নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দরবেশ১

দরবেশ১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছে পোশাক খাত। বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রধান চালিকা শক্তি এই খাতকে আরও বিকশিত করতে সরকারের প্রচেষ্টা অব্যাহত

০৩ রা জুন, ২০১৪ দুপুর ২:৫৫

বাংলাদেশে খুবই সীমিত পরিসরে তৈরি পোশাক খাতের যাত্রা শুরু হয় ১৯৮০ সালে। খুব কম সময়েই শিল্পের মর্যাদা পায় পোশাক খাত। কয়েক বছরের মাথায় পোশাক শিল্প সর্বোচ্চ রপ্তানি আয়ের উৎসে পরিণত হয়। বর্তমানে মোট রপ্তানি আয়ের ৭৯ শতাংশ আসে পোশাক খাতের হাত ধরে। এ খাতটি প্রায় ২ কোটি মানুষের রুটি রোজগারের উৎসে পরিণত হয়েছে। তবে রানা প্লাজা ধ্বস, তাজরীন ফ্যাশনে অগ্নিকান্ডের মতো দুর্ঘটনার কারণে বারবার বাধাগ্রস্ত হয়েছে পোশাক খাতের অগ্রযাত্রা। বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে বর্তমানে সরাসরি জড়িত রয়েছেন ৪৪ লাখ মানুষ। এর মধ্যে ৩৫ লাখই নারী শ্রমিক। এর বাইরে আরও ৪০ লাখ লোক কাজ করেন পোশাক শিল্পের সহায়ক বিভিন্ন শিল্পে। মোট ২ কোটি মানুষের জীবন-জীবিকা পোশাক খাতনির্ভর। পোশাক খাত বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রধান চালিকা শক্তি। রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পরে শ্রম আইনের সংশোধন করা হয়েছে। জাতীয় পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য নীতিমালার আধুনিকায়ন করা হয়েছে। পোশাক খাতের সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন নীতিমালা পর্যালোচনা করা হয়েছে। তা ছাড়া পোশাক খাতের ভবন ও অগ্নি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গঠন করা হয়েছে কেবিনেট কমিটি। একই সময়ে পোশাক শিল্পের উন্নয়নে নেয়া হয়েছে প্রশাসনিক সংস্কারের উদ্যোগ। শিল্প মন্ত্রণালয়ের কলকারখানা পরিদর্শন পরিদপ্তরকে অধিদপ্তরে উন্নীত করা হয়েছে। সরকার ও উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি পোশাকের ক্রেতা প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থা কাজ করছে। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সহায়তায় প্রণয়ন করা হয়েছে ন্যাশনাল অ্যাকশন প্লান। কিছু বাঁধা কটিয়ে উঠতে পারলে বাংলাদেশের পোশাক খাতের উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়। পোশাক খাতে প্রথম অবস্থানে রয়েছে চীন। পণ্যের দাম ও সক্ষমতার বিষয়ে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। এ সুবিধা নিয়ে বাংলাদেশ গত এক দশক ধরে পোশাক খাতে দুই অঙ্কের প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে। ৭ থেকে ৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে পারলেও ২০১৫ সালের মধ্যে পোশাক রপ্তানিতে আয় ৩০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হবে। পোশাক রপ্তানি ৫০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হবে ২০২১ সালের মধ্যে। এ খাতের ওপর নির্ভর করে প্রতি বছর প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা আয় হচ্ছে সেবা খাতে। বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রধান চালিকা শক্তি এই খাতকে আরও বিকশিত করতে সরকারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। দেশের অর্থনীতির চাকাকে আরও গতিশীল করতে সরকারের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে এটাই সবার প্রত্যাশা।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.