![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসার পর ছিনতাই, চাঁদাবাজি, মাদক, হিরোইন, ইয়াবা ছড়িয়ে পড়েছিল দেশের প্রতিটি রন্ধে রন্ধে। একের পর এক খুন, গুম হচ্ছিল সাধারণ মানুষ। কোন ভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছিল না জঙ্গি, সন্ত্রসীদের। সারা দেশে জঙ্গি আতঙ্ক। সিরিজ বোমা বিস্ফোরণ, আত্মঘাতী হামলাসহ রক্তের হোলিখেলায় তখন মগ্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবি। এ শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য ২০০৪ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে প্যারেডে অংশ নেওয়ার মাধ্যমে মোট সাতটি ব্যাটালিয়ন পাঁচ হাজার ৫২১ জন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী, বাংলাদেশ পুলিশ, বিজিবি, আনসার, কোস্টগার্ড ও সিভিল সাভির্সের চৌকস সদস্যদের নিয়ে এ বাহিনী গঠন করা হয়। বাংলাদেশে জনসংখ্যার তুলনায় র্যা ব রয়েছে মাত্র ৮ থেকে ১০ হাজার। অথচ পুলিশ রয়েছে ১ লাখ ৫০ হাজারের অধিক। এই ৮ থেকে ১০ হাজার র্যা ব সদস্যারা আইন শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার জন্য একটি প্রতিরোধক সৃষ্টি করছে। র্যা বের এই প্রতিরোধক সৃষ্টি করার জন্যই পরিবহণ চাঁদাবাজি, ছিনতাইকারী, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসী, মাদক, হিরোইন, ইয়াবা, মেয়াদোত্তীর্ণ ভেজাল খাদ্য, ভেজাল ওষুধ, ব্লাড ব্যাংক, হারবাল, ভেজাল কসমেটিকস, ফরমালিন ব্যবসায়ী ও ভুয়া ডাক্তার ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখা সম্ভব হয়েছে। সাধারণ মানুষ আজ মনে করছে র্যা বের এ কার্যক্রমের কারনেই সারা দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। অপরাধীরা তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে না পারায় আত্নগোপনে চলে যাচ্ছে। অনেক সন্ত্রাসী বিদেশে পাড়ি দিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার চেষ্টা চালাচ্ছে। সুতরাং সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে, দেশে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে র্যােব যে প্রয়োজন তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
©somewhere in net ltd.