![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দীর্ঘ ৩ বছর পর অবশেষে চট্টগ্রামের দোহাজারী-রামু-কক্সবাজার-ঘুনধুম রেললাইন প্রকল্পে অর্থ সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। আগামী অর্থবছরের মধ্যে এ প্রকল্পের কাজ শুরু করা সম্ভব হবে। এডিবির অর্থায়নের আশ্বাসের ফলে সরকার অতি প্রয়োজনীয় এ রেলপথটির নির্মাণকাজ চলতি অর্থবছরেই শুরু করবে। এতে দক্ষিণ চট্টগ্রামের প্রায় ৫০ লাখ মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণের পথ সুগম হচ্ছে। দক্ষিণ এশিয়া উপআঞ্চলিক অর্থনৈতিক সহযোগিতায় (সাসেক) রেলপথ সংযোগ স্থাপন কর্মসূচীর আওতায় এ প্রকল্পে এডিবি অর্থায়ন করবে। মিয়ানমার, বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটানকে একই রেলপথে যুক্ত করতে কাজ করছে এডিবি। এডিবি সম্মত হয়েছে অর্থায়নে। প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ইতোমধ্যে জরিপ সম্পন্ন করে ভূমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। রেললাইন প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে বিকল্প পরিবহন ব্যবস্থা ও জ্বালানি সাশ্রয় হবে। আর পরিবেশবান্ধব রেলস্টেশনে সব ধরনের আধুনিক সুযোগ সুবিধা থাকবে। এ ছাড়াও রেলওয়ে বাঁধ নির্মাণ, রেললাইন স্থাপন, ভূমি কার্যক্রমসহ সম্ভাব্য ক্ষেত্রে নদী খনন ও বাঁধ নির্মাণ, স্টেশনে গমনের রাস্তা নির্মাণ, ব্রিজ ও কালভার্ট নির্মাণ, সিগন্যালিং, যাত্রী ছাউনি, সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ওভার ব্রিজ নির্মাণ করে সীমান্ত এলাকা হিসেবে হাতি চলাচলের রাস্তা উন্মুক্ত রাখা হবে। আওয়ামী লীগ সরকার গত মেয়াদেই যে কয়েকটি বড় প্রকল্প হাতে নিয়েছিল, তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে চট্টগ্রামের দোহাজারী হতে মিয়ানমার সীমান্তবর্তী ঘুনধুম পর্যন্ত রেলওয়ে ট্র্যাক নির্মাণ প্রকল্প। পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজারের সঙ্গে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের যোগাযোগ বৃদ্ধি, দেশী-বিদেশী পর্যটক আকৃষ্ট করতে যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নয়নসহ কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতকে বিশ্বের অন্যতম আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্রের আদলে গড়ে তুলতে এ রেলপথ স্থাপনের এ প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। সরকার এ রেললাইন স্থাপনের মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যবস্থার দ্বার খুলে দিয়ে সরকার পর্যটন নগরী কক্সবাজারকে দেশের ভ্রমণপিপাসুসহ বিশ্বের সকল দেশের পর্যটকদের কাছে তুলে ধরতে চায়। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে দেশ অর্থনৈতিকভাবে অনেক লাভবান হবে ও ট্রান্স এশিয়ান রেলপথের সঙ্গে যুক্ত হতে সহায়তা হবে।
©somewhere in net ltd.