![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নতুন প্রজন্মকে তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞানে সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার স্কুলে কম্পিউটার শিক্ষা চালু, মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম প্রতিষ্ঠা, কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন ও ভ্রাম্যমাণ আইটি ল্যাব চালু করেছে। নিরবচ্ছিন্ন ও নির্ভরযোগ্য ইন্টারনেট সংযোগ নিশ্চিত করতে সরকার দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল সংযোগের উদ্যোগ নিয়েছে। বিশ্বের প্রায় ৫০টি দেশে বাংলাদেশের তৈরি সফটওয়্যার ও আইটি সেবা রপ্তানি হচ্ছে। এর মাধ্যমে বর্তমানে ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় হচ্ছে। ২০২১ সালের মধ্যে সফটওয়্যার ও আইটি সেবা রপ্তানি করে এ আয় ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। আর এ লক্ষ্য অর্জন করতে হলে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারী খাতকেও এগিয়ে আসতে হবে। ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০১৪ সম্মেলন ও মেলা বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে আরও বেগবান করবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার দৃপ্ত পথে এ উদ্যোগ মানুষকে আরও সম্পৃক্ত করবে। আইটি ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাফল্য তুলে ধরতে এবং বিশ্বের আইটি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে মতবিনিময়ের উন্মুক্ত প্ল্যাটফর্ম তৈরির মাধ্যমে ভিশন ২০২১ অর্জনের লক্ষ্যে এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার অগ্রযাত্রায় ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০১৪ সম্মেলন সহায়ক হবে। ১৯৯৬ সালে আওয়ামীলীগ সরকার তথ্যপ্রযুক্তি প্রসারে প্রথম উদ্যোগ গ্রহণ করে অথচ ১৯৯১ সালে বাংলাদেশ প্রায় বিনামূল্যে আন্তর্জাতিক সাবমেরিন কেবল নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করে। তখন বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় ছিল। তারা অজুহাত তোলে, এর সঙ্গে যুক্ত হলে নাকি দেশের সব তথ্য পাচার হয়ে যাবে। ফলে দেশ বিশ্বের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সহজ সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়। দেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতের সুষ্ঠু বিকাশের জন্য আইসিটি নীতিমালা, আইসিটি আইন, তথ্য নিরাপত্তা গাইডলাইন, তথ্য অধিকার আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। ২০১৫ সালের জুন পর্যন্ত সফটওয়্যার ও আইটি ব্যবসাকে আয়কর মুক্ত রাখা হয়েছে। সফটওয়্যার আমদানি ও উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট মওকুফ করা হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে এগিয়ে নিতে সরকার নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। তরুণ প্রজন্মের হাত ধরে এ খাত এমনভাবে এগিয়ে যাবে যাতে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে।
©somewhere in net ltd.