সন্ত্রাস, জঙ্গি দমন, মাদকদ্রব্য ও ভেজাল বিরোধী অভিযানে র্যা বের সফলতা

২৬ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৪

বাংলাদেশ পুলিশ ছাড়াও সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী, বিজিবি, কোস্টগার্ড, আনসার ও সরকারের বেসামরিক প্রশাসনের বাছাইকৃত চৌকস কর্মকর্তা ও অন্যান্য সদস্য নিয়ে গঠিত হয় র্যা ব। জল ও স্থলের পাশাপাশি র্যা ব এখন আকাশপথেও নিরাপত্তা টহল দিয়ে যাচ্ছে। সুন্দরবনের মতো বিশাল অঞ্চলকে জলদস্যুমুক্ত করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে র্যা ব। এক্ষেত্রে এরই মধ্যে অনেক সফলতাও অর্জিত হয়েছে। নিম্নে কিছু তুলে ধরা হলোঃ



 র্যা ব এক দশকে ১১০১ জন বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে।

 র্যা ব ৮২০৩ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার করেছে।

 ১১০১৬টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং ৯২৩৪২ রাউন্ড গুলি, ৭৫৪২টি ককটেল ও বোমা এবং ৫২৮০ কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার করেছে র্যা৪ব।

 প্রতিষ্ঠার পর থেকে র্যারব এ পর্যন্ত ৪৮ হাজার ২৩০ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে।

 র্যা ব উদ্ধার করেছে ৩৯৫.৪৪৭ কেজি হেরোইন, ২৪ লাখ ৮২ হাজার ৮৪০ বোতল ফেনসিডিল, ১৮ লাখ ৫৯ হাজার ৯৫২ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ৯২ হাজার ৭০০ বোতল বিদেশি মদ, ২ লাখ ১২ হাজার ১৫৪ বোতল দেশি মদ, ৫৩ হাজার ৪৩৫ কেজি গাঁজা, ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৭৯ ক্যান বিয়ার, ২৬.৩৩১ কেজি কোকেন, ২৩.২২৯ কেজি আফিম, ১৫ হাজার ২৪৮টি ভায়াগ্রা ট্যাবলেট, ৫ হাজার ৯২টি আইসপিল ট্যাবলেট, ৩ লাখ ৪১ হাজার ১০৬টি নেশাজাতীয় ইনজেকশন এবং ২ লাখ ৮০ হাজার ৬০৯টি সেনেগ্রা ট্যাবলেট।

 এ পর্যন্ত র্যাজব ১২ হাজার ২৩৩টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ৬ হাজার ১৫৪ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে জেল দিয়েছে। জরিমানা আদায় করা হয়েছে ৫৬ কোটি ৬৩ লাখ ৫৪ হাজার ৩৬ টাকা।



র্যা ব সদস্যরা তাদের পেশাগত দক্ষতা, সততা, নিষ্ঠা, দেশপ্রেম ও আন্তরিকতার মাধ্যমে দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষাসহ আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। তাই কোনো সংকীর্ণ স্বার্থে র্যাশবের বিলুপ্তি নয়, বরং দেশ ও জননিরাপত্তার স্বার্থে কিভাবে র্যাোবকে আরও সময়োপযোগী ও কার্যকর করা যায় তা নিয়ে সবার ভাবা উচিত।

০ টি +০/-০