![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাদের দেশের তরুণ সমাজ ’৭১ দেখেনি। কিন্তু আজকে বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্য দেখে তা উপলব্দি করতে পারছে। বাংলাদেশে এখন বিএনপি ও জামায়াতের কার্যকলাপ দেখে মনে হয়, তাদেরও সম্ভবত অন্তিম ব্যাধিতেই ধরেছে। দেশে তারা শুধু বিরাটভাবে গণবিচ্ছিন্ন হয়নি, এই গণবিচ্ছিন্নতা থেকে তাদের মধ্যে বুদ্ধিভ্রষ্টতাও দেখা দিয়েছে। সমাবেশের নামে দেশের বিভিন্ন স্থানে জনসভা করতে না দেয়ায় মন ক্ষুণ্ণ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও তার শরিক দল। কিন্তু বিগত দিনে সহিংসতা ছাড়া সভা সমাবেশ করার কথা থাকলেও তিনি কি তার দেয়া কথা রেখেছেন? প্রতিটি সভা সমাবেশে কিছু না কিছু সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড তার দল ও শরিকরা ঘটিয়েছে। আসুন তাদের সম্পর্কে একটু জেনে নেইঃ
নীতির বাইরে গিয়ে সুবিধা দিলে, সভা সমাবেশ করতে দিলে সরকার ভালো এবং দেশে সুশাসন থাকে, তা না হলে দেশ রসাতলে গেছে বলে অপপ্রচার করা হয়। আসলে তাদের চরিত্রই এমন।
পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য সবুজ বনাঞ্চল অত্যাবশ্যকীয় অথচ এই সবুজ প্রকৃতিকে গত কয়েক বছর ধরে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নামে বিএনপি-জামায়াত সারাদেশে হাজার হাজার গাছ কেটে প্রকৃতিকে ধংসের দার প্রান্তে নিয়ে গেছে।
বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া সংবিধান, আইনের শাসন কিছুই বিশ্বাস করেন না, মানেনও না। এ কারণেই প্রধান বিচারপতি বা রেজিস্টারের অনুমতি না নিয়েই তিনি (খালেদা জিয়া) সুপ্রীমকোর্টে অবৈধভাবে সমাবেশ করতে গিয়েছিলেন। আসলে সর্বোচ্চ আদালতে অরাজকতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্রেই খালেদা জিয়া এমন কাজটি করেছেন।
কিছুদিন আগে এ বছরই বিএনপির পেশাদার সন্ত্রাসীরা আইনজীবির পোষাক পরে সুপ্রীম কোর্ট এর ভিতরে অবস্থান নিয়ে তাদের হরতাল, অবরোধ কর্মসূচী পালনের নামে পুলিশের উপর ইট পাটকেল নিক্ষেপ করেছিল। জিম্মি করেছিল সুপ্রীম কোর্ট প্রাঙ্গণকে।
লোক দেখানো কর্মসূচি দিয়ে নিজেদের ঘোষিত কর্মসূচি পালন করার মতো যাদের মানসিকতা নেই, তারা আবার নৈতিকতার বুলি ছুড়ে কিভাবে?
কিছুদিন আগে গণঅনশনের ডাক দিয়ে নেতারা দুপুরে ভুরিভোজ করে এসে অনশনে যোগ দিয়েছিলেন কয়েক মিনিটের জন্য, কিন্তু খালেদা জিয়ার হাতে পানি খেয়ে অনশন ভাঙার ছবি তুলতে ভুল করেননি তারা। এ সকল ভণ্ডামির জন্য তো কোন লোক দেখানো সমাবেশের অনুমতি দেয়া যায় না।
গতবছর হরতাল অবরোধ ডেকে গ্রেপ্তারের ভয়ে নেতারা গা ঢাকা দিয়েছিল। রাস্তায় ছিল ভাড়া করা পেট্রোল বোমা সন্ত্রাসীরা। এসকল সন্ত্রাসীরাই বিগত দিন গুলোতে গাড়ি পুড়িয়ে মানুষ মেরে জনজীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছিল। হরতাল, অবরোধ, সমাবেশ ডেকে তারা তো কখনও শান্তিপূর্ণ ভাবে পালন করেনি। তারা কিভাবে এসবের অনুমতি পায়?
প্রায় দুই বছর আগে, প্রেসক্লাব থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঘেরাওয়ের কর্মসূচি দিয়েছিল বিএনপি। তারা ভেবেছিল, পুলিশ বাধা দেবে। ঘেরাও কর্মসূচি পালন করার জন্য শুরু হয় প্রেসক্লাব থেকে যাত্রা। যাত্রা মৎস ভবন যায়, পুলিশ বাধা দিল না। ঘেরাও যাত্রা শাহবাগ পর্যন্ত গেল, পুলিশ বাধা দিল না। ততোক্ষণে যাত্রায় তেমন আর কেউ নেই। ঘেরাও কর্মসূচি যাত্রা যখন রূপসী বাংলা মোড়ে, তখন সাদেক হোসেন খোকা দেখলেন পিছনে কোন নেতা নেই, কর্মীও তেমন নেই। অগত্যা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচির স্বতঃস্ফুর্ত ইন্তেকাল ঘটলো রূপসী বাংলা মোড়েই। তাহলে কি তারা পুলিশি বাঁধার মুখে পড়তেই লোক দেখানো সমাবেশ, মিছিল বের করে নাকি গণতন্ত্র নিয়ে ভণ্ডামি? এগুলো কি গণতন্ত্রের চর্চা?
বিএনপির জন্য এটা নতুন কিছু নয়। প্রশ্ন হলো, যাদের নিজেদের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করার দায়িত্ব পালনে অনীহা দেখা যায়, তারা দেশের দায়িত্ব পালন করবে কিভাবে এটাই আমার জিজ্ঞাসা!
©somewhere in net ltd.