![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশের দুটি যুদ্ধ জাহাজ 'ওসমান' ও 'মধুমতি' দীর্ঘ চার বছর ধরে শান্তিরক্ষায় জাতিসংঘের পক্ষে ভূমধ্যসাগরে কাজ করে দেশে ফিরে আসছে। এই দুর্গম সাগরে অন্য কোন দেশের যুদ্ধ জাহাজ ৬ থেকে ৯ মাসের বেশি টিকতে পারে না। কিন্তু বাংলাদেশের দুটি যুদ্ধ জাহাজ নিজস্ব কারিগরি প্রযুক্তিতে কাটিয়ে দিয়েছে চারটি বছর। ওই দুটি জাহাজের জায়গায় কাজ করতে 'আলি হায়দার' ও 'নির্মল' নামের অপর দুটি যুদ্ধ জাহাজ লেবাননে গেছে। লেবাননের নৌবাহিনীর সঙ্গে বাংলাদেশের নৌবাহিনীর সদস্যরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেছে। বাংলাদেশের সদস্যদের কাছ থেকে অনেক বিষয়েই প্রশিক্ষণ নিয়েছে লেবানন নৌ বাহিনীর সদস্যরা। বাংলাদেশের নৌ বাহিনী শুধু দায়িত্ব পালনই নয়, গোয়েন্দা তত্পরতা চালিয়ে ৯০০ জন দস্যুর একটি তালিকাও করে দিয়েছে। ইসরাইলের আগ্রাসন থেকে লেবাননকে রক্ষায় বাংলাদেশের নৌ বাহিনী কার্যকর ভূমিকা রেখেছে। লেবাননের অর্থনীতি যখন ধ্বংসের পথে তখন শান্তি রক্ষায় বাংলাদেশের নৌ বাহিনীর অবদান মনে রাখার মত। লেবাননের এই মিশনে উন্নয়নশীল দেশের মধ্যে ব্রাজিল, জার্মান, ইতালি, গ্রিস, তুরস্ক ও ইন্দোনেশিয়া রয়েছে। এই সকল দেশের সঙ্গে বাংলাদেশ সফলভাবে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি লেবাননের নৌবাহিনীকে প্রশিক্ষণও দিচ্ছেন বাংলাদেশের নৌ বাহিনীর সদস্যরা। লেবাননে বাংলাদেশের হাইকমিশন খোলা হয় বাংলাদেশ নৌ বাহিনী শান্তিরক্ষী মিশনে অংশ নেয়ার পর। এর আগে সেখানে কোন দূতাবাস ছিল না। বাংলাদেশ নৌ বাহিনী সমুদ্র মহড়া দেখে লেবানন সরকার বুঝতে পেরেছে বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল সক্ষম জাতি। জাতিসংঘের পাশাপাশি লেবানন সরকারও বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর কার্যক্রমে প্রশংসায় পঞ্চমুখ। এক সময় বাংলাদেশ সম্পর্কে লেবাননবাসীর ছিল ভিন্ন ধারণা। নৌ বাহিনীর দুঃসাহসিক কার্যক্রম দেখে তাদের সেই ধারণা আজ পাল্টে গেছে। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সদস্যরা তাদের বুদ্ধি, শ্রম, মেধা দিয়ে লেবানন বাসিকে দেখিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশীরা এখন অলস জাতি নয়। কিভাবে উন্নতির শিখরে পৌঁছাতে হয় তা বাঙালিরা জানে। বাংলাদেশ নৌবাহিনী সমৃদ্ধ হোক এবং দিনে দিনে আরও উন্নতি করবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
©somewhere in net ltd.