![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মংলা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (ইপিজেড) ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে ইপিজেডের ২৫৫.৪১ একর জমির ওপর স্থাপিত ১৯০টি প্লট ২৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে উত্পাদনে গেছে দেশি-বিদেশি ১৭টি প্রতিষ্ঠান। এছাড়া ১০টি শিল্প প্রতিষ্ঠানের কারখানা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। চালু প্রতিষ্ঠানগুলোতে উত্পাদিত পণ্য রপ্তানি করে এ পর্যন্ত প্রায় ১৮৩ কোটি টাকা আয় হয়েছে। মংলা ইপিজেডে সুপারি প্রসেসিং, টাওয়াল, সোয়েটার, পলি প্রিন্টিং এন্ড প্যাকেজিং, ট্রাভেল ব্যাগ, লাগেজ, ভোজ্যতেল পরিশোধন, সিগারেট উত্পাদন, পেপার একসেসরিজ উত্পাদন, চুল প্রসেসিং, গাম টেপ, রাবার শিট প্রভৃতি পণ্য উত্পাদন হয়। এগুলো ভারত, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, ইউকে, ইউএসএ, ইতালি, জার্মানিসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা হয়। মংলা ইপিজেডে উত্পাদিত পণ্য রপ্তানি করে এ পর্যন্ত ২ কোটি ২৩ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার আয় হয়েছে। মংলা ইপিজেডের সব প্লট চালু হলে অন্তত ১৭ হাজার লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। যা এ অঞ্চলের আর্থ সামাজিক ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে। মংলা ইপিজেড আর্থ সামাজিক উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখছে। অনগ্রসর দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের শিল্পের বিকাশ ঘটানো এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে দারিদ্র্যতা দূরীকরণে সুদূর প্রসারি ভূমিকা পালন করছে। মংলা ইপিজেড এ অঞ্চলের জনবসতির কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে। যা জাতীয় অর্থনীতির ক্ষেত্রে অগ্রগামী ভূমিকা পালন করে আসছে। এছাড়া মংলা বন্দরকে আরও গতিশীল করার ক্ষেত্রেও ইপিজেডের গুরুত্ব অপরিসীম। বর্তমান সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টায় মংলা ইপিজেডের এমন অকল্পনীয় সাফল্য অর্জন সম্ভব হয়েছে।
২| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৯
নিষ্কর্মা বলেছেন: শ্বেথস্নতীর সরকারের প্রশংসা করার লোক আছে দেখে পুলকিত হলাম।
উপরের কমেন্ট-এ শাহ আজিজ যা বলেছেন, তা তে তো মুগ্ধ হতেই হয়। আমাদের করিতকর্মা সরকার কত কিছুই না করছে।
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৭
শাহ আজিজ বলেছেন: এই সরকারই তো ১৯৯৮ তে ক্ষমতায় ছিল । তাইওয়ানিজ গ্রুপকে নিয়ে গেলাম মংলা ই পি জেড অফিসে । আগের রাতে ওদের হোটেলে দিয়ে বাসায় আসতে না আসতে অজানা সব লোক ফোনে আমায় অনুরোধ করতে লাগলো তার প্লট আছে এবং আমরা যেন তার সঙ্গে ব্যাবসা করি । রাত দুটোয় ফোন খুলে রাখলাম । এরা খবর পেল কোথা থেকে বা আমার নাম্বার পেল কোথায়। ই পি জেড আমাদের জানাল সব প্লট বরাদ্দ দেয়া আছে । এরা শিল্পতো করছেই না এবং বার্ষিক জমিভাড়া দিচ্ছে না। খাতাপত্র খুলে দেখান হল আমাদের । বিদেশিরা কারো সাথে যৌথ কারবারে যেতে রাজী না । আমরা বললাম কবে নাগাদ একটি নদী সংলগ্ন জমি পাওয়া যেতে পারে । চেয়ারম্যানের সচিব জানাল চিঠি দিলে তার জবাব পেয়ে তারপর বোর্ড মিটিঙে সিদ্ধান্ত হবে । একেবারে তুঘলকি কারবার । আমরা ঘুরে ফিরে দেখে চলে এলাম খুলনায় । ইতিমধ্যে আরও অনেকদফা ফোন এসেছে । আশ্চর্য হচ্ছে আমাদের গতিবিধির খবর কে পাস করছে । খুব হতাশা নিয়ে ঢাকা পৌঁছলাম রাত ২ টায় । ১৯৯৮ থেকে ২০১৪ অনেক সময় । সেবার এই সরকার পারেনি তো ২০০৮ এ তো পারত । মাত্র ছটি প্রতিষ্ঠান বেড়েছে এই ১৬ বছরে । ওয়াও কি উন্নতি রে বাবা । ভেতরের অনেক সারগর্ভ আর এখানে তুল্লাম না । যদি ঐ বেতনভোগী প্রশাসন বাদ দিয়ে একটি বিদেশি সংস্থা কে চুক্তিতে দেয়া হয় তাহলে পাঁচ বছরে মংলা পরিপূর্ণ হবে । তারপর কথা থাকে নদীর নাব্যতা এবং বিদ্যুৎ নিয়ে কারন এখন রফতানিতে দুই দফা লেবার চার্জ এবং মুল জাহাজ পর্যন্ত নৌ ভাড়া বেড়েছে । কি জবাব দেবেন বলুন?