নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দরবেশ১

দরবেশ১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

অংশীদারিত্বে নতুন যুগের সূচনা করলো বাংলাদেশ ও জাপান। বিশ্ব শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা, অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি, আঞ্চলিক সমৃদ্ধি অর্জন এবং সাংস্কৃতিক ও জনগণের মধ্যকার যোগাযোগ বৃদ্ধিতে একসাথে কাজ করার অঙ্গীকার

২৮ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৩:১৭

অংশীদারিত্বে নতুন যুগের সূচনা করলো বাংলাদেশ ও জাপান। সরকারি সফরে টোকিও অবস্থানরত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের শীর্ষ বৈঠকে দুই বন্ধু প্রতিম দেশের সম্পর্ক ও যোগাযোগ সহযোগিতার পর্যায় থেকে অংশীদারিত্বে পরিণত করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। শেখ হাসিনা ও শিনজো আবে স্বাক্ষরিত এই ইশতেহারে বিশ্ব শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা, অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি, আঞ্চলিক সমৃদ্ধি অর্জন এবং সাংস্কৃতিক ও জনগণের মধ্যকার যোগাযোগ বৃদ্ধিতে একসাথে কাজ করার অঙ্গীকার করেন।

শিনজো আবে জাতিসংঘ শান্তি মিশনে বাংলাদেশের অবদানের প্রশংসা করেন এবং এ ক্ষেত্রে দুই দেশের সহযোগিতার ব্যাপারে একমত হন। বাংলাদেশে একটি শান্তি প্রতিষ্ঠা কেন্দ্র স্থাপনে জাপান সহযোগিতা করবে। শান্তি রক্ষা কার্যক্রমে দক্ষতা বৃদ্ধি, প্রশিক্ষণে বাংলাদেশকে সহায়তা দেয়ার কথা জানান শিনজো আবে। বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি আরো ত্বরান্বিত করতে ও দারিদ্র্য হ্রাসে জাপান সহায়তা অব্যাহত রাখবে। প্রধানমন্ত্রী আবে বাংলাদেশকে এজন্য ৬০০ বিলিয়ন ইয়েন (সাড়ে ৪৫ হাজার কোটি টাকা) ঋণ হিসাবে প্রদানের ঘোষণা দেন। আগামী চার থেকে পাঁচ বছরে গঙ্গা ব্যারেজ নির্মাণ, যমুনা নদীর নিচ দিয়ে বহুমুখী টানেল নির্মাণ, যমুনা নদীতে পৃথক রেল সেতু নির্মাণ, ঢাকা ইস্টার্ন বাইপাস নির্মাণ এবং ঢাকার পার্শ্ববর্তী চারটি নদীর প্রাকৃতিক পরিবেশ পুনরুদ্ধার প্রকল্প বাস্তবায়নে এই অর্থ ব্যয় হবে। জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগের ঝুঁকি প্রশমন খাতে জাপান সহায়তা দেবে। তৈরি পোশাক খাতে রুলস অব অরিজিন পর্যালোচনা করবে জাপান। জাপানি বিনিয়োগকারীদের জন্য পাঁচটি রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ এলাকায় (ইপিজেড) বিশেষ স্থান বরাদ্দ রাখার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। পরমাণু বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপনে জাপান সহায়তা দেবে। শিক্ষিত নতুন প্রজন্ম, যুদ্ধ ও ধ্বংসের পরিবর্তে শান্তি ও উন্নয়ন নিশ্চিত করতে ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ ও আশংকামুক্ত বিশ্ব গড়ে তুলতে বাংলাদেশ সরকার চেষ্টা করে যাচ্ছে। সেদিন বেশি দূরে নয় যখন আমরা জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সৃষ্ট সকল চ্যালেঞ্জ ও বাঁধা দ্রুত দূর করতে পারব।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.