নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দরবেশ১

দরবেশ১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় বিশ্বের মডেল হয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রকল্প

০৩ রা মে, ২০১৪ বিকাল ৩:৩২

দেশের জনগণকে একটি নির্দিষ্ট মানসম্মত স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা সেবা প্রদানের উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ১৯৯৮ সালের ২৮ জুন জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা সেক্টর কর্মসূচী বাস্তবায়ন পরিকল্পনা অনুমোদিত হয়। ১৯৯৮ সালের ১ জুলাই স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা সেক্টর কর্মসূচী বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয়। এ কর্মসূচীর আওতায় গ্রামীণ জনগণের দোরগোড়ায় একটি নির্দিষ্ট কেন্দ্রে থেকে ‘অত্যাবশ্যকীয় সেবা প্যাকেজের’ মাধ্যমে সমন্বিত স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা সেবা প্রদানের লক্ষ্যে গ্রাম/ওয়ার্ড পর্যায়ে ‘কমিউনিটি ক্লিনিক’ স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ১৯৯৯ সালের এপ্রিলে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন সংক্রান্ত একটি নীতিমালা জারি করে। নীতিমালায় কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ এবং এর পরিচালনা, রক্ষণাবেক্ষণ, তত্ত্বাবধান ও নিরাপত্তা বিধানে অংশগ্রহণের মাধ্যমে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা সেবা ব্যবস্থার সঙ্গে সম্পৃক্তকরণের এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। ১৯৯৯ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত ১০ হাজার ৭২৩ কমিউনিটি ক্লিনিক তৈরি করা হয়। জনকল্যাণমূলক এই প্রকল্পটি ২০০১ সালে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট সরকার ক্ষমতায় এসে বন্ধ করে দেয়। গত মেয়াদে ২০০৯ সালে দায়িত্ব নেয়ার পর আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার ১০ হাজার ৬২৪ কমিউনিটি ক্লিনিক পুনরায় চালু করে। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার কমিউনিটি ক্লিনিক পুনরুজ্জীবিতকরণের লক্ষ্যে ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বরে একনেক সভায় ‘রিভাইটালাইজেশন অব কমিউনিটি হেলথ কেয়ার ইনিশিয়েটিভস ইন বাংলাদেশ (কমিউনিটি ক্লিনিক প্রকল্প)’ শীর্ষক ৫ বছর মেয়াদী (২০০৯ জুলাই থেকে ২০১৪ জুন) উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন করে। ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর একনেক সভায় সংশোধিত ‘ডিপিপি’ অনুমোদিত হয়েছে এবং প্রকল্পের মেয়াদ ২০১৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় বিশ্বের মডেল হয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রকল্প। ক্লিনিকের সুফল ভোগ করছে দেশের সাধারণ মানুষ। বাড়ির পাশেই বিনামূল্যে মিলছে স্বাস্থ্যসেবা। বর্তমানে প্রতিমাসে ৮০ থেকে ৯০ লাখ মানুষ কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে সেবা নেয়। চালু হওয়ার পর থেকে মোট ১৭ কোটির বেশি রোগী সেবা পেয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার করা হয়েছে সাড়ে ৩৪ লাখ রোগীকে। কমিউনিটি ক্লিনিকে নির্ধারিত ৩০ প্রকারের ওষুধ রয়েছে। বর্তমানে তিন শতাধিক কমিউনিটি ক্লিনিকে স্বাভাবিক প্রসবের ব্যবস্থা চালু হয়েছে। মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে কমিউনিটি ক্লিনিক। প্রতিটি ক্লিনিকেই সরবরাহ করা হয়েছে ল্যাপটপ। ভবিষ্যতে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোই হবে দেশের স্বাস্থ্যসেবার পরিসংখ্যানের তথ্যভান্ডার।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.