![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রতিকূল ও চ্যালেঞ্জপূর্ণ পরিস্থিতি সফলভাবে মোকাবেলা করে প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রাখাই সরকারের অন্যতম প্রধান অর্জন। গত তিন বছরে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশ যে অবস্থানে আছে তার সার্বিক চিত্রটি নিম্নরূপঃ
সারাবিশ্বে মহামন্দার সময়ও বাংলাদেশে প্রবৃদ্ধি, রপ্তানি বৃদ্ধি, রেমিটেন্স বৃদ্ধি অব্যাহত আছে এবং বিনিয়োগ কখনও নিম্নগামী হয়নি (গড়ে ২৪.৫ শতাংশ)। ২০০৯ সালে বিশ্বব্যাপী পণ্য ও সেবা রপ্তানি যেখানে ২০.৪ শতাংশ সংকুচিত হয় সেখানে ২০০৮-০৯ অর্থবছরে বাংলাদেশের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হয় ১০.৩ শতাংশ। ২০০৯ সালে বিশ্বব্যাপী রেমিট্যান্স প্রবাহ ৫.৩ শতাংশ হ্রাস পায়, অথচ সে বছর বাংলাদেশের রেমিট্যান্স প্রবাহ ১৯.৪ শতাংশ বৃদ্ধি পায়।
২০০৭-০৮ অর্থবছরের তুলনায় পরবর্তী দুই অর্থবছরে মূল্যস্ফীতির হার প্রশমিত হয়। বর্তমান অর্থবছরে মূল্যস্ফীতির উর্ধ্বগতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। বিশ্বব্যাপী জ্বালানি ও খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণে মূল্যস্ফীতির যে ঊর্ধ্বমুখী ধারা তা কেবল বাংলাদেশে নয়, বিকাশমান ও উন্নয়নশীল দেশগুলোতেও পরিলক্ষিত হচ্ছে।
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে, ৬.১ বিলিয়ন থেকে ১০.৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
সরকারি বাজেটের আকার, রাজস্ব আদায় এবং সরকারি ব্যয় প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে (উন্নয়ন কার্যক্রমে এই ধারা বহাল থেকেছে)। রাজস্ব আদায় ৬৪,৫০০ কোটি থেকে বাড়ছে ১,১৮,০০০ কোটি ও মোট সরকারি ব্যয় বাড়ছে ৮৯,০০০ কোটি থেকে ১,৬৩,৫০০ কোটি টাকা।
বৈদেশিক সহায়তা হিসেবে নতুন অর্থের যে অঙ্গীকার পাওয়া গেছে তাও দ্বিগুণ হয়েছে। যদিও বৈদেশিক সহায়তা ব্যবহারের ক্ষেত্রে অবনতি ঘটেছে। অঙ্গীকার ২৮০০ মিলিয়ন থেকে ৫৯০০ মিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে।
মন্দার মধ্যেও জনশক্তি রপ্তানি বহাল থেকেছে এবং বর্তমান বছরে তা প্রায় পাঁচ লাখে পৌঁছাবে।
কৃষি এবং গ্রামীণ অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রবৃদ্ধি অভ্যন্তরীণ চাহিদাকে জোরদার রেখেছে। মানুষের আয় বাড়িয়েছে এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়েছে।
সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা শক্তিশালী এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ফলে দারিদ্র্য কমেছে, বিশেষ করে হতদরিদ্রের সংখ্যা কমেছে এবং বর্তমান মূল্যস্ফীতির প্রভাব বঞ্চিতদের উপরে পড়েনি।
অতিরিক্ত বিদ্যুৎ উৎপাদনের ফলে অর্থনীতির গতিশীলতা জোর পেয়েছে এবং শিল্পখাতে সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি সাধিত হয়েছে।
এরপরেও কুচক্রি মহল দেশের এই উন্নয়নের জোয়ারের সময় নিজেদের হীনস্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য বার বার মরিয়া হয়ে জনগণের জীবন সম্পদকে ধ্বংস করে দেয়। ক্ষমতা, লুটপাট, ধ্বংসযজ্ঞতা না করে সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশটাকে আরও উন্নতির শিখরে পৌছে দিতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে “সকলের তরে সকলে আমরা প্রত্যেকে আমরা পরের তরে”।
©somewhere in net ltd.