![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেশে চা উৎপাদনে ১৫৯ বছরের ইতিহাস ভেঙ্গেছে। এ বছর দেশে চা উৎপাদনে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। সদ্যসমাপ্ত ২০১৩ সালে দেশে মোট ৬ কোটি ৪০ লাখ কেজি চা উৎপাদিত হয়েছে, যা এ শিল্পের ১৫৯ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এর আগে ২০১২ সালে ৬ কোটি ২৬ লাখ ২০ হাজার কেজি চা উৎপাদন করে চা শিল্প রেকর্ড সৃষ্টি করেছিল। ওই রেকর্ড ২০০৫ সালের বহুল আলোচিত রেকর্ড ছাড়িয়ে গিয়েছিল। ২০০৫ সালে দেশে চা উৎপাদিত হয়েছিল ৫ কোটি ৯৬ লাখ ১০ হাজার কেজি। অনুকূল আবহাওয়া, নতুন এলাকায় চা উৎপাদন সম্প্রসারণ, ক্লোন চা গাছের ব্যবহার বৃদ্ধি এবং চা বোর্ডের নজরদারির ফলে গত মৌসুমে চা শিল্পের ইতিহাসে সর্বোচ্চ চা উৎপাদন হয়েছে। এ বছর দেশে চায়ের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৬ কোটি ৫ লাখ কেজি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দেশে চা উৎপাদিত হয় ৬ কোটি ৪০ লাখ কেজি। যা দেশের চা উৎপাদনে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। চা শিল্পের ইতিহাসে ৬ কোটি ৪০ লাখ কেজি চা উৎপাদনের মাধ্যমে চা শিল্পের দেড়শ বছরের ইতিহাসে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হলো। দেশে চায়ের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য ইতোমধ্যে বাংলাদেশ চা বোর্ড ‘ভিশন ২১’ বাস্তবায়ন করছে। এ পরিকল্পনার আওতায় চা উৎপাদন বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশ চা বোর্ড ১০টি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। প্রতিটি প্রকল্পের সময় ১২ বছর। প্রকল্পের মাধ্যমে ২০২১ সালের মধ্যে ১০ কোটি কেজি চা বাড়ানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি ও পঞ্চগড় জেলার ছয় হাজার ৪৪০ হেক্টর পতিত জমিতে আরও ১০৬টি চা বাগান তৈরি করে অতিরিক্ত চা উৎপাদনের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। এ ছাড়া চা উৎপাদন বাড়ানোর জন্য সম্প্রতি বিটি-১৮ জাতের নতুন চা গাছ লাগানো হয়েছে। এগুলোর ফলন ভাল এবং খরাসহিষ্ণু। এতে চা উৎপাদন ক্রমান্বয়ে বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। চা শিল্পের জন্য নেয়া কৌশলগত পরিকল্পনা ‘ভিশন-২০২১’ বাস্তবায়ন হলে দেশে চা উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়াবে ১০ কোটি কেজি। আর ভিশন-২০২১ বাস্তবায়িত হলে ২ কোটি কেজি চা রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব হবে। অবশিষ্ট ৮ কোটি কেজি চা দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে পারবে। সেই সঙ্গে বাংলাদেশ হারিয়ে যাওয়া বাজার ফিরে পাবে।
©somewhere in net ltd.