![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সরকার প্রাথমিক শিক্ষাকে পঞ্চম শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণিতে উন্নীত এবং প্রত্যেক শিশুর জন্য অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষাকে অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। নির্বাচনী অঙ্গীকার পূরণে আওয়ামী লীগ সরকার প্রাথমিক স্তরে কম্পিউটার শিক্ষা বাধ্যতামূলক ও নারী শিক্ষার অগ্রগতির জন্য উপবৃত্তি কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। শতভাগ স্বাক্ষরতা অর্জনের লক্ষ্যে বয়স্কদের জন্য উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা কর্মসূচি বাস্তবায়নের অঙ্গীকার পূরণে ইতিমধ্যে সরকার একটি প্রকল্প অনুমোদন করেছে। বর্তমান সরকার শিক্ষকদের পেশা এবং সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। শিক্ষকরা মানুষ গড়ার কারিগর। তাই সরকার প্রাথমিক শিক্ষকদের পদমর্যাদা বৃদ্ধি করে তৃতীয় থেকে দ্বিতীয় শ্রেণীতে উন্নীত করেছে। অন্যরাও যেন এই পেশা গ্রহণে আগ্রহী হয়, এ জন্য প্রাথমিক শিক্ষকদের সুযোগ সুবিধা কিভাবে বৃদ্ধি করা যায়, তা নিয়ে কাজ করে চলেছে সরকার। সে লক্ষ্যে ইতিমধ্যে প্রাথমিক শিক্ষাখাতে ৯৯ হাজার ১৮১ জন শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার নিরক্ষরতামুক্ত দেশ গড়ার লক্ষ্যে মসজিদভিত্তিক শিক্ষা কর্মসূচিসহ নানা কর্মসূচী গ্রহণ করে। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ সরকারের গৃহীত কর্মসূচিগুলো বন্ধ করে দেয়। প্রাথমিক শিক্ষা নিয়ে বিএনপি-জামায়াত জোটের অবহেলা, দুর্নীতি ও পরিকল্পনাহীনতায় শিক্ষার হার নেমে আসে ৪৭ শতাংশে। তবে ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ সরকার আবার প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করে। এতে গত পাঁচ বছরে তা পুনরায় শতকরা ৬৫ ভাগে উন্নীত হয়। ক্ষুধার কারণে শিশুরা স্কুল থেকে চলে যায়। তাই সরকার মিড-ডে মিল হিসেবে উন্নতমানের বিস্কুট সরবরাহ শুরু করে। এতে ঝরেপড়া রোধ অনেকটাই কমে গেছে। তাই পর্যায়ক্রমে শিশুদের জন্য প্রতি স্কুলেই মিড-ডে মিল চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। প্রত্যেক শিশুর জন্য মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে সরকারের সব ধরণের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। ২০৪১ সালের মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ার সেরা এবং বিশ্বের বুকে বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হোক এটাই আমাদের সবার প্রত্যাশা।
©somewhere in net ltd.