![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তৈরি পোশাক শিল্প খাত উন্নয়নে গৃহীত পদক্ষেপে ক্রেতাগোষ্ঠী সন্তুষ্ট। বালি প্যাকেজ বাস্তবায়িত হলে তৈরি পোশাক রপ্তানি বাণিজ্যে বিশ্ববাজারে বাংলাদেশ প্রথম স্থানে থাকবে। সরকার তৈরি পোশাক শিল্পকে একটি শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড় করাতে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। কারখানাগুলোতে কর্মবান্ধব পরিবেশ বিরাজ করছে। শ্রমিকদের মজুরি বাড়ানো, শ্রম আইন সংশোধন, নিরাপত্তা ও অধিকার নিশ্চিত করেছে সরকার। অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধে ফায়ার সেফটি ডোর আমদানি শুল্কমুক্ত করেছে। তৈরি পোশাক শিল্প ক্ষেত্রে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপে তাই ক্রেতাগোষ্ঠী আজ সন্তুষ্ট। তৈরি পোশাক কারখানাগুলোকে নিরাপদ ও কর্মবান্ধব করার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলো এবং ক্রেতাগোষ্ঠী একসঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। যৌথভাবে কারখানাগুলো পরিদর্শন করা হচ্ছে। ৩ হাজার ৫০০ কারখানার মধ্যে এ পর্যন্ত ১ হাজার ৫০০ কারখানা পরিদর্শন করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৯টি কারখানায় বিভিন্ন ধরনের ত্রুটি পাওয়া গেছে, সেগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ওই হিসেবে ত্রুটিপূর্ণ কারখানার পরিমাণ শতকরা ২ ভাগের কম। আন্তর্জাতিকভাবে এ সংখ্যা শতকরা ২ ভাগ পর্যন্ত গ্রহণযোগ্য বা স্বাভাবিক। ত্রুটি সংশোধনের জন্য বন্ধ হওয়া কারখানার শ্রমিকদের তিনমাসের বেতন কারখানার মালিক এবং ক্রেতাগোষ্ঠী যৌথভাবে পরিশোধ করছে। ইউনাইটেড স্টেট ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভ এর দেয়া এ্যাকশনপ্ল্যান মোতাবেক শ্রমিকদের ডাটাবেজ করা হচ্ছে, কারখানা পরিদর্শক নিয়োগ, শ্রম আইন সংশোধন, কর্মবান্ধব পরিবেশ, ফায়ার সেফটি, বিল্ডিং সেফটি, বিল্ডিং কোড মেনে নির্মাণ ইত্যাদি বিষয় সরকার কারখানার মালিকদের সঙ্গে সমন্বয় করে সম্পাদন করে যাচ্ছে। সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, শ্রম মন্ত্রণালয় এবং ক্রেতাগোষ্ঠীর সমন্বয়ে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি এ সকল কার্যক্রমের অগ্রগতি পর্যালোচনা করে যাচ্ছে। বর্তমানে কোন শ্রমিক অসন্তোষ নেই। মালিক শ্রমিক মিলে মিশে কাজ করার কারণে এ শিল্প দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সকল এবং বিশেষজ্ঞরাও সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের প্রশংসা করছেন।
©somewhere in net ltd.