![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আন্দোলনের নামে মানুষ হত্যা ও বৃক্ষ নিধনের সঙ্গে জড়িত দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া অত্যন্ত জরুরি। আন্দোলনের নামে যারা বেপরোয়াভাবে মানুষ হত্যা ও বৃক্ষ নিধন করছে সেইসব দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া উচিত, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের অপরাধ করার দুঃসাহস আর কেউ দেখাতে না পারে। সরকার প্রতিবছর বাংলা মাস আষাঢ়ের প্রথম দিন থেকে তিন মাসব্যাপী বৃক্ষরোপণ অভিযান পালন করে আসছে। সরকার বিশ্বাস করে যে, বৃক্ষ মানবসভ্যতার বিকাশে অমূল্য অবদান রেখে যাচ্ছে। বৃক্ষ মানুষের জীবন রক্ষা করে এবং অক্সিজেন যোগায়। ভৌগলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশে আরো গাছ লাগানো প্রয়োজন। আওয়ামী লীগ সরকার পরিবেশ ও বৃক্ষবান্ধব। এই সরকার যখনই ক্ষমতায় এসেছে তখনই বনায়ন কর্মসূচি জোরদার করার লক্ষ্যে সারাদেশে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে। ইতিমধ্যে সরকার সংরক্ষিত বন হিসেবে আরো এক লাখ ৭০ হাজার একর এলাকা নতুন বনভূমি ঘোষণা করেছে। দেশের উপকূলীয় এলাকায় সবুজ বেষ্টনী গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছে। এই বেষ্টনী সাইক্লোন ও জলোচ্ছ্বাস থেকে এলাকার লোকজনের জান-মাল রক্ষা করছে। যাদের এক সময় গাছ কাটার জন্য দায়ী করা হতো এই সরকার তাদেরকে সম্পৃক্ত করে সামাজিক বনায়ন কর্মসূচি জোরদার করেছে। সরকারের পৃষ্টপোষকতার পর যারা এক সময় গাছ কাটতো তারা এখন বনের পরিচর্যা করছে। সামাজিক বনায়ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ ও অবদান রাখার মাধ্যমে জনগণ এখন আরো বেশি আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে।
সুবিধা লাভের অংশ ৩৫ শতাংশ থেকে ৭৫ শতাংশে উন্নীত করা হয়েছে। গত বছর সামাজিক বনায়ন কর্মসূচি থেকে লাভ হিসেবে কেবল একজন ব্যক্তি প্রায় ১২ লাখ টাকা আয় করেছেন। জনসাধারণকে গাছ রোপণে উদ্বুদ্ধ করার জন্য জনপ্রতিনিধিসহ আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
©somewhere in net ltd.