![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কৃষি প্রধান বাংলাদেশ। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারনে দেশে কৃষি জমির ওপর আবাসনসহ গড়ে উঠেছে শিল্প-কারখানা এবং নানা স্থাপনা। ফলে আমাদের কৃষি জমি কমছে। প্রতিবছর দেশের ৬৮ হাজার ৭৬০ হেক্টর চাষাবাদ যোগ্য জমি অকৃষি খাতে চলে যায়। তাই কৃষি জমি রক্ষায় ভুমি ব্যবহার আইনের একটি খসড়া প্রণয়ন করেছে সরকার। আইনটি কৃষি জমি রক্ষায় সহায়ক হবে। বাংলাদেশের কৃষি জমি অত্যন্ত উর্বর। এখানে যেমন শস্য উৎপাদন হয় তেমনি উৎপাদন হয় শাকসবজি ও ফলমূল। এই উর্বরতা প্রকৃতির দান। অন্যান্য দেশের জনসংখ্যার তুলনায় বাংলাদেশের জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার অনেক বেশী। একদিকে জনসংখ্যা বাড়ছে এবং এই বর্ধিত জনসংখ্যার বসবাসের জন্য নির্মিত হচ্ছে আবাসন। ফলে কৃষি জমির পরিমাণ কমছে। শুধু আবাসনের কারনে নয়, আবহাওয়া জনিত কারনেও বাংলাদেশের কৃষি জমি কমে আসছে। উপকূল অঞ্চলে লবনাক্ততার কারণে কমছে কৃষিজমি। বর্তমানে গ্রামীণ কৃষিভিত্তিক সমাজ উন্নয়নে গবেষণার মাধ্যমে উন্নত জাতের ধান ও দেশী পাটের জন্ম রহস্য উদ্ভাবন করে কৃষি ব্যবস্থা অনেক এগিয়ে গেছে। ইতিমধ্যে দেশে খরা, বন্যা ও লবনাক্ততা সহিষ্ণু ধান উৎপন্ন হয়েছে। ভারত, পাকিস্তান, নেপাল ও শ্রীলঙ্কার আগে বাংলাদেশ অধিক ভিটামিন ও জিংযুক্ত ধান উৎপাদনে সক্ষম হয়েছে। ফলে কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে বর্তমান সরকার গ্রামীণ উন্নয়ন তথা দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির উন্নয়নের চিত্র পাল্টে দিয়েছে। কৃষকদের স্বল্প মুল্যে উন্নত বীজ ও সার সরাবরাহ, সেচ ব্যবস্থার জন্য ভর্তুকি প্রদান, সরকারী ব্যবস্থাপনায় খাদ্যশস্য ক্রয়সহ বিভিন্নভাবে উৎসাহ সৃষ্টি করেছে এতে উৎপাদনও বেড়েছে। কৃষিজমিতে যাতে কোন স্থাপনা না হয় সে কারণে উল্লিখিত আইনটি দ্রুত প্রণয়ন করা প্রয়োজন।
©somewhere in net ltd.