুন বলেছেন: বেচারা অর্জুন । তবে সময়টা খারাপ কাটে নাই নির্বাসনে গিয়ে কি বলেন
মজা পাচ্ছি এই ভারতীয় মিথ আপনার হাতে পরে সহজ সরল রূপ লাভ করায় ।
+