![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আগামী বাজেটে কৃষি ঋণের আকার বাড়ছে। এ খাতে বাজেটে বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে ১৫ হাজার ৭৬৩ কোটি টাকা। যা চলতি অর্থবছরের তুলনায় ৮ শতাংশ বেশি। চলতি অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ ছিল ১৪ হাজার ৫৯৫ কোটি টাকা। একই সঙ্গে কৃষি ঋণ বিতরণ প্রক্রিয়া আরও সহজ করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এর আওতায় এখন প্রান্তিক কৃষকরাও জামানতবিহীন ঋণ পাবেন। এই লক্ষ্যে একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হচ্ছে। বাজেট ঘোষণার পর বরাদ্দের আলোকে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে আগামী অর্থবছরের জন্য কৃষি ঋণ নীতিমালা ঘোষণা করা হবে। চলতি অর্থবছরের তুলনায় আগামী অর্থবছরে কৃষি ঋণের আকার ৮ শতাংশ বাড়ানো হচ্ছে। কৃষি খাতে ঋণ যাতে ঠিকমতো যায় সেদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কঠোরভাবে মনিটরিং করছে। সরকারের দিক থেকে কৃষি খাতকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। বর্তমানে কৃষি ঋণের প্রায় ৬০ শতাংশ এককভাবে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক (বিকেবি) বিতরণ করে থাকে। এ কাজে তাদের বিভিন্ন সময় সরকার থেকে পুনঃঅর্থায়ন করা হয়। রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব) বিতরণ করে মোট ঋণের প্রায় ২০ শতাংশ। বাকি ২০ শতাংশ বিতরণ করে সরকারি চার রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি ব্যাংকগুলো মিলে। চলতি ২০১৩-১৪ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) ব্যাংকগুলো কৃষি খাতে ১৩ হাজার ১১০ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করেছে। যা এই অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ৯০ শতাংশ। আলোচ্য সময়ে বকেয়া ঋণ আদায়ের পরিমাণও বেড়েছে। এ সময় বকেয়া ঋণের ৪১ দশমিক ৫৫ শতাংশ আদায় হয়েছে। যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৩৮ দশমিক ৬৫ শতাংশ। মূলত কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা আনতে সরকারের সহায়তায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ পদক্ষেপ নিয়েছে। সরকারের লক্ষ্যে একটাই, দেশের গরিব ও অস্বচ্ছল কৃষক পরিবারের মুখে হাসি ফোটানো। পাশাপাশি তাদেরকে উৎপাদনের মুলধারায় সম্পৃক্ত করা।
©somewhere in net ltd.