![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রাশিয়ার বাজারে বাংলাদেশের চিংড়ি রপ্তানির দুয়ার খুলেছে। বাংলাদেশ এখন থেকে রাশিয়ায় আবার চিংড়ি রপ্তানি করতে পারবে। প্রায় আট মাস বন্ধ থাকার পরে বাংলাদেশ থেকে চিংড়ি আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়েছে রাশিয়া। এখন থেকে সে দেশের বাজারে চিংড়ি রপ্তানি করা যাবে। রাশিয়ায় চিংড়ি রপ্তানির দ্বার উন্মুক্ত করার লক্ষ্যে এর আগে একাধিকবার রাশিয়া কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক হয়। সে অনুযায়ী রাশিয়াকে চিঠি দেয় বাংলাদেশ। চিঠিতে রাশিয়ার কাংখিত মান নিশ্চিত করার আশ্বাস দেয় বাংলাদেশ। ওই চিঠির প্রেক্ষিতে এখন রাশিয়া বাংলাদেশ থেকে চিংড়ি আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে। ২০০৯ সালের ২৫ আগস্ট চার বাংলাদেশী প্রতিষ্ঠান রাশিয়ায় মাছ রপ্তানির অনুমতি পায়। মাছ রপ্তানির বিষয়ে ২০০৯ সালের ২৩ ডিসেম্বর রাশিয়ার মৎস্য বিভাগের সঙ্গে বাংলাদেশ একটি সমঝোতা স্মারকেও স্বাক্ষর করে। বাংলাদেশ ছাড়াও রাশিয়া- থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনাম থেকে চিংড়ি আমদানি করে থাকে। তবে সেসব চিংড়ি হাইব্রিড। আর বাংলাদেশে যে চিংড়ি উৎপাদন হয় তা পুরোটাই প্রাকৃতিক। এতে কোন ভেজাল বা কৃত্রিমতা নেই। তাই বাংলাদেশ থেকে চিংড়ি আমদানিতে বরাবরই রাশিয়ার আগ্রহ রয়েছে। বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর বিদেশে রপ্তানি করা মাছের পরিমাণ ৮০ হাজার মেট্রিক টন। এর মধ্যে ৫০ শতাংশই চিংড়ি। এ পর্যন্ত বাংলাদেশ শুধু চিংড়ি রপ্তানি করে ৪ হাজার কোটিরও বেশি টাকা আয় করেছে, যা বাংলাদেশের অর্থনীতিকে বিশেষভাবে সমৃদ্ধ করছে।
©somewhere in net ltd.