![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বন্দরনগরী চটগ্রামের সঙ্গে রাজধানীর সড়ক যোগাযোগ দ্রুত করতে ২৩২ কিলোমিটার দীর্ঘ এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বর্তমান মহাসড়কের সমান্তরালে কিংবা ওপর দিয়ে এই বিশেষ সড়ক তৈরিতে খরচ হবে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার কোটি টাকা। এই এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে বাস, মিনিবাস বা ব্যক্তিগত গাড়িতে আড়াই ঘণ্টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম পথে যাতায়াত করা যাবে। তবে এ ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট হারে টোল দিতে হবে। ২০১০ সালে পরিকল্পনা নেওয়ার চার বছর পর প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই ও নকশা প্রণয়নের জন্য চারটি প্রতিষ্ঠানকে পরামর্শক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। বিল্ড অপারেট ওন অ্যান্ড ট্রান্সফার (বিওওটি) পদ্ধতিতে এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের এ প্রকল্প গত বছর মার্চে অর্থনৈতিক বিষয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি অনুমোদন করেছিল। এর নাম হবে দ্বিতীয় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক। এতে গাড়ির গতিবেগ থাকবে কমপক্ষে ১০০ কিলোমিটার। এক্সপ্রেসওয়েতে বড় চারটিসহ মোট ২২টি নতুন সেতু নির্মাণ হবে। বড় চারটি সেতুর মধ্যে দুটি হবে মেঘনা নদীতে। একটি করে সেতু করতে হবে শীতলক্ষ্যা ও গোমতী নদীতে। বর্তমানে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে প্রতিদিন গড়ে ৪৫ হাজার যানবাহন চলাচল করছে। ২০২০ সালে তা ৬৫ হাজার ছাড়িয়ে যাবে। ২০৩০ সালে বেড়ে দাঁড়াবে ৮৫ হাজার। এ ক্ষেত্রে বিদ্যমান মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করা হলে এর সুবিধা পাওয়া যাবে। সরকারের এ উদ্যোগের ফলে বন্দরনগরী চটগ্রামের সঙ্গে রাজধানী শহর ঢাকার সংগে সড়ক যোগাযোগের ক্ষেত্রে যে উন্নতি সাধন হবে তা দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
©somewhere in net ltd.