![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্বাধীনতার পরে দেশের অভ্যন্তরীণ রুটে যাত্রী পরিবহনের লক্ষ্যে প্রথমবারের মত নির্মিত আধুনিক দুটি যাত্রীবাহী নৌযানের প্রথমটি চলতি মাসেই চালু হতে যাচ্ছে। ‘এমভি বাঙালী’ নামের একটি নৌযান চলতি মাসের শেষ দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করবেন। আগামীকালের মধ্যেই নৌযানটি নারায়ণগঞ্জের পাগলায় বিআইডব্লিউটিএ’র জেটিতে নোঙর ফেলবে । ‘এমভি মধুমতি’ নামের অপর নৌযানটিও আগামী ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষের আগে রাষ্ট্রীয় জাহাজ চলাচল প্রতিষ্ঠান- বিআইডব্লিউটিসি’র কাছে হস্তান্তর করার সম্ভাবনা রয়েছে। চট্টগ্রামের ‘ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপ বিল্ডার্স’ প্রায় ৫০ কোটি টাকার বরাত লাভ করে যাত্রীবাহী নৌযান দুটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করেছে। বিআইডব্লিউটিসি’র সম্পূর্ণ নিজস্ব ৪৯.৪৭ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত প্রায় ২৫০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৪১ ফুট প্রস্থ এসব নৌযানে যাত্রী বহন ক্ষমতা সাড়ে ৭শ’ করে। যার মধ্যে দ্বিতীয় শ্রেণীর চেয়ার ও ডেকে যাত্রী বহনের ক্ষমতা থাকছে ৬৩৮ জন। প্রতিটি নৌযানেই দ্বৈত শয্যার ৩৪টি করে প্রথম শ্রেণীর বাতানুকুল কক্ষ ছাড়াও ৪টি একক শয্যার প্রথম শ্রেণী ও দ্বিতীয় শ্রেণীর ১৮টি কক্ষ থাকছে। এছাড়াও ৪টি করে ভিআইপি কক্ষও রয়েছে এসব নৌযানে। প্রতিটি নৌযানের খোলে ১শ’ টন করে পণ্য পরিবহনের ক্ষমতাও থাকছে। এমভি বাঙালী ও এমভি মধুমতি নামের নব নির্মিত নৌযান দুটির পরিচালন ব্যবস্থায় অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হচ্ছে। সম্পূর্ণ ইলেক্ট্রা-হাইড্রো পদ্ধতির স্টিয়ারিং সংযোজনের ফলে নৌযান দু’টির পরিচালন অত্যন্ত সহজ ও নিখুত হবে। এছাড়াও প্রতিটি নৌযানেই অত্যাধুনিক রাডার, ইকো-সাউন্ডার ও জিপিএসসহ সার্বক্ষণিক নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সাথে যোগাযোগ রক্ষার জন্য ভিএইচএফ ওয়ারলেস সিস্টেমও সংযোজন করা হয়েছে।
©somewhere in net ltd.