![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দিন যত যাচ্ছে, কৃষিতে উৎপাদন ব্যয় ততই বাড়ছে। তবে সে অনুপাতে উৎপাদিত ফসলের মূল্য পাওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু গত দুই মৌসুমে সোলার প্লান্টের মাধ্যমে জমিতে সেচ দিয়ে উৎপাদন ব্যয় অনেক কমেছে। তাছাড়া এ পদ্ধতি অনেকটা ঝামেলামুক্ত। এখানে পাম্প চালাতে জ্বালানি তেলের ওপর নির্ভর করতে হয় না। নেই লোডশেডিংয়ের বিভ্রান্তি। ফলে এ পদ্ধতি এলাকার কৃষকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। ৩০ বিঘা জমি ডিজেলচালিত স্যালো মেশিনে যেখানে কমপক্ষে দেড় লাখ টাকা খরচ হওয়ার কথা, সেখানে সৌর বিদ্যুতের আওতায় চাষ করে সারা বছরের জন্য পল্লী বিদ্যুতের অফিসে জমা দিতে হচ্ছে মাত্র ৬ হাজার টাকা। আর ১৫টি আবাসিক সংযোগ থেকে আসছে মোট ১ হাজার ৫০০ টাকা। ২০১২ সালে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের আওতায় জলবায়ু পরিবর্তন ও ট্রাস্ট ফান্ডের অর্থায়নে ৪৩ লাখ ৯২ হাজার টাকা উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামে সোলার প্লান্টটি স্থাপন করা হয়। মেসার্স রহিমআফরোজ রিনিউঅ্যাবেল এনার্জি লিমিটেডের নির্মাণ করা এ প্লান্টটি ৬ দশমিক ৭২ কিলোওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন। এটির প্রতিদিন ২ লাখ লিটার পানি উত্তোলনের ক্ষমতা রয়েছে। এর মাধ্যমে ৩০ বিঘা জমি সেচের আওতায় আনা যায়। আগে সেচের জন্য ডিজেলচালিত নলকূপের পানির ওপর নির্ভর করতে হতো। এতে বিঘাপ্রতি জমিতে খরচ হতো প্রায় ৫-৬ হাজার টাকা। ফলে উৎপাদন ব্যয় অনেক বেড়ে যেত। আর সৌর বিদ্যুতের মাধ্যমে বিঘাপ্রতি খরচ হচ্ছে মাত্র ১ হাজার ৫০০ টাকা। সৌর শক্তিচালিত সেচব্যবস্থা স্থাপনে একদিকে যেমন সেচ খরচ কমছে, ঝামেলা মুক্ত, অন্যদিকে এটি পরিবেশবান্ধবও। ফলে কৃষকরা সৌর চালিত সেচ কার্যে ব্যাপক আগ্রহ প্রকাশ করছে। সৌর চালিত সেচ কার্যক্রম সারা দেশে ছড়িয়ে পড়লে একদিকে যেমন দেশের বিদ্যুতের উপর চাপ কমবে তেমনি কৃষকের অনেক অর্থ সাশ্রয় হবে। ফলে দেশ ও দেশের জনগণ উভয়ই লাভবান হবে।
©somewhere in net ltd.