![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নগরমুখী অভিবাসন ঠেকাতে সরকারের পক্ষ থেকে সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে ভারসাম্যপূর্ণ নগরায়ন গড়ে তুলতে বিকেন্দ্রীকরণে জোর দেয়া হবে। এ ছাড়া মেগাসিটি এলাকায় বড় বিনিয়োগকে নিরুৎসাহিত করে অন্যান্য অঞ্চল ও নগরে বিনিয়োগে উৎসাহিত করতে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। এ সব বিষয় অন্তর্ভুক্ত করে ‘জাতীয় নগর নীতিমালা-২০১৪’-এর খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এই নীতিমালা তৈরি করেছে। এ ছাড়া নীতিমালায় প্রয়োজনীয় পুনর্বাসন ব্যবস্থা না করে বস্তি উচ্ছেদে নিরুৎসাহিত করা হবে। দেশে মোট নগর জনসংখ্যা সাড়ে চার কোটিরও বেশি। আর প্রতি বছর শতকরা ২ দশমিক ৫ ভাগ হারে এই জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। নগর এলাকার মধ্যে শতকরা ৬০ ভাগ লোকই ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে বাস করে। অপরিকল্পিত দ্রুত নগরায়ন সামাজিক ও প্রাকৃতিক পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে। ফলে বিদ্যমান অবকাঠামো ও পরিসেবায় বিপুল চাপ পড়ছে। বর্ধিত জনগোষ্ঠীর জন্য আবাসন, পানি সরবরাহ, পয়ঃনিষ্কাশন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, শিক্ষা, চিকিৎসা, বিদ্যুত, যোগাযোগ সুবিধা ইত্যাদি পরিসেবা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পরিকল্পিত নগরায়ন না হলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা সম্ভব নয়। সে কারণে পরিকল্পিত নগরায়ন গড়ার লক্ষ্যে নগর নীতিমালা প্রণয়ন করা হচ্ছে। খসড়া নীতিমালায় নগর ক্রমবিন্যাসে ৫টি ধাপে নগরকে ভাগ করা হয়েছে। এ সব ধাপের মধ্যে রয়েছে মেগাসিটি, মহানগর, মাঝারি শহর, উপজেলা শহর ও কমপ্যাক্ট টাউন বা বিকাশমান অনুকেন্দ্র। এক কোটির ওপরে জনসংখ্যা থাকলে সেটা হবে মেগাসিটি। জনসংখ্যা ৫ লাখ থেকে এক কোটির নিচে হলে সেটা হবে মহানগর। জনসংখ্যা ৫০ হাজার থেকে ৫ লাখের নিচে হলে সেটা হবে মাঝারি শহর। জনসংখ্যা ২০ হাজার থেকে ৫০ হাজারের নিচে থাকলে সেটা হবে উপজেলা শহর। জনসংখ্যা ২০ হাজারের নিচে হলে সেটা হবে কমপ্যাক্ট টাউন বা বিকাশমান অনুকেন্দ্র। সরকারের এ পরিকল্পনার পূর্ণ বাস্তবায়ন হলে ভারসাম্যপূর্ণ নগরায়ন গড়ে উঠবে সাথে সাথে জনগণ শুধু শহরের দিকেই ধাবিত হবে না অন্যান্য এলাকার দিকেও ধাবিত হবে।
©somewhere in net ltd.