![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নৌপরিবহনে নাব্য সৃষ্টির জন্য অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) বড় ধরনের কর্মপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। দেশের ২৪টি নদীর ৬ হাজার কিলোমিটার নৌচলাচলের উপযোগী করা হবে। প্রতিবছর আড়াই হাজার কিলোমিটার অভ্যন্তরীণ নৌপথে ১২শ’ বর্গকিলোমিটার উপকূলীয় নৌপথে হাইড্রোগ্রাফিক জরিপ ও গ্লোবাল পজিশন নির্ণয়ের কাজ করবে। প্রতিবছর ড্রেজিং কাজ চলবে ৭৫ লাখ ঘনমিটার। ৪৫টি গেজ স্টেশনের মাধ্যমে নৌপথের পানি সমতলের উচ্চতার পরিমাণ ও ১৭টি গেজ স্টেশনের জোয়ার-ভাটার পঞ্জিকা প্রকাশ করা হবে।
২২টি নদীবন্দর বর্ষা ও শুষ্ক মৌসুমে যাতে নৌচলাচলে কোন অসুবিধা না হয় সে জন্য ‘রেন্ডম ড্রেজিং’ কাজ চলবে। নদীবন্দরগুলো হলো- নারায়ণগঞ্জ, চাঁদপুর, বরিশাল, খুলনা, পটুয়াখালী, বাঘাবাড়ি, নরসিংদী, আরিচা-পাটুরিয়া, নগরবাড়ি-কাজীরহাট, দৌলতদিয়া, টঙ্গী, মীরকাদিম, মাওয়া, চরজানাজাত, আশুগঞ্জ-ভৈরব, নওয়াপাড়া, বরগুনা, ভোলা, ছাতক, মেঘনা-কক্সবাজার, কাঁঠালবাড়ি, হরিণাঘাট, শরীয়তপুর-আলুবাজার, লক্ষ্মীপুর, লাহারহাট ও ভেদুরিয়া। এ সব নদীবন্দর দিয়ে ৩ দশমিক ২৬ কোটি মেট্রিক টন মালামাল উঠানামা করে। এতে পণ্য পরিবহনে খরচ অনেক কম হয়। একই সঙ্গে যাত্রী পারাপার হয় ২৩ দশমিক ১৫ কোটি যাত্রী। এ সব বন্দরে ১৯৫ রুটের ৬৭৬টি লঞ্চ চলাচল করে। ২ হাজার ৭৮ কিলোমিটার নৌপথে দিবারাত্রি নৌচলাচলের উপযোগী সহায়ক সামগ্রী স্থাপন ও রক্ষণাবেক্ষণ করা হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে ২২টি পাইলট স্টেশনের মাধ্যমে ৫৫৭ জন পাইলটেজ কর্মী দ্বারা বছরে প্রায় এক লাখ ৫০ হাজার জাহাজকে পাইলটেজ সুবিধা দেয়া হচ্ছে। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে বিআইডব্লিউটিএ নদী খনন শাখাকে আধুনিক যন্ত্রপাতি সজ্জিত করার উদ্যোগ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং বেসরকারী সংস্থাসমূহের সঙ্গে যৌথভাবে নদী খননের মতো দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন করবে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। এই মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে চীন, ভারত, কাতার, কুয়েত আগ্রহ দেখিয়েছে। ভারত ৭টি নৌপথ খনন করার আশ্বাস দিয়েছে।
©somewhere in net ltd.