নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ফ্রিল্যান্সার। আমি ঘুরতে ও কন্টেন্ট বানাতে খুব পছন্দ করি। আর অন্যতম পছন্দ হল ট্র্যাভেল ব্লগ করতে।

ডিএনএ মনির

আমি ফ্রিল্যান্সার। আমি ঘুরতে ও কন্টেন্ট বানাতে খুব পছন্দ করি। আর অন্যতম পছন্দ হল ব্লগ করতে।

ডিএনএ মনির › বিস্তারিত পোস্টঃ

উজবেকিস্তান-তাজিকিস্তান-কিরগিজস্তান-দুবাই পর্ব -০২

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৬


গত পর্বে উজবেকিস্তান সম্পর্কে প্রাক-প্রাথমিক ধারনা দিয়েছিলাম। এই পর্বে উজবেকিস্তানের রাজধানীর টুরিস্ট জায়গা খাবার ও ট্রান্সপোর্ট নিয়ে শেয়ার কর।

দেশের বাইরে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল ভাষা। উজবেকিস্তানে তাদের প্রথম ভাষা হল উজবেক এবং দ্বিতীয় রাশিয়ান। বয়স্ক মানুষ গুলো ইংরেজি বুজে না। নতুন জেনারেশন অনেকে এখন ইংরেজি জানে ও শেখার চেষ্টা করছে। তবে তাজিকিস্তানে ভাষা নিয়ে মহা বিপদে পড়েছিলাম। তাজিকিস্তান নিয়ে যখন পোস্ট করবো বিস্তারিত বলব। ভাষা সমস্যা সমাধানের জন্য আপনাকে সাহায্য করবে গুগল ট্রান্সলেটর অফলাইন। অবশই গুগল ট্রান্সলেটর অফলাইন ইনস্টল করে নিবেন এবং যে যে দেশে যাবেন সেই দেশের ভাষা গুলো ডাউনলোড দিয়ে রাখবেন তাহলে ইন্টারনেট না থাকলেও কাজে আসবে।

টুরিস্ট জায়গা সমূহঃ তাসখন্দ (#Tashkent)

আপনি তাসখন্দে কোথায় কোথায় ঘুরবেন তার কিছু লিষ্ট দিব। তবে একটা থেকে অন্যটা কিভাবে যাবেন এটা লিখলে এক রাত চলে যাবে। শুধু সহজ পদ্ধতি বলে দিব খরচ কম করে সিটি ট্যুর কিভাবে দিবেন। যদিও এই বিষয় ট্রান্সপোর্ট এর সাথে জরিত।

১# তাসখন্দ সিটি পার্ক
২# ম্যাজিক সিটি পার্ক
৩# আমির তৈমুর স্কয়ার
৪# তাসখন্দ টাওয়ার (টিভি টাওয়ার)
৫# জাদুঘর
৬# হযরত ইমাম কমপ্লেক্স
৭# চরসু বাজার

এছাড়া অনেক মাদ্রাসা ও তাসখন্দ পুরাতন শহর রয়েছে। লেক রয়েছে তবে সেটা একটু দূরে।
তাসখন্দ সিটি দেখতে আপনাকে ৩ দিন হাতে রাখলে হবে। যেমন আপনি সকালে যাবেন চরসু বাজার এবং দুপুরে যাবেন উজবেকিস্তান টাওয়ার (টিভি টাওয়ার) দেখতে , সেই সময় আপনার অনেক খুদা লাগবে। সেখানে রয়েছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় পোলাও ডিস রেস্টুরেন্ট বেশ কজন (#beshqozon) । ৩২০ (৩২০০০/- উজবেক সম) টাকা থেকে শুরু আর ৩৬০ (৩৬০০০ উজবেক সম) টাকা দিয়ে স্পেশাল প্লেট। আর সন্ধ্যায় যাবেন ম্যাজিক সিটিতে। এইভাবে একদিনে ৩/৪ স্থান ঘুরে দেখতে পারবেন আর খাওয়া হয়ে যাবে। পরের দিন আবার প্ল্যান করবেন। চরসু বাজারে সবসময় সকালে যাবেন নয়ত বিকেলে সব বন্ধ হয়ে যায়। এই জায়গা গুলো সত্যি অনেক ভালো। এই জায়গা আমাদের নিউ মার্কেট এরিয়ার মত। কিছু জায়গায় প্রবেশ এর জন্য টাকা খরচ করতে হবে। যেমন ম্যাজিক সিটি ও কিছু দর্শনীয় জায়গা রয়েছে। তবে ভিতরে তেমন কিছু নেই। আপনি পুরো উজবেকিস্তান ইউরোপের ফিল পাবেন। আমার কাছে দুবাই এবং কাতার ভ্রমণ করে মনে হয়েছে সব কিছু আর্টিফিশিয়াল তবে উজবেকিস্তানের টুরিস্ট স্পর্ট গুলো সেই হাজার বছরের ইতিহাস। এই ইতিহাস লিখে নিজের এবং আপনাদের তৃপ্তি মেটাতে পারবো না। নিজের চোখে দেখে মনের খুদা মেটাতে পারবেন এই প্রত্যাশা রইল।


ট্রান্সপোর্টঃ

সিটি ট্যুর জন্য রাজধানী তাসখন্দে আপনি সরকারি ট্রান্সপোর্ট বাস অথবা মেট্রোরেল যাতায়াত সবচেয়ে খরচ কম মাত্র ১৪ টাকা (১৪০০ উজবেক সোম) দিয়ে আপনি এক প্রান্তরে থেকে অন্য প্রান্তে ঘোরাঘুরি করতে পারবেন। কোন ভয় পাওয়ার দরকার নেই। উজবেকিস্তানে অনেক ভালো। স্ক্যাম হওয়ার সম্ভবনা নেই। তবে বাস এবং অটো স্ট্যান্ড গুলোতে একটু খেয়াল করে চললে ভালো । আমার কাছে এই পর্যন্ত যতগুলো দেশ ও জায়গা ঘুরেছি তার সব জায়গার বাস এবং অটো স্ট্যান্ড এর মানুষ গুলো বাটপার ছিল। কিন্ত আমার অভিজ্ঞতা আপনার জন্য সঠিক নাও হতে পারে।

এই জন্য প্রথমে আপনার দরকার "Yandex Map navigation"। অবশ্যই এই অ্যাপ ইনস্টল করে রাখবেন। এয়ারপোর্টে এসে সিম কিনে দুইটা অ্যাপ প্রথমে ইনস্টল করবেন ১# Yandex Go 2# Yandex Map Navigation ।
এখানে এই দুই এপপ্স আপনাকে গুগল থেকে ভালো সেবা দিবে।
ইয়ানডেস্কে আপনি দেখতে পাবেন কোন বাসে কতদূরে যেতে হবে অথবা কোন মেট্রোরেল যেতে হবে এবং লাইন পরিবর্তন করতে হবে। সব ডিরেকশন পাবেন খুব সহজে। আর কিছু বুজতে না পারলে "ইয়ানডেক্স গো" ট্যাক্সি আপনার শেষ সঙ্গী।

খাবার-দাবার:
আমি ৬ দিন ছিলাম ভাত ছাড়া। বাঙালি ভাত ছাড়া কি চলে বলেন ? পোলাও খেয়ে তৃপ্তি পাই না। অনেকে আবার অনেক তৃপ্তি করে খেতে পারে। আর এদের জাতীয় খাবারের কথা কি বলব সেটা ভুট্টার তৈরী "রুটি" । এই দেশের মানুষ চা দিয়ে আরাম করে খেয়ে ফেলে। সেই ছোটকালে বইয়ে পড়েছিলাম সেন্ট্রাল এশিয়া কে রুটির ঝুড়ি বলা হয়। আজ নিজ চোখে দেখতে হল। এত শক্ত রুটি কিভাবে খায় আমার মাথায় ধরে না।
তবে আরো অনেক খাবার রয়েছে , মাংসের সাসলিক ও কাবাব। আর আপনি কম দামে অনেক ফল কিনে খেতে পারবেন। সব গুলো তাজা পাবেন।

আপনার কোন জিজ্ঞাসা থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করবেন। অতি প্র‍য়োজন ছাড়া মেসেঞ্জার ভারি করেন না। পোস্টে কমেন্ট করবেন ইনশাআল্লাহ উত্তর দিব। আর আপডেট পেতে আমার ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে সংযুক্ত থাকুন। আপনি এবং আপনার পরিবার নিয়ে সুস্থ থাকুন। নিজে ঘুরতে বেড়িয়ে পড়েন অন্য কে তথ্য দিয়ে সাহায্য করবেন।

নোট: পৃথিবীর যে প্রান্তে ঘোরাঘুরি করি না কেন পরিবেশ পরিস্কার রাখা আমাদের দায়িত্ব। যেখানে সেখানে ময়লা না ফেলে ডাস্টবিনে ময়লা ফেলি। একটা কথা সবসময় মনে রাখবেন আপনার ব্যবহার দেশের মানসম্মান বহন করে।

মোনারুল ইসলাম
তাসখন্দ, উজবেকিস্তান।
ভিডিও দেখতে চাইলে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে সংযুক্ত থাকুন।
---
Facebook
Youtube
Instagram
Linkedin

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:১৬

বিজন রয় বলেছেন: দারুন!!
বিশাল ভ্রমণ।

চলতে থাকুক।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৫৪

ডিএনএ মনির বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

২| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৩

নাইমুল ইসলাম বলেছেন: YouTube-এ দেখেছিলাম উজবেকিস্তানের মানুষ ঘোড়ার মাংস খায়। আপনি খেয়ে থাকলে জানিয়েন বাঙ্গালি জিহ্বার অভিজ্ঞতা।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৫৩

ডিএনএ মনির বলেছেন: আমি বললাম ভাই তবে পরের দিন ফুড পয়জনিং। নোনতা লাগে তারা কিভাবে খায় আমার জানা নেই তবে তাদের ঐতিহাসিক খাবার এই জন্য হয়ত খায়।

৩| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: আহ বড় আনন্দময় সময় পার করছেন।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৫৪

ডিএনএ মনির বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.