![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বর্তমান সরকার ডিরেক্টর জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্সকে (ডিজিএফআই) রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতে চায় না। বরং একটি সুশৃঙ্খল প্রতিষ্ঠান হিসেবে এর সুনাম সমুন্নত রাখতে চায়। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে অতীতে ডিজিএফআইকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকারের আমলে তার উল্টো দেখছি। তারা এর সুনাম অক্ষুণ্ন রেখে একে একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছে। ক্ষমতাসীন সরকার জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অটুট রাখতে ডিজিএফআই'র অগ্রগতি অব্যাহত রেখেছে। অতীতের স্বৈরাচারী শাসকরা ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে। ডিজিএফআই গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা সমুন্নত এবং গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার মধ্য দিয়ে তার পুনরুদ্ধার হওয়া গৌরব ক্রমেই আরও বাড়িয়ে তুলতে পারবে। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা আঁকড়ে রাখার জন্য এ বাহিনীকে ব্যবহার করে এর ভাবমূর্তি ও মর্যাদা ভূলুণ্ঠিত করা হয়েছিল। এ প্রতিষ্ঠানের ওপর জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস নষ্ট করে দেয়া হয়েছিল। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা অব্যাহত না থাকলে দেশ তার কাঙ্ক্ষিত আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন অর্জন করতে পারে না। ১৯৭৫-এর পর সশস্ত্র বাহিনীতে ১৮টি অভ্যুত্থান ঘটে এবং এজন্য এ বাহিনীকে অনেক মূল্য দিতে হয়েছে। এসব অভ্যুত্থানে অনেক অফিসার ও জওয়ান নিহত হয়েছে। এতে অনেক বাবা-মা তাদের সন্তান এবং বোন তাদের ভাই হারিয়েছে। ক্ষমতাসীন দল সব সময়ই অভ্যুত্থান-পাল্টা অভ্যুত্থান ও হত্যাকাণ্ডের বিরোধী এবং দেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অক্ষুণ্ন রাখতে সর্বদা সচেষ্ট।
©somewhere in net ltd.