![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অটিজম নিয়ে বাংলাদেশের গৃহীত নানা উদ্যোগ বিশ্বের নজর কেড়েছে। বিশ্বস্বাস্থ্য সম্মেলনে অটিজম নিয়ে বাংলাদেশের একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে। ২০১১ সালে ঢাকায় অটিজম সম্মেলন আয়োজনের মধ্য দিয়ে দেশে এ বিষয়ে সচেতনতা ও জাগরণ তৈরি হয়। ওই সম্মেলনের পর থেকে অভিভাবকরা অস্বাভাবিক আচরণের শিশুদের সেবা কেন্দ্রে নিয়ে আসতে শুরু করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা ও যুক্তরাষ্ট্রে নিবন্ধিত মনস্তত্ববিদ, অটিজম বিশেষজ্ঞ সায়মা হোসেন পুতুল ওই সম্মেলন আয়োজনের মধ্য দিয়ে দেশে অটিজম আন্দোলন গড়ে তোলেন। তিনি বৈশ্বিক অটিজম কর্মসূচীতে নেতৃত্বদানকারী মার্কিন সংস্থা ‘অটিজম স্পিকসে’র সদস্য। মূলত তার প্রচেষ্টায় দেশে অটিজম সচেতনতা গড়ে উঠে। বিশেষজ্ঞরা জানান, শিশুদের অটিজমে আক্রান্তের হার উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে চলেছে। বিশ্বজুড়ে বাড়ছে এ সমস্যার ব্যাপ্তি। মাত্র ২ বছরের ব্যবধানে অটিজম আক্রান্ত শিশুর হার ৩০ শতাংশ বেড়েছে। ছেলেশিশুদের মধ্যে অটিজমের আক্রমণ সাড়ে ৪ গুণ বেশি। বাংলাদেশে অটিস্টিক শিশুর সংখ্যা আনুমানিক দেড় লাখ হতে পারে বলে জানিয়েছে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়। জেনেভায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সম্মেলনে অটিজম নিয়ে বাংলাদেশের প্রস্তাব পাস হওয়ায় এটা বাংলাদেশের জন্য একটা বিরাট অর্জন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অটিজম সম্পর্কে সচেতনতা ও জাগরণ সৃষ্টিতে বড় ভূমিকা রেখেছে গত ২০১১ সালে অটিজম নিয়ে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত ৫ দিনব্যাপী ঢাকা সম্মেলন। রাজধানীর হোটেল রূপসী বাংলায় অনুষ্ঠিত হয় ঐ আন্তর্জাতিক অটিজম সম্মেলনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরিচালনায় ছিলেন বাংলাদেশ অটিজম সংক্রান্ত জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রীর তনয়া সায়মা হোসেন পুতুল। আর ভারতীয় কংগ্রেসের সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীসহ আঞ্চলিক নেতৃবৃন্দও উপস্থিত ছিলেন। ঐ সম্মেলনের বার্তা পৌঁছে যায় সারাবিশ্বে। প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ শনাক্ত করা গেলে অটিজমের হাত থেকে অনেক শিশুকে রক্ষা করা সম্ভব। শিশু নিউরোলজিস্ট ও অটিজম বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিবিড় পরিচর্যায় অস্বাভাবিক আচরণের শিশুরাও সমাজের মূলধারায় ফিরতে পারে। অটিজম সন্দেহ হলে দ্রুত সেবা কেন্দ্রে আনার পরামর্শ দিয়ে সিডিসি বলেছে, যত কম বয়সে শনাক্ত হবে, ততই শিশুকে স্বাভাবিক আচরণে ফিরিয়ে আনার সুযোগ বেশি থাকবে। বাংলাদেশে শিশু বিকাশ কেন্দ্রে চলছে কাজ। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে সরকারী মেডিক্যাল কলেজ পর্যায়ে ১০টি শিশু বিকাশ কেন্দ্র রয়েছে। এ ছাড়া সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত হচ্ছে বেশকিছু কার্যক্রম। এ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ৬৪ জেলায় ৬৮টি প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র থেকে অটিজম সেবা নেয়ার সুযোগ রয়েছে। আরও ৫টি কেন্দ্র চালুর কাজ প্রক্রিয়াধীন। সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টায় প্রতিবন্ধী শিশুরা তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসুক, সমাজের মূলধারায় ফিরে এসে উন্নত সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখুক এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
©somewhere in net ltd.