![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রাজধানীর গুলশানে সরকারী বাড়ি আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের হওয়া দুর্নীতির মামলায় বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ও তাঁর ভাই মনজুর আহমদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, মওদুদ আহমদ ও তাঁর ভাই গুলশানের ওই বাড়ি ভোগদখল করে আসছেন। মওদুদ আহমদ ওই সম্পত্তি আত্মসাতের উদ্দেশ্যে নিজেকে ইনজে মারিয়া প্রদত্ত আম মোক্তারনামার (পাওয়ার অব এ্যাটর্নি) দাবিদার দেখানোর জন্য একটি আম মোক্তারনামা তৈরি করেন এবং সুবিধামতো সময়ে ব্যবহার করেন। ১৯৭৩ সালের ২ আগস্ট থেকে নিজেকে ভাড়াটিয়া দেখিয়ে তিনি বাড়িটি দখলে নেন। লিজ গ্রহীতা ইনজে মারিয়া স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে আসার কোন দালিলিক প্রমাণ না থাকলেও মওদুদ আহমদ তাঁর পাওয়ার অব এ্যাটর্নিতে তা দেখিয়েছেন। পরবর্তী সময় ১৯৭৮ সালে তৎকালীন সরকারে যোগদান করে প্রথমে সরকারের মন্ত্রী এবং ১৯৭৯ সালে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে তৎকালীন সরকারের উপপ্রধানমন্ত্রী থাকাকালে ক্ষমতার অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে বাড়িটিকে পরিত্যক্ত সম্পত্তির তালিকা থেকে বাদ দেয়ার অপচেষ্টা করেন। গণপূর্ত ও নগর উন্নয়ন মন্ত্রণালয় থেকে প্লটটি ১৯৮০ সালের ১৩ মে মারিয়ার নামে ১০০ টাকা মূল্যে হস্তান্তর দলিল বের করেন। একই বছর প্লটটি রেজিস্ট্রি করা হয়। পরে ১৯৮৪ সালে ইনজে মারিয়া কর্তৃক জনৈক মহসিন দরবার বরাবরে একটি আম মোক্তারনামা সম্পাদন দেখানো হয়। ইনজে মারিয়া ১৯৮৫ সালে মারা যান। এটা জানা সত্ত্বেও মহসিন দরবার নামক ব্যক্তিকে দিয়ে মৃত ব্যক্তির আম মোক্তার হিসেবে ১৯৮৫ সালে বাড়িটি মওদুদের সহোদর মনজুর আহমদ বরাবর চুক্তি সম্পাদনা দেখানো হয়। কিন্তু রাজউকের নথিতে তা নেই। মওদুদ আহমদ অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করে ঢাকায় একটি সংবাদ সম্মেলন করেছেন। যেখানে তিনি বলেছেন, ‘গুলশানের ওই বাড়িটির মালিক ছিলেন অস্ট্রিয়ান নাগরিক মিসেস ইনজে মারিয়া ফ্ল্যাজ। আমি শুধু তার একজন আইনজীবী ছিলাম। অস্ট্রিয়ান সরকারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সরকার ১৯৮০ সালে এই বাড়িটি রেজিস্ট্রি দলিলের মাধ্যমে তাঁকে ফিরিয়ে দেন। মওদুদ আহমদের রাজনৈতিক জীবন সম্পর্কে যাঁরা ওয়াকিফহাল, তাঁরা জানেন দুর্নীতিতে তাঁর জুড়ি মেলা ভার। দুর্নীতির দায়ে তাঁর সাজাও হয়েছিল। কাজেই এ ধরনের জালিয়াতি করা যে তাঁর পক্ষে সম্ভব। অবশ্য মওদুদ আহমদ মামলার পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয়, ট্রাইব্যুনাল গঠনের অনেক আগেই জেনারেল জিয়াউর রহমান কর্নেল তাহেরের মৃত্যুদণ্ড প্রদানে মনস্থির করেন। মওদুদের এই উত্তরাধিকার দাবি এখন ভিয়েনার বাঙালী কমিউনিটিতে সবেচেয়ে আলোচিত বিষয়। বিদেশে বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করতে এই জালিয়াতির তদন্ত ও বিচার হওয়া উচিত বলে ভিয়েনায় বসবাসরত বাঙালীদের অভিমত।
©somewhere in net ltd.