![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়িতে কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম দুটি প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শীঘ্রই শুরু হচ্ছে। ঐ দুটি কেন্দ্র থেকে বিদ্যুত উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩২০ মেগাওয়াট। এরই মধ্যে জমির মালিকদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার বিষয়টিও চূড়ান্ত করা হয়েছে। প্রকল্প দুটির কাজ শুরু হওয়ার পর মহেশখালীর হোয়ানক ও কালারমারছড়ার চারটি মৌজার ৫ হাজার একর জমিতে আরও ৮টি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুত প্রকল্প নির্মিত হবে। যৌথ মালিকানায় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণে ‘চায়না ন্যাশনাল মেশিনারিজ ইমপোর্ট এন্ড এক্সপোর্ট কর্পোরেশনের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। মাতারবাড়িতে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুত প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ার পর মহেশখালীর হোয়ানক ও কালারমারছড়ায় আরও আটটি প্রকল্প নির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু হবে। আওয়ামী লীগ সরকার ২১ সালের ভিশন বাস্তবায়নে আমদানি করা কয়লা দিয়ে প্রায় ২০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদনের যে উদ্যোগ নিয়েছে এর মধ্যে প্রথম দফায় দুটিসহ মহেশখালীতে মোট দশটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্র থেকে প্রায় ৯ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদনে সরকারের মহাপরিকল্পনা রয়েছে। ইতোমধ্যে মাতারবাড়ির দুটি বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণের জন্য ১ হাজার ৪শ’ একর জমি অধিগ্রহণ করা হচ্ছে। জমি মালিকদের ক্ষতিপূরণ দিতে ইতোমধ্যে সবকিছু চূড়ান্ত করা হয়েছে। ২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের অব্যবহিত পরেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদ্যুত খাতের জন্য একটি দূরদৃষ্টিসম্পন্ন ও উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। এরই অংশ হিসেবে ’২১ সালের মধ্যে প্রায় ২০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। কয়লাবিদ্যুত প্রকল্পটি যাতে পানি দূষণ না করে সে জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হবে। নির্দিষ্ট সময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। নির্মাণ, মালিকানা ও পরিচালনা মডেলের ভিত্তিতে নির্মিতব্য ১৩২০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক থারমাল পাওয়ার প্লান্ট প্রকল্পটি ২০১৯ সালের মধ্যে সম্পন্ন হবে। এতে কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত কয়লা ইন্দোনেশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া ও মোজাম্বিক থেকে সমুদ্র পথে আমদানি করা হবে। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হলে দেশে বিদ্যুতের যে চাহিদা তা অনেকাংশে মেটানো সম্ভব হবে।
©somewhere in net ltd.