![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বর্তমানে ৮৭টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে বাংলাদেশে তৈরি ওষুধ ও কাঁচামাল। ১৪ বছরের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, চলতি সময়ে সবচেয়ে বেশি দেশে রপ্তানি হচ্ছে বাংলাদেশের ওষুধ। ২০০১ সালে বাংলাদেশ থেকে ১৭টি দেশে ওষুধ রপ্তানি শুরু হয়। টাকার অঙ্কে রপ্তানির পরিমাণ ও রপ্তানি আয়ের অন্য যে কোনো খাতের তুলনায় প্রশংসনীয়। উল্লেখিত সময়ে বাংলাদেশ থেকে ৩১ কোটি ৮০ লাখ টাকার ওষুধ রপ্তানি হয়েছে। আর ওষুধের কাঁচামাল রপ্তানি হয়েছে ১ কোটি ১০ লাখ টাকার। ১৪ বছরের ব্যবধানে রপ্তানির পরিমাণ এসে দাঁড়িয়েছে ৬০৩ কোটি ৮৭ লাখ টাকায়। আর ওষুধের কাঁচামাল রপ্তানি হয়েছে ১৬ কোটি ৬ লাখ টাকা। যদিও এর আগে ২০০৮ সালে বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি পরিমাণ ওষুধ ও ওষুধের কাঁচামাল রপ্তানি হয়েছিল। এ সময় প্রস্তুতকৃত ওষুধ রপ্তানি হয়েছিল ৩১ হাজার ৩১০ কোটি ৭০ লাখ টাকার। আর ওষুধের কাঁচামাল রপ্তানি হয়েছিল ১৪ কোটি ৩৪ লাখ টাকার। উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে দেশের প্রয়োজনীয় সব ধরনের ওষুধ স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত হচ্ছে। দেশে সর্বমোট ২৬৯টি অ্যালোপ্যাথিক ওষুধ প্রস্তুতকারী বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বছরে ২৪ হাজার ব্র্যান্ডের ১২ হাজার ৫৬৫ কোটি টাকার ওষুধ ও ওষুধের কাঁচামাল উৎপাদন করছে। দেশীয় চাহিদার প্রায় ৯৭ ভাগ ওষুধ বর্তমানে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত হচ্ছে। মানসম্পন্ন ওষুধ উৎপাদনকারী ৪২টি কোম্পানির উৎপাদিত বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ওষুধ ও ওষুধের কাঁচামাল যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, জাপান, ইতালি, কোরিয়া, মালয়েশিয়া, সৌদি আরবসহ বিশ্বের ৮৭টি দেশে রপ্তানি করা হচ্ছে। রপ্তানির এই পরিসংখ্যানই বলে দেয় দেশ কতটা অগ্রগামী। দেশের ওষুধের সিংহ ভাগ চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করে এই খাত যে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে তা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যায়।
©somewhere in net ltd.