![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গত ৫ বছরে বাংলাদেশ চীনের সঙ্গে ১৭টি চুক্তি ও এমওইউ স্বাক্ষর করেছে। ফলে ২০০৭ সাল থেকে চীন বাংলাদেশের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার ও আমদানির দেশ পরিণত হয়েছে। তাছাড়া ২০১৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ চীন রাষ্ট্র থেকে সহজ শর্তে ঋণ পেয়েছে ১ হাজার ৭৩১ দশমিক ৯ মিলিয়ন ডলার। আর এই ২০১৪ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফর একটি বিরাট সাফল্য বয়ে এনেছে। বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ অর্থনৈতিক ও কৌশলগত পারস্পরিক সহযোগিতা বিষয়ে মোট পাঁচটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। চুক্তিগুলো হলো বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে অর্থনীতি ও কারিগরি সহযোগিতা সংক্রান্ত চুক্তি এবং পটুয়াখালীতে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুত্ উত্পাদন কেন্দ্র স্থাপন। তাছাড়া চট্টগ্রামে চীনা ইকোনোমিক এন্ড ইনভেস্টমেন্ট জোন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ জোন কর্তৃপক্ষ (বেপজা) এবং চীনের হারবার এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে। এর মধ্যে দুটি চুক্তি হচ্ছে, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ এবং বিদ্যুৎ উত্পাদন ও জলবায়ু পরিবর্তনে উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবেলায় দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতাসহ বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরো জোরদার এবং অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সহযোগিতার এক নতুন দ্বার উন্মোচিত হলো। তাছাড়া বাংলাদেশের অগ্রগতি এবং বাণিজ্য, বিনিয়োগ, যোগাযোগ এবং জনগণের সাথে জনগণের যোগাযোগসহ চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কোন্নয়নের এক নতুন অধ্যায় সূচিত হল। তাছাড়া বাংলাদেশ থেকে চীনে যেসব ছাত্র-ছাত্রী পড়াশোনা করতে আগ্রহী তাদেরকে পূর্ণ সমর্থন ও সহযোগিতা প্রদান করবে চীন সরকার। বর্তমান সরকারের আমলে কোনো আদর্শিক ও আঞ্চলিক পক্ষপাত ছাড়াই দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করে বাংলাদেশ ও চীন উন্নয়নশীল ও স্বল্পোন্নত দেশগুলোর স্বার্থে কার্যকর যে কোনো ইস্যুকে পুরোপুরি সমর্থন দিয়ে আসছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফরের সাফল্যের প্রতিফলন ঘটবে এ অর্থবছরে। অর্থনৈতিক ও কৌশলগত পারস্পরিক সহযোগিতায় বাংলাদেশ হবে একদিন উন্নত দেশ এটাই সাধারণ জনগণের প্রত্যাশা।
©somewhere in net ltd.