![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
২০০৯ সালের জানুয়ারিতে সরকার গঠনের পর আওয়ামী লীগ ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে ধাপে ধাপে এগিয়েছে। আর ২০১৪ সালে আবারও সরকার গঠন করে এটি বাস্তবায়নে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে পূর্ণগতিতে কাজ চলছে। এর সুফলও পেতে শুরু করেছে মানুষ। আগামী দিনে তথ্যপ্রযুক্তি বিপ্লব ঘটবে দেশে। দেশ এখন ডিজিটাল বিপ্লবের পথে। সরকারের ভিশন-২০২১ বাস্তবায়নে এবারের বাজেটে আইসিটি খাতকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সমাজের সর্বস্তরে তথ্যপ্রযুক্তির সুবিধা পৌঁছে দিতে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করেছে সরকার। ২০১৫ সালের জুন পর্যন্ত সফটওয়্যার ও আইটি খাতকে আয়করমুক্ত রাখা হয়েছে। সফটওয়্যার আমদানি ও উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট মওকুফ করা হয়েছে। বিশ্বের প্রায় ৫০টি দেশে বাংলাদেশের তৈরি সফটওয়্যার ও আইটি সেবা রপ্তানির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ২০২১ সালের মধ্যে এই খাতের বিদ্যমান রপ্তানি আয় ১০০ মিলিয়ন থেকে ৫ বিলিয়ন ডলারে ছাড়িয়ে যাবে। গুগল, মাইক্রোসফট ও ডেলের মতো বিশ্বখ্যাত তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশে তাদের অফিস স্থাপন করেছে। দেশজুড়ে অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এর ফলে উপজেলা থেকে তৃণমূল পর্যায়ে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে বাংলাদেশ আরো দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। আগামী চার বছরের মধ্যে প্রত্যেক ইউনিয়নে ইন্টারনেটের ব্রডব্যান্ড সংযোগ দেওয়া সম্ভব হবে। বর্তমানে প্রতি মাসে ৪০ লাখ মানুষ ইউনিয়ন তথ্যকেন্দ্র থেকে সেবা নিচ্ছেন। দেশে উৎপাদিত সফটওয়্যার এবং আইসিটি সার্ভিসেস যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, জাপান, কানাডা, অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের ৩০টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে। তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে প্রস্তাবিত বাজেটে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। গ্রহণ করা হয়েছে খাতসংশ্লিষ্ট নতুন নতুন প্রকল্প। দেশের ৪৮৫ উপজেলার সব সরকারি দপ্তরকে নেটওয়ার্কের আওতাভুক্ত করা, প্রচলিত ডাটা সেন্টারের সক্ষমতা বর্ধিতকরণ, ডিজাস্টার রিকভারি সেন্টার স্থাপন, বাংলাদেশ সচিবালয়ে ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক স্থাপন, প্রথম ও দ্বিতীয় পর্বে স্থাপিত সরকারি নেটওয়ার্কের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। ৮০০ লোকেশন থেকে ভিডিও কনফারেন্স করার সুবিধা রয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের প্রথম পর্বটি ছিল মন জয়ের পর্ব। এখন শুরু হবে উত্থান পর্ব। এ পর্বে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট এবং তথ্যপ্রযুক্তির অবকাঠামো শক্তিশালী করতে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। গত সরকারের ৫ বছরে মন জয় পর্বে জনগণ, ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের তথ্যপ্রযুক্তি প্রয়োগের সুফল সম্পর্কে ধারণা দিতে সক্ষম হয়েছে। গত মেয়াদে সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণে ধাপে ধাপে অগ্রগতি অর্জন করেছে। এবার সেটা পুরোপুরি বাস্তবায়নে সরকার অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।
©somewhere in net ltd.