![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ব্রিটিশ ক্যাটারিং শিল্পের সিংহভাগ কিচেন সামগ্রী যাচ্ছে সিলেট থেকে। সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তি ও হালকা প্রকৌশল ব্যবহার করে এসব কিচেন সামগ্রী প্রস্তুত করা হচ্ছে। অল্প সময়ের ব্যবধানে বিলেতের বাজারে এখানকার তৈরি কিচেন সামগ্রী জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। সিলেটের খাদিমনগর বিসিক শিল্প এলাকায় স্থাপিত 'সিলেট ওয়েল্ডিং-ব্রিটিশ গ্যাস কুকার কোম্পানি' এ রফতানি বাণিজ্য পরিচালনা করছে। ২০০৬ সাল থেকে এ কোম্পানি বিলেতে কিচেন সামগ্রী রফতানি শুরু করে। বাংলাদেশের শতভাগ রফতানিমুখী এ শিল্প প্রতিষ্ঠানটি এরই মধ্যে 'ব্রিটিশ স্ট্যান্ডার্ড ইনস্টিটিউট' (বিএসআই) সনদ লাভ করেছে। সম্প্রতি কোম্পানিটি তার ৩২তম শিপমেন্ট কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে। ৩২তম শিপমেন্টের মাধ্যমে ৪০ ফিট হাইকিউব কনটেইনার ভর্তি কিচেন সামগ্রী প্রেরণ করা হয় বিলেতের উদ্দেশে। দীর্ঘদিন ধরে বিলেতের ক্যাটারিং হসপিটালিটি শিল্প বাংলাদেশী অভিবাসীরা সাফল্যের সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ করছে। কিন্তু ক্যাটারিং শিল্পের অবকাঠামো নির্মাণে এতদিন ব্রিটিশদের ওপর নির্ভরশীল ছিলেন বাংলাদেশী উদ্যোক্তারা। আর এতে অতিরিক্ত অর্থ গুনতে হতো উদ্যোক্তাদের। সেই নির্ভরশীলতা এখন প্রায় শূন্যের কোটায় নেমে এসেছে। এখন বাংলাদেশে অপেক্ষাকৃত স্বল্প ব্যয়ে কিচেন সামগ্রী তৈরি করে তা বিলেতের ক্যাটারিং শিল্পের জন্য রফতানি করা হচ্ছে। এর ফলে ব্রিটেনে অবস্থানরত হোটেল ব্যবসায়ীরা অনেক অর্থ সাশ্রয় করতে পারবে। তাছাড়া এতদিন এসব কিচেন সামগ্রী ব্রিটেনসহ ইউরোপের অন্যান্য দেশ থেকে কিনতে হতো। এতে তাদের বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় হতো। এখন বিদেশের মাটিতে কষ্টে উপার্জিত অর্থ দেশেই থেকে যাবে। এত দিন শুধু ব্রিটেনে খাবার হোটেল ব্যবসায় আমাদের সুনাম ছিল। এখন আমরা এসব হোটেলে ব্যবহৃত কিচেন সামগ্রী রফতানি করেও সুনাম অর্জন করছি। আমাদের এখানকার তৈরি কিচেন সামগ্রী গুনে ও মানে তাদের আস্থা অর্জন করতে পেরেছে। অল্প পরিসরে শুরু করলেও বর্তমানে ১২ বার্নার কুকার, ৯ বার্নার কুকার, ৮ বার্নার কুকার, ৬ বার্নার কুকার, তান্দুর ওভেন ও বারবিকিউসহ অন্যান্য কিচেন সামগ্রী তৈরি করে তা সাফল্যের সঙ্গে রফতানি করা হচ্ছে। এ প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকলে আগামীতে আরও আধুনিক কিচেন সামগ্রী তৈরি করে আমরা ব্রিটেনসহ ইউরোপ-আমেরিকায় রফতানি করতে পারব। সম্ভাবনাময় এ শিল্পের মাধ্যমে আমরা অর্জন করতে পারব শত কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা।
©somewhere in net ltd.