![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশে বিএনপি নেতাদের উচ্ছ্বাস দেখে বোঝা ভার, ভারতের নির্বাচনে বিজেপি জিতেছে নাকি বিএনপি? বাংলাদেশের সবকটি পত্রিকায় বিএনপির উল্লাস নিয়ে প্রতিবেদন হয়েছে। সবার আগে অভিনন্দন জানানোর একধরনের শিশুসুলভ তাড়াহুড়োও এড়ায়নি কারো চোখ। মোদীর জয়ে বিএনপি একটি অসম্ভব সুখস্বপ্নে বিভোর। হাসিনা সরকারকে উৎখাত করা সময়ের ব্যাপার। এবার বিএনপিও ক্ষমতায় আসবে। বিএনপির আনন্দ চোখে মুখে উপচে পড়ছে। আনন্দ দেখে কেউ মন্তব্য করতে পারেন, বিশ্বের সর্ববৃহৎ গনতান্ত্রিক এ দেশের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ে বিএনপির কোনো ধারণা নেই বোধহয়। কেননা ভারতে সরকার পাল্টালেও তাদের বিদেশনীতির তেমন কোনো পরিবর্তন হয় বলে দেখা যায় না। ভারত তথা হিন্দুবিরোধী বলে পরিচিত বিএনপি। সেই দলটির ভারতের জাতীয় নির্বাচনে সদ্য বিজয়ী নেতাকে বরণের এতো ত্বড়িৎকর্মের ইতিহাসও এই প্রথম। মোদীর বিজয়ের পর বিএনপির বগল বাজানোর মতো কি এমন ঘটনা ঘটল সেটা বুঝে উঠতে পারছেন না অনেকেই। বিএনপি কি ভাবছে, মোদী এসে তাদের ক্ষমতার চেয়ারে বসিয়ে দেবে? এমন না ভাবলেও তার কাছাকাছি কিছু একটা ভাবছে এটা যে কেউ বোঝেন। বিএনপির এতো খুশি হওয়ার পেছনে বিজেপির সঙ্গে বিএনপির কোনোকালে বা কস্মিনকালেও কোনো মধুর বা আনন্দিত হওয়ার মতো ঐতিহাসিক কোনো সম্পর্ক ছিল কি-না তা খুঁজতে গিয়ে পাওয়া যাচ্ছে না। এখন প্রশ্ন হলো, কেন হঠাৎ বিএনপির মনে হলো ভারত তাদের পাশে থাকবে। সারাজীবন ভারত বিরোধিতা করে এখন কেন তারা পাকিস্তানমুখী কেবলা পরিবর্তন করে ভারতমুখী হচ্ছেন? তাও আবার গুজরাটে মুসলমানদের রক্তে হাত রাঙানো মোদীর মতো দাঙ্গাবাজ হিন্দু নেতার আনুকূল্য পেতে মরিয়া হয়েছেন। ধর্মকর্ম কোথায় গেল? অতীতের মতো তারা কি এখনো জনগণের পরিবর্তে বিদেশি রাষ্ট্রকে ক্ষমতার উৎস মনে করেন? এর চেয়েও বড় প্রশ্ন, বিজেপিই বা কেন বিএনপিকে সমর্থন দেবে? এর তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা হলো- বিজেপি ও বিএনপি দুটোই মৌলবাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়। এছাড়া বিএনপির সঙ্গে জামায়াত রয়েছেই। বিশ্বব্যাপী মৌলবাদী দলগুলোর মধ্যে এক ধরনের গোপন সম্প্রীতি ও আত্মিক টান লক্ষ্য করা যায়। এক নেশাসক্ত ব্যক্তি যেমন আরেক নেশাসক্ত ব্যক্তির প্রতি আত্মিক টান দেখায় ঠিক তেমন টান। এরা স্বগোত্রীয় না হলেও চারিত্রিক বিচারে স্বজাতীয়। তাই পৃথিবীর এক প্রান্তের মৌলবাদীরা অন্য প্রান্তের মৌলবাদীদের আনুকূল্য পাবে এমন তাত্ত্বিক আশা করাই যেতে পারে। সেই হিসেবে আশার আলো আছে। এছাড়া আর কোনো আলো সুড়ঙ্গে নেই। কিন্তু এটা শুধুই একটি কথিত তত্ত্ব। বিএনপির ক্ষেত্রে এর সম্ভাবনা জিরো। আশার গুড়ে যদি পুরোটাই বালি মাখা হয়, তখন?
©somewhere in net ltd.