![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শহর কিংবা গ্রাম সারাদেশের মানুষের এখন প্রধান বিনোদন মাধ্যম টেলিভিশন। আর টেলিভিশনে পছন্দ মতো দেশ-বিদেশের চ্যানেল দেখতে হলে চাই ডিশলাইন। সেই কাজটি করে থাকে কেবল অপারেটররা। তবে এই অপারেটররা বৈধভাবে কিছু বিদেশী চ্যানেল দেখালেও ভারতীয় টাটা স্কাই কোম্পানির ডিটিএইচটি (ডিরেক্ট টু হোম) সিস্টেমের মাধ্যমে অবৈধভাবে বিদেশী বিভিন্ন চ্যানেল প্রদর্শন করে থাকে। যা এইচডি (হাইডেফিনেশন) না থাকায় স্বচ্ছ দেখা যায় না। অনেক সময় সরকারী রাজস্ব ফাঁকি দেয়ার জন্য সঠিক ভোক্তারা উল্লেখ করে না। এমতাবস্থায় টিভি দর্শকদের জন্য বেক্সিমকো কমিউনিকেশন্স লিমিটেড নামে একটি যৌথ প্রকল্প ডিটিএইচ কোম্পানি খোলার ঘোষণা দিয়েছে। ডিটিএইচ প্রযুক্তির ফলে এখন দর্শকদের আর বাড়িতে ডিশের তার টানার ঝক্কি পোহাতে হবে না। এ প্রযুক্তিতে টিভি দর্শক নিজ বাড়িতে ছোট একটি রিসিভার ইন্সটলের মাধ্যমে সরাসরি স্যাটেলাইট সিগন্যাল গ্রহণের মাধ্যমে বিদেশী চ্যানেল দেখার সুবিধা পাবে। আলাদা তারের মাধ্যমে প্রতিটি টিভি সেটে সংযোগ দেয়ার প্রয়োজন হবে না। একই সঙ্গে বৈধভাবে বিদেশের অনেকগুলো চ্যানেল দেখার সুযোগের পাশাপাশি থাকছে স্বচ্ছ ইমেজের নিশ্চয়তা। প্রিপেইড সিস্টেমে এই সেবা প্রদান করা হবে। আর ট্যাক্স ফাঁকির সুযোগ না থাকায় সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি পাবে। ডিটিএইচ সেবার মাধ্যমে একটি স্যাটেলাইট সিস্টেম ব্যবহার করে সরাসরি গ্রাহকের আঙিনায় টিভি সিগন্যাল পৌঁছে দিয়ে মাল্টি-চ্যানেল টিভি প্রোগ্রাম দেখার সুযোগ করে দেয়া হবে। ডিটিএইচের অনেকগুলো সুবিধার একটি হচ্ছে দর্শক তার নিজের পছন্দের চ্যানেলগুলো বাছাই করতে পারবেন। এর ফলে কেবল অপারেটরের পছন্দের চ্যানেল দেখতে হবে না দর্শককে। নিজের পছন্দের চ্যানেল গ্রহণের ফলে ভোক্তার মাসিক খরচ কমে আসার সুযোগ থাকবে। এ ছাড়া কেবল সংযোগের মাধ্যমে বর্তমানে গ্রাহকরা যে মানের ছবি দেখেন তার চেয়ে মান হবে অনেক উন্নত। এ বছরের শেষ দিকে বাণিজ্যিকভাবে ডিটিএইচের কার্যক্রম শুরু হবে। এটি গ্রহণের জন্য দর্শককে খুব বেশি মূল্য দিতে হবে না বলে জানা যায়। বর্তমান ডিশলাইনের মূল্য বিবেচনায় রেখেই এই সেবা দর্শকের নাগালের মধ্যে রাখা হবে। এ ছাড়া পুরো বাংলাদেশেই পাওয়া যাবে এই নেটওয়ার্ক। যাতে একদিকে বাড়বে সরকারের রাজস্ব আদায়, অন্যদিকে কমবে জনগণের ভোগান্তি এমনটাই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
©somewhere in net ltd.