নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ডিজেনাছির

ডিজেনাছির › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্বাধীনতা দিবস ও কিছু কথা।

২৭ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১:১০

বারবারিয়ান দের যুগে নিম্ন শ্রেনীর প্রজাদের খোজ খবর রাখত না শাসক গোষ্ঠী। তাদের কে মানুষ কম গোলাম হিসেবে দেখা হত। রাজারা চাইলে যেকোনো অবস্থায় তাদের মনের খোরাক যোগার করার জন্যে যেকোনো নৃসংশ নির্দেশ দিত এবং তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করা প্রজাদের ধর্ম বলে বিবেচিত হত।
যেমন : রাজার যদি ইচ্ছা করে উনি ২ যোদ্ধার মধ্যে "ডুএল" লড়াই দেখবেন, তাহলে ওই দুইজন যদি বন্ধু অথবা আপন ভাই ও হয় তবুও লড়াই করতে হবে, এবং বাঙালির মত সজন প্রীতি চলবে না , লড়াইতে যেকোনো একজনের মৃত্যু অবধারিত জেনেউ লড়ায়ে নামতে হত , কেননা রাজার আদেশ !!
জগতের যেকোনো মেয়ে মানুষের প্রতি ছিল তাদের জন্ম গত অধিকার তারা চাইলে যেকোনো নারীকে যেকোনো অবস্থায় "ভোগ " করতে পারত।এমন কি জন সম্মুখেউ, সবার দেখার অধিকার থাকলেউ কারো প্রতিবাদ করার সামর্থ্য বা অধিকার কোনটাই থাকত না, চাই সেটা তাদের নিজের কেউ হোক। স্লেভেস / নিচু জাতের কারো পরিপূর্ণ কাপড় পরার অধিকার ছিল না , বিশেষ করে মেয়েদের (প্রাক ভারতেউ এমনটি ছিল ) এরকম হাজারো উদাহরণ ইতিহাস ঘাটলে পাওয়া যাবে।
যুগে যুগে মানুষ সভ্য হতে শিখেছে, তারা শিখেছে পোশাকের ব্যবহার, দাস প্রথা বিলীন হয়েছে, রাজ তন্ত্র থেকে এসেছে প্রজা তন্ত্র (!!!). বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। এখন আমরা যেকোনো ঘটনার প্রতিবাদ করতে পারি নিজের ইচ্ছায়, আমরা সঠিক বিচার পাই। আমাদের কেউ মিথ্যে স্বাক্ষী দিতে জোর করে না (ইংরেজ দের মত, ব্রিটিশ পিরিয়ডে এরকম ছিল ).
চলুন আমরা "তখন" কার সময়ের সাথে "এখন " কার সময়ের কিছু কম্পারিজন করি :
১)বার্বারিয়ানদের সময় তাদের কে রাজার ইচ্ছা মত ইউস করা হত। .
এখন: আমার কথা মত না চললে ৭২০ ধারায় দেশদ্রোহী কেস, হয় আমার কথা বল, নইলে চুপ থাক।
২.তখন কেউ প্রতিবাদ করত না ভয়ে, প্রতিবাদ করলে নির্ঘাত মৃত্যু, এখনো কেউ প্রতিবাদ করে না, ভয়ে অথবা লোভে। ..তনু হত্যার ১ সপ্তাহের মধ্যেউ কোনো গণ মাধ্যম কোনো অনুসন্ধানী রিপোর্ট করে নাই। অনলাইনে ভাইরাল হওয়ার পরে কেউ কেউ ফলোআপ খবর দিছে যেটা "সো অফ " মাত্র। ..বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের টাকা চুরির তদন্তে তানভির জোহা আভাস দিয়েছিলেন কিছু স্পর্শ কাতর তথ্যের। ফলা ফল উনি ৩ দিন ধরে নিখোজ। যখন পাওয়া গেল তখন উনি আর মুখ খুলছেন না। এবং এ নিয়ে আর মিডিয়ার মাথা ব্যথা নাই। তানভির জোহার মুখ বন্ধ হওয়াই স্বাভাবিক। ইংরেজ শাসন আমলে চরম দেশ প্রেমিকরাও বাচার স্বার্থে দেশদ্রোহিতা করেছিলেন। সেখানে কিছু তথ্যের চেয়ে উনি উনার জীবনকে বেশি প্রাধান্য দিবেন এটাই স্বাভাবিক।

৩. তখনকার দিনে বিচার চাওয়া মানা ছিল। আর এখন কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে বিভিন্য কেসে ফাসিয়ে দেওয়া হয়।(যৈনক নাট্য তনু ইস্যু তে কথা না বলার নির্দেশ !)

৪. একাত্তর সালে মা বোন দের ধরে নিয়ে জোর করে অবিচার করা হত, পাক বাহিনীরা এটা করত। এখনো পুলিশরা সেম কাজ করে। (গত কয়েক মাসের সংবাদ পত্রের রিপোর্ট, বিশেষ করে মোহাম্মদপুরে কয়েকটা ) . তখন তারা সেটা করত উপরের নির্দেশে। এখন কাদের নির্দেশে করে জানি না। তখন তারা সাধারণ মানুষকে ধরে নিয়ে অমানুষিক নির্যাতন করত। এখন কার পুলিশ তাই করে (আমার পরিচিত অনেক নিরপরাধ ভিকটিম,বিশেষ করে বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের কর্মচারীর কথা ভুলে গেলে চলবে না , এরকম হাজার আছে যা কখনই খবরে প্রকাশ হবে না ).

কাজেই বার্বারিয়ানদের যুগ থেকে এখন পর্যন্ত বিশেষ কোনো পার্থক্য আমার চোখে পরে না। কাজ এখনো যা আগেউ তাই ই ছিল। ধরন পরিবর্তন হয়েছে এই যা।
স্বাধীনতার ৪৫ বছর পূর্ণ হলো অথচ সব কিছুই আছে আগের মত। আমরা স্বাধীন হইনি আমাদের শাসক চেঞ্জ হয়েছে মাত্র। আর্য্য থেকে এ পর্যন্ত আমরা কেবল শোষিত। "শাসিত " নই ......

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:০৫

বিজন রয় বলেছেন: আপনি ডি জে ?

২| ২৭ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৫৯

রুমি৯৯ বলেছেন: ডিজে হৈতেও পারে৷ কারণ এইরকম অদ্ভুত কিসিমের বাংলা বানান সচারচর দেখিনা৷

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.