নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দরবেশ১

দরবেশ১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রকৃতির বিরূপ বাধা অতিক্রম করে কৃষিবিজ্ঞানীদের নতুন নতুন ধান বীজ উদ্ভাবনে এখন বন্যা ও খরাসহিষ্ণু ধান চাষে দেশে খাদ্যের চাহিদা পূরণে অবশেষে সরকারের লক্ষ্য অর্জিত

১১ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৩

কৃষি বাংলাদেশের গ্রামীণ অর্থনীতির মূল ভিত্তি। গত চার দশকে বাংলাদেশে কৃষি খাতে এক ধরনের বিপ্লব সাধিত হয়েছে। দেশে কৃষি উৎপাদনও কয়েকগুণ বেড়েছে। এই সাফল্যের পেছনে আমাদের কৃষিবিজ্ঞানীদের নিরন্তর গবেষণার ফলে অনুকূল প্রকৃতির ওপর নির্ভরশীল কৃষি ব্যবস্থায় যুগান্তকারী পরিবর্তন এসেছে। আমাদের কৃষি বিজ্ঞানীরা গবেষণার মাধ্যমে কেবল অধিক ফলনশীল ধানই উদ্ভাবন করেননি বরং প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার এ দেশটিতে বন্যা ও খরাসহিষ্ণু ধান উৎপাদনে সাফল্য দেখিয়েছেন। এখানকার চাষীকে এক সময় ধানের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য অনুকূল আবহাওয়ার ওপর নির্ভর করতে হতো। কিন্তু চাষাবাদের উপযোগী অনুকূল পরিবেশ। প্রকৃতির কোন বাধাই এখন আর তাদের অগ্রগতির পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়াতে পারবে না। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) উদ্ভাবিত অধিক ফলনশীল ধান এখন দেশের চাহিদা পূরণ করতে সমর্থ হয়েছে। কৃষি বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত অভিনব এ ধান ইতোমধ্যে চাষীদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়েছে। তাছাড়া দেশের কিছু মানুষ এখন ডায়বেটিসে আক্রান্ত। আমাদের বিজ্ঞানীরা ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য উপযোগী বিশেষ ধরনের ধান উদ্ভাবন করেছেন। এ ধরনের ধান নিম্ন গ্লাইসেমিক ইনডেক্স গুণসম্পন্ন এবং তা ডায়বেটিক রোগীদের জন্য বিশেষভাবে নিরাপদ। দেশের দক্ষিণাঞ্চলের লবণাক্তপ্রবণ এলাকার জন্য লবণাক্তসহিষ্ণু ধানের বীজ উদ্ভাবিত হয়েছে। দেশে পরিকল্পিতভাবে এসব বিশেষ ধরনের ধানের চাষ হলে বাংলাদেশে খাদ্যভাব আর থাকবে না। দেশের প্রয়োজন মিটিয়ে তখন চাল বাইরেও রপ্তানি করা সম্ভব হবে। এসব বিশেষ জাতের ধান সারাদেশেই পরিকল্পিতভাবে চাষাবাদের উদ্যোগ নিতে হবে। চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে উৎপাদন পরিকল্পনা নিতে হবে। আর তা হলেই বাংলাদেশ হয়ে উঠবে খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.