![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সশস্ত্র বাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী পাঠানোর দিক থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ বিশ্বে সর্বোচ্চ শান্তিসেনা প্রেরণকারী রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃত। ১৯৮৮ সাল থেকে ইরান-ইরাক যুদ্ধে জাতিসংঘ পর্যবেক্ষক হিসেবে প্রথম দায়িত্ব পালন শুরু করেছিল বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী। শান্তিসেনাদের কঠোর পরিশ্রম, মেধা, নিরপেক্ষাতা, ন্যায় বিচার, সততা, সর্বোচ্চ দৃঢ়তা ও আত্মত্যাগের কারণে জাতিসংঘ শান্তি মিশন এলাকার জনগণের কাছে জনপ্রিয়তা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী। এজন্য বাংলাদেশ জাতিসংঘ শান্তি পুরস্কারও অর্জন করেছে। বর্তমানে বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের খাত শান্তি রক্ষা মিশন। বর্তমানে ১২২টি দেশের শান্তিরক্ষীরা ১৭টি শান্তিরক্ষা মিশনে জাতিসংঘের আওতায় একই নীল টুপির নিচে দায়িত্ব পালন করছে। এসব দেশের ৯৭ হাজার ৫১৮ জন শান্তিরক্ষীর মধ্যে শুধু বাংলাদেশেরই রয়েছে ৮ হাজার ৮৪১ জন। যা মোট শান্তিরক্ষীর প্রায় ১০ শতাংশ। সর্বপ্রথম বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৫ জন সদস্যের একটি দল ১৯৮৮ সালে পর্যবেক্ষক হিসেবে ইরাকে কাজ করার দুর্লভ সুযোগ পান। ঠিক যখন যুদ্ধের অগ্নিপিণ্ড জ্বলছে সমগ্র ইরাকে। তখনই জাতিসংঘের আহ্বানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী গ্রহণ করে সেই কঠিন চ্যালেঞ্জ। এরপর ১৯৮৯ সালে পুলিশ বাহিনীর ৬০ জন সদস্যের একটি দল ইউএনটিএজি, নামিবিয়া মিশনে যোগদান করেন। আসছে ১৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে বাংলাদেশের সদস্যপ্রাপ্তির ৪০ বছর পূরণ হবে। বর্তমান সরকারের স্বদিচ্ছা, দক্ষতা, একাগ্রতা, নিষ্ঠা অ বিশ্ব শান্তি উন্নয়নের প্রতিক বহন করে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে বাংলাদেশ লাউঞ্জ স্থাপনে অনুমতি মিলেছে। বাংলাদেশ লাউঞ্জ এর কার্যক্রম শুরু হলে শান্তি রক্ষা মিশনে কর্ত্যেরত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের কার্যক্রমে গতি যেমন বাড়বে তেমনি বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের পরিচিতি আরও উচ্চাসীন হবে।
©somewhere in net ltd.