![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কীর্তনখোলা নদীর তীর ঘেঁষে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক অপূর্ব লীলাভূমিতে গড়ে উঠেছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস। মূল শহরের কাছে নির্মিত মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশসংবলিত এই ক্যাম্পাস শিক্ষা অর্জনের ভাবী তপোবন। ২০১১ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দক্ষিণাঞ্চলের জনগণের দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এর মধ্য দিয়ে এক স্বপ্নের সফল বাস্তবায়ন হয়। স্বাধীনতা-উত্তর ১৯৭৩ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ অঞ্চলে একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের ঘোষণা দেন। পরবর্তীকালে বহু চড়াই-উতরাই ও দীর্ঘ সংগ্রামের পর ২০০৯ সালে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় আইন সংসদে পাস হয়। বর্তমান সরকারের গতিশীল নেতৃত্ব বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দান করে। ফলে ২০১২ সালের ২৪ জানুয়ারি এক বছরেরও কম সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম চালু করতে সমর্থ হন। বরিশাল জিলা স্কুলের অস্থায়ী ক্যাম্পাসে চারটি অনুষদে ছয়টি বিভাগ নিয়ে পথচলা শুরু করে। বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয়ে ছয়টি অনুষদে ১৬টি বিভাগ চালু রয়েছে। দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আদলে গড়ে ওঠা বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম ও পাঠ্যসূচি অদূর ভবিষ্যতে এ বিশ্ববিদ্যালয়কে দেশের উচ্চশিক্ষার নেতৃত্বের আসনে প্রতিষ্ঠা করবে। শিগগিরই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় স্থায়ী ক্যাম্পাসের শুভ উদ্বোধনের মাধ্যমে এর পথচলাকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবেন। প্রাথমিকভাবে ৫০ একর আয়তনবিশিষ্ট ক্যাম্পাস, দুটি ছাত্র হল, একটি ছাত্রী হল, শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের আবাসিক ভবনের কাজ সমাপ্তির পথে। প্রশাসনিক ও একাডেমিক ভবনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এ ছাড়া লাইব্রেরি, অনলাইন লাইব্রেরি-সুবিধা, পরিবহনব্যবস্থা, গরিব মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের বৃত্তিসুবিধাসহ একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের সব সুযোগ-সুবিধা নিয়ে এগিয়ে চলছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়। মাত্র তিন বছরের কম সময়ে দক্ষিণাঞ্চলসহ দেশজুড়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে যে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে, তা প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের জন্য একটি মাইলফলক। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়সহ দক্ষিণাঞ্চলের শিক্ষানুরাগী, বুদ্ধিজীবী ও শিক্ষাসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা প্রধানমন্ত্রীর এই অবদানের প্রতি সচেতন ও কৃতজ্ঞ।
©somewhere in net ltd.