![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিদ্যুতের পর এবার বাংলাদেশের পাঁচ প্রকল্পে অর্থায়ন করতে যাচ্ছে চীন। এ সব প্রকল্পের বড় অঙ্কের বিনিয়োগ আশা করছে সরকার। সেগুলো হচ্ছে দাসেরকান্দি স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট প্রকল্প। এস্টাবলিস্টমেন্ট অব ফোর টিয়ার ন্যাশনাল ডাটা সেন্টার প্রকল্প। টেলিকমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক ফর ডিজিটাল বাংলাদেশ (টিএনটি) প্রকল্প। ডেভেলপমেন্ট অব কক্সবাজার এয়ারপোর্ট প্রকল্প এবং প্রকিউরমেন্ট অব সিক্স ভেসেলস প্রকল্প। হাতিরঝিল-বেগুনবাড়ী সমন্বিত উন্নয়ন প্রকল্পের বর্জ্য নিষ্কাশন ব্যবস্থা উন্নয়নের জন্য চীনের কাছ থেকে ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা ঋণ নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে ঢাকা ওয়াসা। হাতিরঝিল প্রকল্পের আওতায় ১০ দশমিক ৪৫ কোটি ঘনফুট বর্জ্য অপসারণে ১০ দশমিক ৪০ কি.মি মেন ডাইভারশন স্যুয়ারেজ লাইন স্থাপন করার পকিল্পনা করা হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রকল্প এলাকার বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে কার্যকর করে হাতিরঝিলের পরিবেশের বৈপ্লবিক উন্নতি সাধন করা হবে। এ ছাড়া চীনের এক্সিম ব্যাংক থেকে বায়ার্স ক্রেডিটে ৬টি জাহাজ কেনার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে সরকার। দেশের বিদ্যুত খাতে ব্যাপক বিনিয়োগ করছে চীন। ইতোমধ্যেই বেশ কয়েকটি প্রকল্পে বড় অঙ্কের অর্থায়নের বিষয়ে চূড়ান্ত কার্যক্রম শেষ হয়েছে। ঘোড়াশাল ৩৬৫ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপনে ঋণ দিচ্ছে ইন্ডাস্ট্রিয়াল এ্যান্ড কমার্শিয়াল ব্যাংক অব চায়না লিমিটেড (আইসিবিসি)। চীনের অর্থায়নে চাঁপাইনবাবগঞ্জে হচ্ছে আরও একটি ১০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন নতুন বিদ্যুত কেন্দ্র। সকল প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে দেশ অর্থনৈতিক দিক দিয়ে যেমন লাভবান হবে তেমনি দেশের শৈল্পিক শোভা বর্ধনও বৃদ্ধি পাবে। বিদ্যুতের লোড সেডিং এ জনগণের জীবন আর দুর্বিসহ হবে না। যে প্রকল্পের বিপরীতেই ঋণ নেয়া হোক না কেন তার যেন কাঙ্ক্ষিত বাস্তবায়ন হয় সরকারের কাছে সাধারণ জনতার এটাই চাওয়া। সরকার তা পূরণে যথেষ্ট দায়িত্বের পরিচয় দিতে অঙ্গীকারবদ্ধ।
©somewhere in net ltd.